প্রত্যেকদিনের দৌড়ঝাঁপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তা হল আমাদের ত্বক। একটা বয়সের পর ত্বকের ক্ষতি পূরণ করাটা একটু কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ঠাকুমা-দিদিমার বলে দেওয়া স্কিন ট্রিটমেন্ট থেরাপির কোনও বিকল্প হয় না তাই ব্যস্ত জীবনে কোন স্কিন ট্রিটমেন্ট করবেন, কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন ইত্যাদি নানা সমস্যায় যাওয়ার আর কোনও প্রয়োজন নেই।
কারণ ঠাকুমা-দিদিমার বলা ঘরোয়া টোটকাতেই নিজেকে সুন্দর রাখা যেতে পারে। কীভাবে? জেনে নিন।
একেবারে বেসিক থেকেই শুরু করুন। স্বাস্থ্যকর এবং ক্লিয়ার স্কিনের জন্য ত্বক পরিষ্কার করাটা ভীষণ জরুরী। অপরিষ্কার ত্বক আপনার পোরসগুলিকে ব্লক করে দেয়, যার ফলে আপনার ত্বক যত সুন্দর হোক না কেন কিছু অ্যাপ্লাই করলেই ব়্যাশ বা অ্যালার্জি বেরিয়ে যেতে পারে। তাই ফেস ওয়াশ করাটা খুবই জরুরী।
ঠাকুমা-দিদিমারা আগেকার দিনে উবটন ব্যবহারের পরামর্শ দিতেন। কারণ সেইসময় আজকের মতো এত বিউটি প্রোডাক্ট ছিল না। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চার একটা প্রবণতা ছিল। আর ঘরোয়া পদ্ধতিতে উবটনই ছিল রূপচর্চার অন্যতম মাধ্যম। তাই আপনারাও উবটন ব্যবহার করুন।
২ টেবিল চামচ টকদইের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু এবং কিছুটা ছোলার বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে এটি আমপনার সারা মুখে সমানভাবে অ্যাপ্লাই করে নিন। এরপর এটি মুখে শুকিয়ে যাওয়ার পর গোলাপজল অ্যাপ্লাই করে তুলে ফেলুন। উবটন বানানো এবং প্রয়োগ করা খুবই সহজ যে, আপনি স্নানের আগেও এটি প্রস্তুত করতে পারেন।
কেবল রূপচর্চা করলেই হবে না, সৌন্দর্য যেন ভেতর থেকে ফুটে ওঠে সেই চেষ্টাও করতে হবে। তাই আপনি যদি কাজের সময় কফি খেয়ে ঘুম তাড়ান, তাহলে পাশাপাশি আপনাকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, এই ক্যাফেইন কিন্তু পরোক্ষভাবে আপনার ত্বকের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং বেশি করে ফল খাওয়ার ওপর আপনার সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে বলেই মনে করেন ঠাকুমা-দিদিমারা।
এই নিয়মটিও সেই প্রাচীনকাল থেকে চলে আসেছ। ঠাকুমা-দিদিমারা বলেন, আবহাওয়া নির্বিশেষে প্রতিদিন ৩ লিটার করে জলপান করা উচিত। জল আপনার ত্বকের গভীরে থাকা বিষাক্ত পদার্থগুলিকে বের করে দিতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ওপর থাকা পিম্পল রিমুভ করতে সাহায্য করে। বিশ্বাস করবেন না, জল কিন্তু আপনার ত্বকে একটা অসাধারণ পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।
আপনি যদি আপনার ত্বককে নিয়মিত পরিষ্কার করেন এবং ত্বক ময়েশ্চারাইজড করেন, সেইটুকুই কিন্তু যথেষ্ট, কিন্তু এটা আপনাদের রোজ নিয়ম করে করতে হবে। রোজ শরীর সুস্থ রাখতে যেমন খাবার খাওয়া প্রয়োজন তেমনই ত্বকের জন্য এই নিয়মটাও অনেকটা ত্বকের ডায়েটের মতো।
তাই প্রতিদিন সকালে উঠে এবং প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে বেকিস কিছু রূপচর্চা করাটা খুবই প্রয়োজন। রূপচর্চা যদি আপনার রোজকার রুটিনের অন্তর্ভূক্ত হতে পারে, তাহলে আলাদা করে ত্বকের যত্ন নেওয়ার আর কোনও প্রয়োজন পড়ে না। ঠাকুমা-দিদিমারাও কিন্তু এই ফর্মুলাতেই বিশ্বাসী।
তৈলাক্ত ত্বকের কারণে অনেকে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগানো পছন্দ করেন না। অনেকে মনে করে এতে ত্বক আরও তেলতেলে হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ঠাকুমা-দিদিমার পরামর্শ যদি মানেন, তাহলে তাঁরা বলেন ময়েশ্চারাইজার যেকোনও স্কিন নির্বিশেষে ব্যবহার করা উচিত।
নারকেল তেল ত্বকের ওপর খুব ভাল ময়েশ্চারাইজেশনের কাজ করে। তাই প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ময়েশ্চাইজড করতে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার অনিয়মিত জীবনযাত্রাও কিন্তু আপনার ত্বকের মান নষ্ট করে দিতে পারে। তাই রোজকার দৌড়ঝাঁপের মাঝে কম ঘুম, ঠিক সময় খাওয়া-দাওয়া না করা, ঠিক সময় খাওয়া-দাওয়া না করার কারণে ত্বকের একটু একটু করে ক্ষয় করে থাকে। তাই সবকিছুর মাঝেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হওয়াটা খুব দরকার। নিয়মিত শত ব্যস্ততা বা শত কাজের মাঝেও রোজ ৮ ঘণ্টা করে ঘুম হওয়াটা ভীষণ প্রয়োজন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…