গ্রীষ্মকালে সূর্যের প্রচন্ড তাপ এড়ানোর কোনও উপায় নেই। অসহ্য গরমের মধ্যেও আপনাকে বাইরে বেরোতেই হয় কাজে। তাই হয়তো সাথে রাখেন সানগ্লাস, ব্যবহার করেন সানস্ক্রিন। কিন্তু আপনার চুলের কথা একবার ভাবুন তো? হ্যাঁ, এই গরমে আপনার চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও প্রয়োজন বিশেষ যত্নের।
কেননা, প্রখর রৌদ্রে আপনার চুল ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনি যদি ভেবে থাকেনও চুল স্ক্যাল্পকে রক্ষা করে, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আপনার স্ক্যাল্প অতিরিক্ত গরমে চুলের গোড়াকে ভেতর থেকে ড্যামেজ করে দিতে পারে। এছাড়া রাস্তার ডাস্ট প্রবল গরমে মাথার ঘামের সাথে আটকে গিয়ে আপনার চুলকে রুক্ষ করে তোলে।
এসব জানার পরেও রোদ এড়িয়ে ঘরে বসে থেকে তো লাভ নেই! তাই আপনাকেই দেখভাল করতে হবে আপনার চুলের স্বাস্থ্যের। আসুন জেনে নিই এই গরমে কীভাবে আপনি চুলের যত্ন নেবেন।
মাথায় তেল মালিশের আরাম উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে! তা ছাড়াও এই তেল মালিশের ফলে আপনার চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বাড়ে। গরমে, ঘামে আপনার চুলের গোড়া ড্যামেজ হয়ে গেলে তার জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে তেল মালিশ খুবই উপযোগী। কেননা, এতে আপনার চুলের গোড়া আরও মজবুত হয়। তাই আপনি ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল।
বাদাম তেলও যথেষ্ট উপকারী, কিন্তু একটু দামী। সে তুলনায় নারকেল তেল অনেক বেশি সহজলভ্য আপনার বাড়িতে। এমনকি সরষের তেলও তো আপনার হাতের কাছেই থাকে। আপনি চাইলে কিন্তু এটিকেও ব্যবহার করতে পারেন। সচরাচর আমরা সরষের তেলকে চুলের যত্নের কাজে খুব একটা ব্যবহার না করলেও এ ক্ষেত্রে কিন্তু এটি যথেষ্ট উপকারী। তাই আজ থেকেই নিয়মিত সপ্তাহে তিনবার চুলে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করা শুরু করে দিন। আর খুব দ্রুত পরিবর্তন লক্ষ্য করুন।
গরমে চুলের পরিচর্যার জন্য ব্যবহার করতে পারেন নারকেলের দুধ। এটির ব্যবহার আপনার মাথায় রক্ত চলাচল বাড়ায়। এ ছাড়াও এটি ভিটামিন ই ও ফ্যাটের দ্বারা সমৃদ্ধ যা আপনার ড্যামেজ হয়ে যাওয়া চুলের পরিচর্যা করে ও ভেতর থেকে চুলকে মজবুত রাখে। তাই দেরী না করে এই গরমেই ব্যবহার করে দেখুন নারকেলের দুধ।
আপনি এই গরমে ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা জেল। অ্যালোভেরা জেল ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় খুবই ঐতিহ্যবাহী একটি উপাদান। অন্যান্য উপকারিতার পাশাপাশি চুলের ক্ষেত্রেও এটি সমানভাবে উপকারী। গরমে আপনার স্ক্যাল্প শুকিয়ে গিয়ে চুলকে ভেতর থেকে ড্যামেজ করে দেয়। তাই এ ক্ষেত্রে স্ক্যাল্পে আপনি যদি মালিশ করেন অ্যালোভেরা জেল, তাহলে তা আপনার চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুবই উপকারে লাগতে পারে। এমনকি এটি আপনার চুলের পড়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধানেও ব্যবহার করতে পারেন।
অতিরিক্ত গরমে ঘামার ফলে আপনার শরীরে ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে। আর এই ডিহাইড্রেশন আপনার চুলের পরোক্ষে ক্ষতি করে। আপনি জল খেলে আপনার শরীরের কোষগুলি সেটি টেনে নেয়। মাথার চুলও এর থেকে উপকৃত হয়। চুলের আর্দ্রতা ভেতর থেকে তাই বজায় থাকে। তাই কমপক্ষে ৬ বোতল জল খান প্রতিদিন।
বাইরে রোদের তাপ খুব প্রখর থাকলে চুলকে বাঁচাতে মাথায় টুপি পরে বেরোতে পারেন। গরমে মাথার ঘামের সাথে বাইরের ধুলো-বালি আটকে গিয়ে আপনার চুলের ক্ষতি করে। তাই টুপি আপনার চুলকে বাইরের এই ধুলো-বালির হাত থেকে রক্ষা করবে, পাশাপাশি সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিও চুলের যে ক্ষতি করে, তা থেকেও বাঁচবেন।
গরমে কেমিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে বেশি এক্সপেরিমেন্ট না করাই ভালো। চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক ভাবে চুলকে যত্ন করার। সহজপ্রাপ্য প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে আপনি চুলের যত্ন খুব সহজেই নিতে পারেন। আর এই উপায়গুলির অনুসরণ করলে আশা করা যায় এই গরমে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালোই থাকবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…