উজ্জ্বল সুন্দর মুখের সাথে গলার নীচের কালো দাগ অবশ্যই বেমানান। আর আপনি রোজ যখন মুখ পরিষ্কার করেন, অনেক সময়েই গলা পরিষ্কার করতে ভুলেই যান। অথবা পরিষ্কার করলেও ততটা যত্ন নেন না, যতটা মুখের ক্ষেত্রে নেন।
তবে কালো দাগ হওয়ার আরও কারণ আছে, যেমন- রোদে দীর্ঘক্ষণ থাকা, পরিবেশ দূষণ, কসমেটিক্স বা স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টসের কেমিক্যালে। এমনকি, ডায়াবেটিসও আপনার গলায় কালো দাগের কারণ হতে পারে। এছাড়া একজিমা ও ফাঙ্গাল ইনফেকশনও শরীরের বিভিন্ন অংশের মতো গলায় কালো দাগ পড়ার কারণ হতে পারে।
কারণ যাই হোক, প্রয়োজন সমাধানের। আর আজকে আমরা আপনাকে বলতে চলেছি এমনই কিছু সহজ ঘরোয়া সমাধানের কথা। এই উপায়গুলি অনুসরণ করলে আপনি ফল পাবেন অত্যন্ত দ্রুত, এমনকি মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে। আসুন, দেখে নিই।
অ্যালোভেরার প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ও মিনারেল ভেতর থেকে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
উপকরণ
অ্যালোভেরা পাতা।
পদ্ধতি
অ্যালোভেরা পাতা খুবই সহজলভ্য। এই পাতা আকারে একটু মোটা ধরণের হয়ে থাকে। পাতাটি কাটলে আপনি পেয়ে যাবেন অ্যালোভেরা জেল। ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এই অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী একটি অত্যন্ত ঐতিহ্যময় ব্যবহারিক উপাদান। এক্ষেত্রে আপনি এই অ্যালোভেরা জেলটিকে গলার কালো অংশে ভালো মতো ম্যাসাজ করে দিন। তারপর দশ মিনিট এটিকে লাগিয়ে রেখে দিন। দশ মিনিট পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে আপনি এটি ব্যবহার করে দেখুন ফল পাবেন।
➡ কনুইয়ের কালো দাগ সরান কয়েক দিনেই।
নারকেল তেল ও বাদাম তেলের মধ্যে থাকে ভিটামিন ই, যা আপনার ত্বককে মসৃণ করে ও বয়সেরও ছাপ পড়তে দেয় না। এ ছাড়াও আপনি যদি এর সাথে ব্যবহার করেন চায়ের জল– তাহলে সেটি আপনার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
উপকরণ
কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল অথবা নারকেল তেল ও ১-২ ফোঁটা চায়ের লিকার।
পদ্ধতি
প্রথমে সাবান ও জল দিয়ে আপনি আপনার গলা ভালো করে পরিষ্কার করে নিন, তারপরে একে ভালো মতো শুকোতে দিন। এবারে নারকেল তেল অথবা বাদাম তেলের যে কোনও একটি নিন। ভালো হয় যদি এর সাথে এক-দু ফোঁটা চায়ের লিকার মিশিয়ে নিতে পারেন। এবারে এই মিশ্রণটিকে নিয়ে ভালো মতো গলার কালো অংশের চারিপাশে বৃত্তাকারভাবে ম্যাসাজ করুন দশ থেকে পনেরো মিনিট ধরে। এবারে উষ্ণ গরম জল দিয়ে গলা ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করুন।
এই প্যাকটিও আপনার গলার কালো দাগকে খুব সহজেই দূর করে। এতে আপনার ত্বকের রক্ত সঞ্চালনও বাড়ে।
উপকরণ
২-৩ চা চামচ বেকিং সোডা আর জল।
পদ্ধতি
যথেষ্ট পরিমাণ জল বেকিং সোডার সাথে গুলিয়ে নিন, যাতে আপনি মসৃণ পেস্ট পেতে পারেন। এই পেস্টটিকে আপনি গলায় লাগিয়ে রাখুন ও শুকোতে সময় দিন। একবার এটি শুকিয়ে গেলে এটিকে গলা থেকে মুছে ফেলুন ও পরিষ্কার জল দিয়ে গলা ধুয়ে নিন। প্রতিদিন এভাবে আপনি যদি বেকিং সোডা লাগান, খুব তাড়াতাড়িই ফল পাবেন।
তাই এখন আপনার মুখের পাশাপাশি সমান যত্ন নিন গলারও। আর আপনার গলার কালো দাগ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। এই পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করলেই হাতেনাতে ফল পাবেন এক সপ্তাহের মধ্যে। তাই চিন্তা না করে আজ থেকেই এর মধ্যে একটি উপায় বেছে নিয়ে শুরু করে দিন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…