রোজ রাতে শুতে গিয়ে জেগে থেকেই রাত কাবার করে ফেলেন? এরম চলতে থাকলে আপনি হাজারো সিরিয়াস অসুখের মুখে পড়তে চলেছেন। আপনার শরীর তো খারাপ এতে হবেই, প্রভাবিত হবে সারাদিনের সমস্ত কাজ। সারাদিনের কাজের চাপ, টেনশন, মানসিক চাপও আপনার না ঘুম আসার কারণ হতে পারে। অজস্র চিন্তা ভিড় করতে থাকে মাথায়, আর এদিকে ভোর হয়ে যায়। এরকম হতে থাকলে আপনাকে এমন একটি ঘরোয়া টিপসের হদিশ আজ আমরা দেবো, যা অভ্যাস করলে আপনার ঘুম চলে আসতে পারে মাত্র এক মিনিটে। অবাক হলেন ? আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন- মাত্র এক মিনিট লাগবে ঘুমোতে। এর নাম- “ফোর সেভেন এইট ব্রিদিং এক্সসারসাইজ।” আসুন জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে।
এটি আসলে ডিপ ব্রিদিং বা ভেতর থেকে শ্বাস-প্রশ্বাস চালানোর একটি বিশেষ পদ্ধতি। এর একটি ইংরেজি পরিভাষা আছে। একে বলা হয়- “ফোর-সেভেন-এইট ব্রিদিং এক্সসারসাইজ”। এর ফলে আপনার মানসিক অবসাদ দূর হবে এবং আপনি খুব সহজে শোয়া মাত্র ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন। তবে আপনাকে এটা চালিয়ে যেতে হবে প্রতিদিন। ডাক্তারিভাবে এই ফোর-সেভেন-এইট ব্রিদিং এক্সারসাইজের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। জানেনই তো আমাদের ভারতীয় যোগ শাস্ত্র খুবই সমৃদ্ধ। সেখানে প্রাণায়াম হিসেবে এই ব্যায়ামটির চর্চা হয়ে আসছে বহুদিন থেকে। এখন এটি পাশ্চাত্যেও ভীষণভাবে গ্রহণযোগ্য একটি পদ্ধতি। ফলে সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্য যখন, তখন আপনিও এর থেকে ফল পাবেন আশা করাই যায়।
➡ রাতে ভালো করে ঘুম কেন দরকার জানুন।
এই ব্যায়ামটি আপনি যে কোনও পোজিশনেই করতে পারেন, তবে শিরদাঁড়া সোজা করে বসে করাটাই গ্রহণযোগ্য বেশী। প্রথমে আপনি আপনার জিভের সামনের অংশটিকে আপনার সামনের দাঁতের ওপরের সারির গোড়াতে স্পর্শ করান। পুরো ব্যয়ামটি চলাকালীন কিন্তু আপনার জিভকে ঐ পোজিশন থেকে নড়ানো যাবে না। আপনাকে শ্বাস ভেতরের দিকে টানতে হবে নাক দিয়ে, আর বাইরে বের করতে হবে মুখ দিয়ে। মাঝে জিভটি ওপরের দাঁত স্পর্শ করে থাকায় শ্বাস বের করার সময়ে মুখে শব্দ হবে। নাক দিয়ে যখন শ্বাস নেবেন, তখন তা ধীরে ধীরে ৪ সেকেন্ড ধরে নিতে হবে। নেওয়ার পরে শ্বাসবায়ুকে ভেতরে ধরে রাখতে হবে ৭ সেকেন্ড। এবং মুখ দিয়ে শ্বাস সম্পূর্ণভাবে ছাড়ার জন্য সময় নিতে হবে ৮ সেকেন্ড। ভালো হয় যদি আপনি প্রতিটি ধাপে সেকেন্ডের হিসেবটি ঠিক রাখার জন্য মনে মনে সেকেন্ড গুনতে থাকেন। এই পুরো প্রক্রিয়াটি চার থেকে পাঁচবার করে রিপিট করুন। তারপর দেখুন, আপনার ঘুম চলে আসবে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে।
আসলে এই এক্সসারসাইজটি আপনার যাবতীয় মানসিক চাপকে দূর করে মনকে রিল্যাক্স মোডে রাখতে সাহায্য করে। ফলে যে চিন্তা ও টেনশনগুলো আপনাকে রাতে ঘুমোতে দিত না, তা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গায়েব হয়ে যায়, আর আপনার ঘুমও চলে আসে খুব সহজেই।
ফলে আর কি, কিচ্ছুটি না ভেবে আজ থেকেই শুরু করে দিন এই অভ্যাস। প্রতিদিন করুন, আর ফল পান হাতেনাতে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…