ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে ওয়াক্সিং করবেন জেনে নিন (পর্ব ২)

সামনেই উৎসবের মরশুম তাই নিজেকে সুন্দর রাখাটা কিন্তু খুব জরুরী। আর অবাঞ্ছিত লোমের ফলে কিন্তু অস্বস্তিও যেমন হয়, তেমনই দেখতেও খারাপ লাগে। তাই আমরা পার্লারে গিয়ে কষ্ট করি। আগের পর্বে আমরা দেখেছিলাম বাড়িতে বসে ঘরোয়া ভাবে ওয়াক্সিং করার কিছু উপায়। আজও দেখে নেব আরও কয়েকটি ঘরোয়া উপায়।

১. পাকা পেঁপে

সৌন্দর্য রক্ষায় পাকা পেঁপের ব্যবহার আমরা সবাই জানি। কিন্তু শুধু ত্বকের যত্নে নয়, ওয়াক্সিং করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এর জন্য লাগবে পাকা পেঁপে ও হলুদ। কয়েকটি পাকা পেঁপের টুকরো নিয়ে তাতে, এক থেকে দু চামচ হলুদ গুড়ো মেশান। বা কাঁচা হলুদও দিতে পারেন। ভালো করে পেস্ট বানিয়ে এটি যেখানে লোম তুলতে চাইছেন সেখানে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট মাসাজ করুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২.হলুদ ও গোলাপ জল

একটু গোলাপ জল ও হলুদ নিয়ে ভালো করে পেস্ট বানান। তারপর এই পেস্টটি যেখানে লোম তুলে চান সেখানে লাগান। তারপর একটু শুকিয়ে এলে, গরম জলে পরিষ্কার করে ফেলুন। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে দু থেকে তিন দিন করুন।

৩. ডিম চিনি ও কর্ণ ফ্লাওয়ার

একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ নিন। কসুমটা সরিয়ে রাখুন। তারপর সেখানে একটু চিনি ও একটু কর্ণ ফ্লাওয়ার মেশান। ঘন পেস্ট বানান। তারপর সেটি ত্বকে লাগান ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য। হালকা শুকিয়ে এলে আস্তে আস্তে মাস্কটি তুলুন। এটা ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম তুলে আনার সাথে সাথে, ত্বকের ময়লাও তুলে আনতে সাহায্য করে। ডিম দেবার ফলে পেস্টটি বেশ আঠালো হবে।

৪.পাকা পেঁপে ও অ্যালোভেরা  

প্রথমে পাকা পেঁপের পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর তাতে অ্যালোভেরা জেল, একটু ছাতু, একটু সরষের তেল, একটু হলুদ গুড়ো ও আর একটু যেকোনো এসেনসিয়াল অয়েল ভালো করে সব কটি মিশিয়ে পেস্ট বানান। এসেনসিয়াল অয়েল বাজারে পেয়ে যাবেন। এবার সেটি যেদিকে লোমের গ্রোথ তার বিপরীত দিকে লাগান। অর্থাৎ নীচ থেকে ওপর দিকে লাগান। সেটি লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। শুকিয়ে এলে একটা শুকনো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। পাকা পেঁপে অবাঞ্ছিত লোমের গ্রোথ কমায়। এবং কম হতে দেয়।

৫.চিনি

লোম তোলার কাজে চিনি খুব ভালো কাজ করে। এর জন্য প্রথমে  একটি বাটিতে চিনির সঙ্গে জল মিশিয়ে চিনির রস বানান। এর সঙ্গে চাইলে লেবুর রস যোগ করতে পারেন। চিনির রস হয়ে গেলে একটু ঠাণ্ডা হতে দিতে হবে। আবার একদম ঠাণ্ডা যেন না হয়ে যায়। হালকা গরম মিশ্রণ লাগবে। চাইলে একটি ক্যান্ডি থার্মোমিটার রাখতে পারেন। তাপ মাপার জন্য। দুশো ফারেনহাইটের বেশি যেন না হয়। এরপর হালকা গরম মিশ্রণটি ওই অবাঞ্ছিত লোমের জায়গায় লাগান। এরপর ওয়াক্স স্ট্রিপ দিয়ে নীচ থেকে ওপর দিকে লোম টেনে তুলুন। ওয়াক্স স্ট্রিপ বাজারে পেয়ে যাবেন।