খুশকি মানেই আপনার চুলের বিপদ। আপনার চুলের সর্বনাশ করাই এদের ধর্ম। চুল পড়া, চুলের রুক্ষ হয়ে যাওয়া, ইচি স্ক্যাল্প, স্ক্যাল্প ইনফেকশন এই সব রকম সমস্যা নিয়ে এরা আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।
তাই খুশকি দমনে আপনি তৎপর না হলে কিন্তু আপনার সাধের মাথা ভরা চুল কিছুদিনেই গড়ের মাঠে পরিণত হবে। খুশকি দূর করুন এবং আপনার চুলকে নতুন জীবন দান করুন।উপায় বাতলাবে আপনার পরম বন্ধু দাশবাস।আজকের লেখায় থাকছে খুশকি বিনাশকারী ১২টি ঘরোয়া উপায়।
রসুন অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-বায়োটিক। তাই রান্নার কাজে কিনে আনা রসুন কয়েকটি বাঁচিয়ে রাখুন খুশকি দূর করার জন্য।
৫-৬ টি রসুনের কোয়া ছাড়িয়ে ১ চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার স্ক্যাল্প বেশি সেন্সেটিভ হলে পেস্টটিতে অল্প জল মিশিয়ে নিন। সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করুন।
বেশি খুশকির উৎপাত। তবে ভয় নেই। একে তাড়ানোর ভালো উপায় হলো কমলালেবুর খোসা।
১টি বা ২টি কমলালেবুর খোসা ভালো ৪-৫চামচ লেবুর রস মিশিয়ে বেটে নিন। স্ক্যাল্পে প্রয়োগ করুন এই পেস্টটি। ৩০মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহে ২দিন লাগান।
জবা ফুলের পাতা খুব কার্যকর খুশকি নামক ফাঙ্গাসটির গ্রোথ কম করতে।
১০-১৫টি জবা ফুলের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার পেস্টটি আপনার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২০-২৫মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১দিন কিন্তু যথেষ্ট এই উপাদানটি খুশকি দূর করতে।
মেথি চুলের নানা সমস্যার মত খুশকি দূর করার ক্ষেত্রেও খুবই উপকারী। এতেও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে যা খুব ভালো ভাবেই খুশকি দূর করে।
২-৩চামচ মেথি আগের দিন রাতে ভিজিয়ে সকালে মিক্সিতে বেটে পেস্ট বানিয়ে নিন।ওতে ১-২ চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ভালো করে স্ক্যাল্পে লাগান। ৩০মিনিট মত রেখে প্রথমে জল দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করুন তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন মাথা ধোয়ার জন্য। প্রতি সপ্তাহে একবার করে মেথি প্রয়োগ করুন।
বেকিং সোডা বেশ উপকারী খুশকি দূর করার ক্ষেত্রে।
প্রথমে চুল ভালো করে ভিজিয়ে নিন। এরপর ৪-৫চামচ বেকিং সোডা হাতে নিয়ে ভালো করে মাথার স্ক্যাল্পে ঘষুন। এতে খুব ভালো ভাবে মৃত চামড়া, খুশকি ইত্যাদি পরিষ্কার হয়ে যাবে। ২-৩মিনিট পর ভালো করে মাথা ধুয়ে নিন। বেকিং সোডা মাথায় দিলে ওই দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। ২সপ্তাহে একদিন বেকিং সোডা ব্যবহার করা ভালো খুশকি দূর করতে হলে।
নিমপাতা ব্যবহার করলে খুব সহজেই এবং তাড়াতাড়ি খুশকি আপনার মাথা থেকে বিদেয় হবে।
একমুঠো নিমপাতা ৪কাপ জলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিন। এই জল দিয়ে মাথা ও চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন এই জল। এতে আপনার খুশকি অচিরেই দূর হবে।
নারকেল তেলেও কিন্তু অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান থাকে তাই খুশকি দূর করতে এই উপাদান বেশ উপকারী।
৬চামচ নারকেল তেল ও ৩ চামচ লেবুর রস একসাথে ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি ভালো করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। ২০-২৫মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিন।সপ্তাহে অন্তত ৩ বার নারকেল তেল প্রয়োগ করুন।
খুশকি দূর করতে চাইলে ভিনিগার কিন্তু বেস্ট অপশন। এটি আপনার স্ক্যাল্পে ফাঙ্গি বা খুশকির জন্য হওয়া ফ্লেক্সগুলি একেবারেই মাথায় জমতে দেয় না।
আধ কাপ ভিনিগার ২কাপ জলে ভালো করে মিশিয়ে ওই মিশ্রণ দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করার পর। এছাড়া ২ চামচ ভিনিগার, ১চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল এবং ৩চামচ জল মিশিয়ে আপনার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। ১০মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ২দিন ভিনিগার প্রয়োগ করলে ভালো।
লেবুর রস আপনার খুশকির হওয়ার কারণ ফাঙ্গিকে গোড়া থেকে নির্মূল করে। তাই খুশকি দূর করতে লেবুর রস কিন্তু মাস্ট।
৫-৬ চামচ দই ও অর্ধেক লেবুর রস মেশান ভালো করে। এবার এই মিশ্রণ স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রেখে দিন ২০মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে নিন।এছাড়া লেবুর রস অল্প জলের সাথে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৫মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরা আপনার চুলের সব রকম সমস্যার সমাধান করে সেরকমই খুশকি নামক সমস্যাও অ্যালোভেরা নামক উপাদান দ্বারা দূর করা সম্ভব।
৪-৫চামচ অ্যালোভেরা জেল মাথার স্ক্যাল্পে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট মত অপেক্ষা করুন। ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু না করলেও চলবে।সপ্তাহে ২-৩ বার প্রয়োগ করা ভালো।
উপকরণ:
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে ২-৩ড্রপ টি ট্রি অয়েল স্ক্যাল্পে খুব ভালো করে ম্যাসাজ করুন। সকালে উঠে মাইল্ড শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ১বার করলে এই এসেন্সিয়াল অয়েল খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে।
খুশকি দূর করার ক্ষেত্রে আমলকির জুস খুব কার্যকরী।
আমলকি পাউডার ও জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। ১ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া ২-৩টি আমলকি পেস্ট করে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। ১ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে ২বার লাগালেই আপনার খুশকি দূর হবে।
আপনার কাছে এখন কিন্তু অনেক অপশন এবং প্রত্যেকটি কিন্তু একেবারে খুশকির যম। তাই সুবিধে মত উপাদান গুলি ট্রাই করুন। মাথা থেকে খুশকি দূর না হলে কিন্তু অনেক সময় নানা গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে চুলের যত্ন নেওয়া কিন্তু খুব দরকার। এগুলির যে কোনো একটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে কিন্তু আপনি একেবারেই খুশকি মুক্ত হবেন। তাই খুশকি দূর অভিযান শুরু করে দিন এখন থেকেই।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…