চন্দনের গন্ধ ভালোবাসেন না, এরকম বোধহয় কেউ নেই। প্যাচপ্যাচে গরমে, মনকে খুশি ও রিফ্রেশ করে দেয় এই সুন্দর গন্ধ। শুধু কি রিফ্রেশ করে তোলে! একটা সুন্দর হালকা পারফিউম নিজের পার্সোনালিটি আরও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু বাজারে খাঁটি চন্দনের গন্ধ যুক্ত পারফিউম পাওয়া বেশ মুশকিল। আর যদিও বা পাওয়া যায়, একটা পারফিউমই সারাবছরের পারফিউমের দামের সমান। তাহলে এক কাজ করুন বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন চন্দনের পারফিউম। যেটা দেবে একদম রিয়েল চন্দন পারফিউমের মতই গন্ধ। মজা না, সত্যি! বানানো কিন্তু খুব একটা কঠিন নয়। খালি আপনাকে আগে কিনে ফেলতে হবে উপকরণগুলো। তারপর কীভাবে বানাবেন? দেখুন।
৪ চামচ বীস ওয়াক্স গুঁড়ো, ৪ চামচ জোজোবা বা হালকা গন্ধ যুক্ত অলিভ তেল, ৩০ থেকে ৩৫ ড্রপ চন্দন এসেনশিয়াল অয়েল, ২৫ থেকে ৩০ ফোঁটা ভ্যানিলা অয়েল, ২৫ থেকে ৩০ ফোঁটা গ্রেপফ্রুট এসেনশিয়াল অয়েল।
বীস ওয়াক্স আগে ফুটিয়ে নিন। বীস ওয়াক্স সম্পূর্ণ গলে একদম মেলটেড হয়ে যাবে। একদম গলে গেলে এটা জোজোবা বা অলিভ তেলের সাথে মেশান। এবার এই মিশ্রণটা ঠাণ্ডা হবে। একদম ঠাণ্ডা না হওয়া অবধি পরের স্টেপে যাবেন না। গরম অবস্থায় এসেনশিয়াল অয়েল দিলে কিন্তু এসেনশিয়াল অয়েলের গন্ধ থাকবে না। তাই একদম ঠাণ্ডা হতে দিন একে। একদম ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এবার এতে এক এক করে এসেনশিয়াল অয়েলগুলো মেশাতে থাকুন। একটা ড্রপারে করে দিন। তাহলে পরিমাণগুলো ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন। যেমন বলা আছে সেই পরিমাণ অনুযায়ী প্রতিটা অয়েল দিতে থাকুন। একটা এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর আবার আরেকটা এসেনশিয়াল অয়েল দিন মিশিয়ে নিন। এইভাবে দিতে থাকুন। এসেনশিয়াল অয়েল মেশানো হয়ে গেলেই রেডি আপনার চন্দন পারফিউম।
একে এবার কোন স্প্রে বোতলেও রাখতে পারেন। তবে পুরোনো পারফিউমের শিশিতে রাখবেন না। আর নাহলে কোন গাঢ় রঙের, যেমন কালো রঙের কাঁচের বোতলে রাখুন। এরকম বোতলে গন্ধ অনেকদিন পর্যন্ত ঠিক থাকে।
➡ চন্দনের ফেস প্যাকে সুন্দর ত্বক
নেচার’স তত্ত্বা পিওর ন্যাচারাল বীস ওয়াক্স ফ্রম অরগ্যানিক হানি ফার্মস, ১০০ গ্রামস
দাম ২২০/-
মেরস্ক পিওর অ্যান্ড ১০০% ন্যাচারাল স্যান্ডালউড ফ্র্যাগর্যান্স প্রিমিয়াম গ্রেড এসেনশিয়াল অয়েল, ১০ মি.লি.
দাম ১৪০/-
র্যাল গ্রেপফ্রুট অয়েল, ১০০ পিওর, বেস্ট থেরাপিউটিক গ্রেড এসেনশিয়াল অয়েল, ১৫ মি.লি.
দাম ২৪৯/-
আর.ভি. এসেনশিয়াল পিওর ভ্যানিলা এসেনশিয়াল অয়েল, ১০ মি.লি.
দাম ২৪৯/-
যদি বেস অয়েল হিসাবে জোজোবা অয়েল ব্যবহার করেন, তাহলে প্রায় ২৪ মাস পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। কিন্তু যদি অলিভ তেল ব্যবহার করা হয় তাহলে ১২ মাস পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন আমণ্ড অয়েলও। সেক্ষেত্রে এটা থাকবে ৯ মাস।
এমনিতে এটা ব্যবহারে কোনোরকম সাইড এফেক্ট নেই। কিন্তু যদি আপনি প্রেগন্যান্ট হন, তাহলে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করবেন। বা সেটা রোজ ব্যবহার করবেন না। এবং পোশাকের ওপর লাগাবেন। নাহলে এসেনশিয়াল অয়েলের পরিমাণ একটু কমিয়ে নিতে পারেন।
তাহলে দেখলেন তো চন্দন পারফিউম বানানো কত সহজ? খালি লাগবে উপকরণগুলো। যেগুলো আপনি অনলাইনই পেয়ে যাবেন। ব্যাস, তাহলে আর দেরী কীসের? নিজেকে আসল চন্দনের গন্ধে ভরিয়ে তুলতে চটপট কিনে ফেলুন উপকরণগুলো। প্যাচপ্যাচে গরমে ঘামে, এই মিষ্টি সুগন্ধে শুধু আপনি নন, আপনার চারপাশে সবাই খুশি হয়ে যাবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…