গালে একটি ছোট্ট টোল, আর তাতেই কেল্লাফতে। একসময়ে গালে টোল নিয়ে ভুবন ভোলানো হাসিতে মাত করেছিলেন প্রীতি জিন্টা। আর বর্তমানে আলিয়া ভাট বলুন বা দীপিকা পাডুকোন, এক চিলতে টোলে তাঁদের মুখের সৌন্দর্য যেন আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
জানলে অবাক হবেন যে টোলের জন্য চেহারার সৌন্দর্য বেড়ে যায়, তা কিন্তু আসলে জিনগত ত্রুটি। শারীরিক গঠনের একেবারে শুরুর দিকে সাবকিউটেনাস কানেক্টিভ টিস্যুর পরিবর্তন ঘটার ফলেই কিন্তু গালে টোল পড়ে। তবে আপনার যদি গালে টোল পড়া মুখ পছন্দ হয়, আর আপনার গালে যদি টোল না পড়ে তাহলে চিন্তার কিছুই নেই। এই সহজ কিছু স্টেপ মেনে চললে প্রাকৃতিকভাবেই গালের টোল বানাতে পারবেন আপনিও। ট্রাই করেই দেখুন না হয়।
১. পাউটের কামাল
- প্রথমে ঠোঁট দুটো পাউট করে নিন। অর্থাত ঠিক যেমন ভাবে পাতিলেবু বা মৌসম্বি লেবু চুষে খান ঠোঁটদুটিকে অনেকটা সেইরকম করে নিন।
- ঠোঁটদুটির অবস্থান এমন হবে, গালদুটি যাতে ভেতরের দিকে ঢুকে যায় এবং দাঁতের সঙ্গে দাঁত যেন লেগে না যায়। তবে ঠোঁটদুটি যেন বন্ধ থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- প্রসঙ্গত, এই পদ্ধতিটি কিন্তু লোকমুখে প্রচারিত। এর কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তাই মুখের এই ব্যয়াম অভ্যাস করলেই যে গালে টোল পড়বে একথা জোর দিয়ে বলা যায় না।
২. গালের টোলের অংশ খুঁজে চেপে ধরুন
- আপনার গালের এমন অংশগুলি খুঁজে বের করুন, যেখানে টোল পড়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে, অর্থাৎ গালের ইন্ডেন্টেশন অংশ আগে খুঁজে বের করতে হবে।
- তারপর সেই স্পটটি দুই হাতের তর্জনীর সাহায্যে আলতো করে ধরে রাখুন।
- তবে যদি মনে হয় তাহলে বুড়ো আঙুল বা পেন্সিলের গোল অংশটি দিয়ে আপনার গালের স্পটটিতে চেপে ধরে রাখুন।
৩. হাসুন এবং সেইসঙ্গে আপনার আঙুলের অবস্থান পরিবর্তন করুন
- উপরের স্টেপটি অনুসরণ করেই মেনে চলুন এই স্টেপটি। সেক্ষেত্রে আপনার গালের যে অংশে টোল পড়তে পারে সেখানে আপনার আঙুলগুলি চেপে ধরুন এবং একই সঙ্গে হাসুন, অর্থাৎ আপনার ঠোঁটের অংশ স্ট্রেচ করুন।
- এইভাবে ধীরে ধীরে আপনার হাসিকে আরও খানিকটা প্রশস্ত করে দিন। গালে টোলের অংশ চেপে ধরে আপনার হাসিকে আরও বেশি প্রশস্ত করুন। প্রয়োজনে দাঁত বের করে হাসতে থাকুন।
- দেখা গিয়েছে, যারা মুখ খুলে হাসে অর্থাৎ যাদের হাসি প্রশস্ত তাদের মুখে বেশি ভাল টোল পড়ে। তবে এই পদ্ধতি মেনে চলার সময়ে আয়নায় আপনার মুখের পরিবর্তন খেয়াল রাখুন।
- মাঝে মাঝে যদি আপনার আঙুলের অবস্থান খানিকটা দূরে বলে মনে হয়, তাহলে সেইমতো আঙুলের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটাতে পারেন।
৪. ৩০ মিনিট বা তারও বেশি সময় ধরে গাল চেপে ধরুন
- আপনার গালে দীর্ঘস্থায়ী টোল তৈরি করার জন্য আপনাকে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ধরে আপনার ইন্ডেন্টেশনগুলি চেপে ধরে রাখুন।
- তবে যত বেশি সময় ধরে আপনি যথাস্থানে আপনার ‘ডিম্পল মার্ক’ চেপে ধরবেন, আপনার ডিম্পল মার্ক তত বেশি দীর্ঘস্থায়ী হবে।
- অতীতে গালে ডিম্পল মার্ক তৈরি করার জন্য কিছু মেকানিক্যাল ডিভাইস ব্যবহার করা হত। তবে এই ধরণের ডিভাইস কখনওই বৈজ্ঞানিকভাবে কাজ করার পক্ষে প্রমাণিত হয়নি।
৫. প্রতিদিন এই নিয়মের পুনরাবৃত্তি করুন
- গালে সুন্দর টোল তৈরি করতে প্রত্যেক দিন ৩০ মিনিট ধরে এই অনুশীলন করে যান।
- এইভাবে একমাস পরে আপনার গালে সুন্দর টোল ফুটে উঠতে পারে।
- আরও একবার বলছি, এইভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে আপনার গালে টোল পড়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
এইভাবে এক মাস অভ্যেস করার পরেও যদি আপনার গালে কোনও খাঁজ অনুভব না করেন, তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনি আশাহত হতে পারেন, এবং এই অভ্যাস ছেড়েও দিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে পরিষ্কারভাবে একটা কথা বলে দেওয়া ভাল যে, এক মাস, ধরে টানা চেষ্টা করার পরেও যদি গালে টোল না পড়ে, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে, এই নিয়ম আপনার পক্ষে কার্যকর নয়।