মেথি বা ফেনুগ্রিক সাধারণত রান্নায় ব্যবহৃত হতে দেখি। মেথি পরোটা বা মেথি চিকেন খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। উত্তর ভারতের যেকোনো রকম খাবার তৈরির সময় মেথি ব্যবহার করা হয়। মেথি শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এতে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, ভিটামিন সি, আয়রণ, পটাসিয়াম, নিকোটিনিক অ্যাসিড ও লিকিথিন থাকে।
মেথি যে শুধু খাবারকে উপাদেয় ও স্বাস্থ্যসম্মত করে তাই নয়, এটি আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। বিশেষ করে নিকোটিনিক অ্যাসিড ও লিথিনিক থাকার জন্য মেথি চুলের যে কোনো রকম সমস্যা, বিশেষ করে চুল পরা ,বা চুলের ঘনত্ব কমে যাওয়া বা চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে সক্ষম। এছাড়া মেথি আমাদের ত্বকের নানা রকম সমস্যা যেমন, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো বা ত্বকের মসৃণতা বাড়ানো বা পোড়া দাগকে সরানো ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে সাহায্য করে। তবে আজ জেনে নি চুলকে ভালো রাখার জন্য আমরা মেথি কে কি কি ভাবে ব্যবহার করতে পারি।
লম্বা কালো ঘন চুল প্রায় সব মেয়েরই কাম্য। কিন্তু শরীরের নানা সমস্যা বা ঠিক মতো ঘুম না হওয়া বা অতিরিক্ত স্ট্রেস, এছাড়া খারাপ জল বা ধুলো বালি ইত্যাদি নানা কারণে আমাদের চুল পরে যায়, বা চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই আসুন জেনেনি মেথির কয়েকটি সহজ ঘরোয়া উপায় যা আমাদের চুলের নানা সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম।
মেথি জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে মেথি সমেত জল মিক্সিতে পিষে পেস্ট মতো বানিয়ে নিন। এবার কিছুটা লেবুর রস, অল্প জল ওই পেস্ট এ মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি ভালো করে মাথায় ও পুরো চুলে লাগিয়ে নিন।
এক ঘন্টা রাখার পর উষ্ণ গরম জলে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। তবে মনে রাখবেন গরম জল দিয়ে ভালো করে মাথা ধোয়ার পরেই শ্যাম্পু করা কাম্য। এতে আপনার চুল পড়ার সমস্যাটি কম হবে, চুলের রুক্ষতা কম হবে।
এছাড়া নারকেল তেলের সাথে মেথিগুঁড়ো মিশিয়ে মাথায় মাখলেও চুল পড়ার সমস্যা দূর হয়।
অনেক সময় আমাদের মাথার চামড়াতে খুশকি জমে, বা ময়লা জমে, বা চামড়া রুক্ষ হয়ে যায়, যার ফলে মাথা চুলকোয়। এটি ভদ্র সমাজে সকলের সামনে আপনাকে লজ্জায় ফেলে।
এর থেকে মুক্তি পেতে এককাপ মেথি সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে মিক্সিতে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার একটি ডিম ফাটিয়ে ভালো করে ওতে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি মাথায় এবং চুলে ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। প্রথমে জল দিয়ে ভালো করে আপনার চুল ও মাথা পরিস্কার করুন। পরে ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে চুলকানির সমস্যাটি দূর হবে এবং চুল নরম ও মসৃন হবে।
অনেক সময় খুব অল্প বয়সেই অনেকের চুল সাদা হতে শুরু করে। চুলের অকালপক্কতা রোধ করতে ব্যবহার করতে পারেন মেথি। মেথি জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কয়েকটি কারিপাতা জলে সেদ্ধ করে ঠান্ডা করে নিন। এবার মিক্সিতে মেথি এবং সেদ্ধ করা কারিপাতা ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট মতো বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
এছাড়া একই পদ্ধতিতে মেথি এবং আমলকির পেস্ট বানিয়ে মাথায় লাগালে তা চুলের অকালপক্কতা রোধ করে।
আমাদের সকলেরই কম বেশি খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। যার ফলে আমাদের চুল রুক্ষ হয়ে যায় ও চুল ঝরে যেতে থাকে। মেথির পেস্ট বানিয়ে তাতে টক দই মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ভালো করে মাথায় লাগিয়ে নিন। মেথির মধ্যে লিকিথিন থাকে যা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…