”ফাটে হোঠ?মুসকুরানে কে লিয়ে মদত চাহিয়ে?”শীত কাল আসলেই আমার এই বিজ্ঞাপনটির কথা মনে পড়ে যায়।কারণ শীতের শুরু থেকেই আমাদের ঠোঁট ফাটতে শুরু করে আর সত্যিই কিন্তু এই অবস্থায় হাসতে কষ্ট হয় বৈকি।এমন কি ফাটা ঠোঁট নিয়ে প্রিয় মানুষটিকে আদর করাও মুশকিল হয়ে যায়।তাই তো বলছি,এবারে শীত আসার আগে থেকেই সাবধান হয়ে যান আর ঠোঁটের যত্ন নেওয়া শুরু করে দিন।তাহলেই কিন্তু ঠোঁট ফাটার সম্ভাবনা থাকবে না।তবে কিভাবে নেবেন এই যত্ন তা জানতে হলে পড়ে ফেলুন আজকের আর্টিকেল।
আমাদের ঠোঁট দুটি কিন্তু খুবই স্পর্শকাতর।তাই এর যত্ন বিশেষ ভাবে নেওয়া উচিত।আমার মতে সারাবছরই ঠোঁটের প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন,তবে শীত কালে একটু বেশি খেয়াল রাখা উচিত।শীতের সময় আমাদের ত্বকের মতই আমাদের ঠোঁট দুটিও নমনীয়তা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে যায়,ফলত তা ফেটে যায়।তবে আজ আমি আপনাদের জানাব ৫টি সহজ উপায় যা এখন থেকেই ফলো করলে এবারের শীতের রুক্ষতা কিন্তু আপনার নরম ঠোঁট দুটিকে স্পর্শ করতে পারবে না।
আমাদের অনেকেরই নখ দিয়ে বা দাঁত দিয়ে ঠোঁটের শুকনো চামড়া তোলার অভ্যেস আছে।এই ব্যাপারটি একেবারে বাদ দিতে হবে।কারণ এতে ঠোঁটের আরো বেশি ক্ষতি হয়।এক্ষেত্রে দিনে অন্তত একবার করে আপনার ঠোঁট দুটিকে স্ক্রাব করুন।
উপকরণ
১/২ চামচ চিনি ও ১/২ চামচ মধু।
পদ্ধতি
দুটি উপকরণ সমানভাবে মিশিয়ে হালকা করে এই মিশ্রণটি দিয়ে ঠোঁট দুটিকে স্ক্রাব করুন।এতে আপনার ঠোঁটের শুকনো চামড়া,ডেড স্কিনগুলি পরিষ্কার হয়ে যাবে।এর পর ঠোঁট দুটি ধুয়ে ওতে লিপবাম লাগিয়ে নিন।এতে কখনই আপনার ঠোঁট ড্রাই হবে না এবং ফেটেও যাবে না।
আমি ভালো করেই জানি যে আপনার ঠোঁট দুটি বারবার শুকিয়ে যায় এবং তার ফলে হওয়া অস্বস্তি থেকে বাঁচতেই ঠোঁট দুটি বারবার চাটতে শুরু করেন।যতবার এই কান্ডটি আপনি ঘটান ততবার কিন্তু বেশি করে তা শুকিয়ে যায়।তাই যতই আপনার অস্বস্তি হোক না কেন এই স্বভাবটি কিন্তু ত্যাগ করতেই হবে।এক্ষেত্রে আপনি ব্যাগে লিপবাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি রাখতেই পারেন।
শশা আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী তা আর নতুন করে বলার দরকার নেই।শীতের হাত থেকে নিজের ঠোঁটকে রক্ষা করার জন্যও কিন্তু আপনি নির্দ্বিধায় এই উপাদান ব্যবহার করতেই পারেন।
উপকরণ
কয়েক টুকরো শশা।
পদ্ধতি
শশার খোসা ছাড়িয়ে কয়েক টুকরো নিয়ে মিক্সিতে বেটে জুস বের করে নিন।এবার তা ২-৩ বার তুলোয় ভিজিয়ে ঠোঁটে লাগান।৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।এতে কিন্তু আপনার ঠোঁটের পাতলা চামড়া সুরক্ষিত থাকবে।
নারকেল তেল হলো সবথেকে সহজ উপায় যার দ্বারা আমরা সহজেই আমাদের ঠোঁটকে রুক্ষ হয়ে ফাটার হাত থেকে রক্ষা করতে পারি।যদি আপনার ঠোঁট ফেটে গিয়েও থাকে তাহলেও কিন্তু নারকেল তেল তা সারিয়ে তুলতে বিশেষ সাহায্য করবে।
উপকরণ
১/২ চামচ নারকেল তেল ও ১/২ চামচ মধু।
পদ্ধতি
দুটি উপকরণ ভালো করে মিশিয় নিন।এই মিশ্রণ দিনে ২-৩ বার ঠোঁটে লগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট।পরে তা ধুয়ে ফেলুন।এতে ঠোঁটের নমনীয়তা বজায় থাকবে এবং রুক্ষতা দূর হবে।
শীতকালে আপনার ঠোঁটের যত্ন নিতে ঘি ব্যবহার করুন।এই উপাদান কিন্তু অনেকক্ষণ পর্যন্ত ঠোঁটের নমনীয়তা রক্ষা করে এবং সহজে রুক্ষ হতে দেয় না।এটি আপনার ঠোঁটের ফাটা বা কোনো রকম এলার্জি হলে তা সহজেই দূর করে।দিনে দুবার করে সামান্য ঘি আপনার ঠোঁটে লাগান।দেখবেন আপনার ঠোঁট এবারের শীতে কিন্তু কোনো ভাবেই রুক্ষ হবে না।
এছাড়া বেশি করে জল খাওয়া প্রয়োজন।সিজিনাল ফল যেমন কমলালেবু,আপেল ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে,এতে আপনার শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব,যা এই ঠোঁট ফাটার মূল কারণ তা দূর হবে।এছাড়া নিয়মিত শাক সবজি,ইত্যাদি খাওয়াও খুব প্রয়োজন এই সময়।উপরের উপায়গুলি প্রত্যেকটি আপনার ঠোঁট দুটিকে রক্ষা করবে,তাই এগুলি মেনে চলুন।আপনার ব্যাগে সবসময় লিপবাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি রাখুন এবং প্রয়োজনে তা ব্যবহার করুন।
মনে রাখবেন আমাদের ত্বকের থেকে আমাদের ঠোঁটের চামড়া অনেক বেশি পাতলা।তাই প্রয়োজন একটু যত্ন ও একটু সচেতনতা।তাহলেই কিন্তু এবারের শীত আপনার প্রাণ খোলা হাসিটি কেড়ে নিতে পারবে না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…