হঠাৎ একদিন খেয়াল করলেন আপনার ঠোঁটের উপর গোঁফের মত দেখা যাচ্ছে। অথবা কানের পাশটায় মোটা মোটা লোম উঠেছে। কি একটা বিশ্রী ব্যাপার! না পারবেন ঢাকতে, না পারবেন নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে৷
ছেলে মেয়ে সবারই শরীরে ও মুখে লোম গজায়। পার্থক্য হচ্ছে, উভয়ের শারীরিক গঠন। ছেলেদের শরীরের লোম মোটা ও বড় হয়, যা মেয়েদের ক্ষেত্রে উল্টো। বিপত্তি তখনই হয় যখন মেয়েদের লোম অস্বাভাবিকভাবে বড় ও মোটা হতে শুরু করে।
আর এই লোমবৃদ্ধির ব্যাপারটা যখন মুখে হয় তখন সমস্ত সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। আজকে কথা বলব কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দূর হবে ফেসিয়াল হেয়ার সে সম্পর্কে।
ফেসিয়াল হেয়ার বা মুখের অবাঞ্ছিত লোমকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে হারসুটিজম। হারসুটিজম হলে মেয়েদের মুখে, বিশেষ করে ঠোঁটের উপরে ও চোয়ালে বাড়তি লোম গজিয়ে পুরুষালী ভাব আসে। এছাড়া পিঠে, বগলে, বুকেও লোম গজায়।
শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বেশি হলে। এই হরমোন মূলত পুরুষদের শরীরে থাকে। মেয়েদের শরীরেও এটি সামান্য পরিমাণে থাকে। কিন্তু যখন এর পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তখন অবাঞ্ছিত লোম গজায়।
মাস্কটা লাগানোর আগে মুখ ভালোমতো পরিষ্কার করে নিন। এরপরে গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে মুখের উপর ৫ মিনিট চেপে রাখুন। এতে পোরগুলো খুলে যাবে আর মাস্ক ত্বকের ভিতরে ঢুকতে পারবে।
সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট বানান, সাথে সাথেই ব্যবহার করুন। হালকা গরম দুধের কারণে মিশ্রণটা গরম লাগবে তাই একটু ঠান্ডা করে নিবেন। বেশী দেরি করলে মিশ্রণটা শক্ত হয়ে যাবে। তখন ব্যবহারের আগে ওভেনে ৫ সেকেন্ড রেখে দিবেন।
এবারে চোখের গোলাকার অংশ বাদে সারা মুখে মাস্কটা নরম ও ফ্ল্যাট মেকআপ ব্রাশ দিয়ে লাগান। মাস্কটা শুকাতে ৩০ মিনিট লাগবে। এরপরেও যদি ভেজাভাব থাকে তাহলে আরও ৫ মিনিট শুকাতে দিন।
শুকিয়ে আসলে চোয়ালের দিক থেকে আস্তে আস্তে উপরের দিকে টেনে তুলুন। এভাবে তুললে ফেসিয়াল হেয়ার পুরোপুরি উঠে আসবে। মাস্ক তোলার পরে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
এরপরে সাথে সাথে বরফ খন্ড দিয়ে মুখ ঘষে নিন চেহারায় জ্বালাভাব ও রেডনেস কমানোর জন্য। তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান। সপ্তাহে একবার বা দুইবার জেলাটিনের মাস্ক ব্যবহার করলে ফেসিয়াল হেয়ার, দাগছোপ, পোড়া দাগ উধাও হয়ে যাবে।
মুখ পরিষ্কার করে গরম তোয়ালে দিয়ে চেপে নিন৷ সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ব্রাশ দিয়ে লোমের জায়গায় লাগিয়ে নিন। কমপক্ষে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকানোর জন্য।
যদি না শুকায় তাহলে আরো ৫-৭ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে আসলে মাস্কটা ঝরে পড়বে, সাথে ফেসিয়াল হেয়ারও। এরপরে স্বাভাবিক পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…