উজ্জ্বল ত্বকের চাবিকাঠি কিন্তু এখন থেকে থাকবে আপনার হাতের মুঠোয়। শীতের রুক্ষতা হোক বা গরমের দাবদাহ সব কিছুকে পেছনে ফেলে আপনার ত্বককে করে তুলুন নিদাগ এবং জেল্লাদার।
কারণ আপনার সৌন্দর্য্যকে বাড়িয়ে তুলতে আমি নিয়ে এসেছি ৫টি ফেস মাস্ক যা কিন্তু আপনার উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার মনের বাসনাকে একেবারে ১০০% পূর্ণ করবে। এগুলি সবই ঘরোয়া উপাদান দিয়ে তৈরী, কাজেই এই ফেস মাস্কগুলি বানানো একেবারেই সহজ। তাই সময় নষ্ট না করে চটপট দেখে নিন ফেস মাস্কগুলি বানানোর পদ্ধতি।
আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে রাইস ফ্লাওয়ার বা চালের আটা কিন্তু খুব উপকারী এবং কার্যকরী। এই ফেস মাস্ক নতুন সেল প্রোডাকশনে সাহায্য করে এবং কোলাজেনকে ইমপ্রুভ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে। রাইস ফ্লাওয়ার বাজারেই কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়া অ্যামাজনে আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন।
প্রথমে একটি টমেটো মিক্সিতে বেটে জুস বের করে নিতে হবে। একটি পাত্রে পরিমাণ মত রাইস ফ্লাওয়ার, আটা ও দুধ নিয়ে তার সাথে টমেটোর জুস মিশিয়ে স্মুদ পেস্ট মত বানিয়ে নিন। এবার ভালো করে মুখ ধুয়ে মুখে এই ফেস মাস্কটি লাগান। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৪ দিন ব্যবহার করলে কিন্তু আপনি খুব ভালো ফল পাবেন।
বেসন ফেস্ক মাস্ক আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুব সহজে এবং খুব তাড়াতাড়ি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে। এটি যেকোনো রকম স্কিনের জন্যই খুব ভালো এবং কার্যকরী।
একটি পাত্রে পরিমাণ মত নারকেল তেল, বেসন, হলুদ, দুধ ও মধু ভালো করে মিশিয়ে ফেস মাস্কটি তৈরী করুন। প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে এরপর ফেসমাস্কটি মেখে নিন। ২০ মিনিট পর ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনি সপ্তাহে প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে।
কমলালেবুর খোসা মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করলে কিন্তু আপনি ইনস্ট্যান্ট গ্লো পেয়ে যেতে পারেন। তবে এই মাস্ক নিয়মিত ব্যবহার করলে কিন্তু আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
কমলালেবুর খোসা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিয়ে মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন। এবার একটি পাত্রে ৩ চামচ কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো, ২ চামচ দই ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে ফেস মাস্কটি তৈরী করুন। ভালো করে মুখে মেখে পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন আপনি এই ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারবেন।
এই ফেস মাস্কটিও কিন্তু খুব উপকারী ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে যা ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।
একটি গাজর মিক্সিতে ভালো করে বেটে নিন। এর সাথে পরিমাণ মত দই ও মধু মিশিয়ে ফেস মাস্ক টি তৈরী করুন। পরিষ্কার মুখে ভালো করে মাস্কটি লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন কিন্তু এই ফেস মাস্ক আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
পটেটো ফেস মাস্কটি কিন্তু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। তাই চটজলদি উজ্জ্বল ত্বক চাইলে এই ফেস মাস্ক কিন্তু খুব কার্যকরী।
আলুকে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে গোলাপ জল সমেত মিক্সিতে বেটে নিন। এর সাথে পরিমাণ মত মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে ফেস মাস্কটি বানিয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক যদি খুব বেশী ড্রাই হয় তাহলে লেবু ব্যবহার না করাই ভালো। আর ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে মধু ব্যবহার না করলেও চলবে। এবার এই মাস্কটি মুখে মেখে রাকুন ১৫ মিনিট। আপনার মুখে যদি কোনো রকম সেন্সেশন হয় তাহলে ভয় পাবার কিছু নেই। ১৫ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ দিন এই মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
তাহলে আপনার কাছে এখন ত্বক উজ্জ্বল করে তোলার অনেক অপশন। সুতরাং বেছে নিন কোনটি সব থেকে বেশী উপকারী আপনার ত্বকের জন্য। মাস্কগুলি ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক তাই এর ব্যবহার কিন্তু অত্যন্ত মাত্রায় সুরক্ষিত। তাই দেরী না করে আপনার রূপচর্চা এবার নিজেই শুরু করে দিন এবং হয়ে উঠুন উজ্জ্বল এবং স্পটলেস ত্বকের অধিকারী।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…