পার্টনার বুঝঝে না আপনাকে? আবার পার্টনারকে ছেড়ে থাকতেও পারছেন না তাই তো? সম্পর্কের এই টানাপড়েনের মাঝে নিজেকে খুব একা লাগছে, কিছুই ভালো লাগছে না। কিন্তু মনতো ভালো রাখতেই হবে তাই না। কারণ নিজেকে ভালো রাখতে না পারলে, অন্য কাউকে ভালো রাখবেন কি করে। এটা কি অসম্ভব মনে হচ্ছে? না অসম্ভব কিছুই না। খালি দরকার একটু চেষ্টা। তখন দেখবেন আবার আগের মত ভালো থাকা কেমন সহজ হয়ে যাচ্ছে।
আপনার এই একাকীত্ব, বিষণ্ণতা এটা কিন্তু শুধু আপনার পার্টনারের ওপর নির্ভর করে না। বরং আপনি নিজে নিজেকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন? সেটাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ।আদৌ আপনি নিজেকে গুরুত্ব দেন? নিজে ভালো থাকার চেষ্টা করেন? নাকি সবটাই পার্টনারের ওপর ছেড়ে দেন ভেবে দেখুন। আপনি কি পুরোটাই আপনার পার্টনারের ওপর নির্ভরশীল? সবটাই পার্টনারের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে নিজের ওপর নির্ভরশীল হন। তাহলে আর একা লাগে না। একবার ভেবে দেখুন আপনি এমন কিছু চাইছেন না তো? যেটা আপনার পার্টনারের পক্ষে দেওয়া সম্ভবই না। ভালো করে ভাবুন।
সব সময়টা পার্টনারকে না দিয়ে নিজেকে একটু সময় দিন। আপনার কোন কোন বিষয়ে প্যাশন আছে সেটা নিয়ে চর্চা করুন। যাতে সেই বিষয়ে আপনি হয়ে উঠতে পারেন মাস্টার মাইন্ড। এতে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানও বাড়বে। বাইরে বেরন, বন্ধুদের সঙ্গে কথাও ঘুরে আসুন। চুটিয়ে আড্ডা দিন। পার্টনার ছাড়াও ভালো বন্ধু সবারই থাকে যাকে আপনি বিশ্বাস করেন। তাকে মনের কথা প্রান খুলে শেয়ার করুন। এতেও মন হালকা লাগে।
সম্পর্ককে সুন্দর ভাবে নিয়ে যেতে গেলে কিন্তু অনেকটা মানিয়ে চলতে হয়। পার্টনারের সঙ্গে হয়তো খুব ঝগড়া হয়েছে, কিন্তু তার জন্য মুখ ফিরিয়ে বসে থাকলে চলবে না। যদি মনে করেন পার্টনার যতক্ষণ না নিজে এগিয়ে আসছে, আপনিও কোন কথা বলবেন না তাহলে খুব ভুল করছেন। মনে রাখবেন ভালোবাসায় কিন্তু কোনোরকম ইগো থাকেনা। সে না এগিয়ে এলেও আপনি যান তার কাছে। হয়তো সেও আপনার জন্যই অপেক্ষা করছে, কিন্তু বলতে পারছেনা। প্রতি ঝগড়ায় সবসময় পার্টনারই যে রাগ ভাঙ্গাবে এমন কোন কথা নেই।
মনে রাখবেন ভালো বন্ধু হলে তবেই কিন্তু ভালো পার্টনার হাওয়া যায়। এমনভাবে তার পাশে থাকুন যাতে সে তার সমস্ত কথা প্রান খুলে বলতে পারে। তার ব্যার্থতাটাও যাতে প্রান খুলে শেয়ার করতে পারে। সম্পর্কে একটু স্পেস জরুরী। তাকে অযথা সন্দেহ বা একাধিক প্রশ্ন করবেন না। তাকে একটু তার মত থাকতে দেওয়াও দরকার। বিশ্বাস না থাকলে কিন্তু সম্পর্ক টেকে না।
সম্পর্কে একাকীত্ব অনেক সময় ঠিক মত কথা না বলার জন্যও হয়। দুজন দুজনের থেকে কিছু লুকিয়ে যাবেন না । সবটাই পার্টনারের সঙ্গে শেয়ার করুন। এর অভাবেই আসে ঝগড়া, একাকীত্ব। হয়তো সেও কোন সমস্যায় আছে আপনাকে বলতে পারছে না। তার সঙ্গে কথা বলুন, তাকে সেই সমস্যা থেকে বেড়িয়ে আসতে সাহায্য করুন। আপনার খারাপ লাগাটা পার্টনারকে বোঝান। যদি সরাসরি বলতে না পারেন, তাহলে হোয়াটস্ অ্যাপ বা মেসেজের মাধ্যমে বোঝান।
অনেক সময় পার্টনারকে সময় না দেওয়ার জন্য একাকীত্ব আসে। তাই তাকে উপযুক্ত সময় দিন। যদি সে সময় না দেয় তাহলে ঝগড়া না করে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন, হয়তো সে সত্যি এখন কোন কাজে ব্যাস্ত আছে। চাইলেও সময় বার করতে পারছে না।
হয়তো ঝগড়া হয়েছে কিন্তু আপনি নিজেই কিছু করুন। হঠাৎ একটা ডিনার ডেটের ব্যবস্থা করুন। তার পছন্দের কোন জেয়গায় সারাদিন দুজন কাটিয়ে আসুন। বা তার কোন পছন্দের সিনেমা দেখে আসুন। সে সারাদিন অফিসে কি কি করল জিজ্ঞাসা করার পরিবর্তে, তার সঙ্গে বসে তার প্রিয় টিভি শো দেখুন। দেখতে দেখতে তার সঙ্গে হাসির কোন বিষয় নিয়ে গল্প করুন। তাকে হাসান। আর যদি আপনার কোন ভুল থাকে তাহলে তাকে জাস্ট জড়িয়ে ধরে সরি বলে দিন। এই একটা সরিও অনেক সময় সবকিছু ঠিক করে দেয়।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন। এতেও কাজ না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর কোন কিছুতেই কাজ না হলে, আপনাকে আর একবার ভেবে দেখতে হবে, যে এরম সম্পর্কে আপনি আদৌ সারাজীবন থাকতে পারবেন কিনা, যেখানে আপনি শুধুই একা।
https://dusbus.com/bn/sorir-sorir-tomar-mon-nai/
https://dusbus.com/bn/dirgho-dampotter-poreo-uddam-miloner-dosti-cabikathi/
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…