শীতকালে আবহাওয়ার জন্য ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু যদি গরমে আপনার স্কিন ড্রাই হয়ে থাকছে, তাহলে বস একটু কেয়ার না নিলে মুশকিল। গাদা গাদা টাকা খরচ করে পার্লারে গিয়ে যত্ন নিতে পারেন ইচ্ছে হলে। কিন্তু নানা রকমের কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপায়ে নিজের ত্বকের যত্ন নিন।
আর তাই পার্লার না আজকের আর্টিকাল মন দিয়ে পড়ুন। আমি নিজে যা যা উপায়ে স্কিনের যত্ন নিয়ে থাকি, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। খুব সহজ। শুধু প্রয়োজন একটু সময় ও কেয়ার।
ফেস প্যাক লাগালেই শুধু ত্বকের যত্ন নেওয়া হয় না। ত্বকের রোজ কেয়ার নেওয়া খুবই জরুরি। সকাল থেকে রাত অব্দি সামান্য কয়েকটা বিষয় খেয়াল রাখলে ৫০ % কাজ হয়ে যাবে। কি কি করবেন –
ঘুম থেকে ওঠার পর রোজ সকালে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন।
সপ্তাহে একদিন অন্তর একদিন ঠাণ্ডা জলের বদলে প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন তারপর তা ঠাণ্ডা জল দিয়ে পরিষ্কার করুন।
বাইরে বেরোনোর থাকলে অবশ্যই সান স্ক্রিন মেখে বেরবেন।
সারাদিনে ৩ থেকে ৪ বার মুখ ধোবেন। ঠাণ্ডা জলে। এতে স্কিন সতেজ থাকে।
রাতে ঘুমনোর আগে পারলে মুখ ধুয়ে তারপর ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নাইট ক্রিম মেখে শোবেন।
এই বেসিক জিনিস রোজ করলে স্কিনের স্বাভাবিকতা বজায় থাকে। স্কিন রুক্ষ হয় না। জেল্লা থাকে সবসময় মুখে।
নিমপাতা স্কিনের যত্ন নেয় ভেতর থেকে। এই ফেস প্যাকটি আমি প্রায় ৬ মাস ধরে নিয়মিত ব্যবহার করছি। একমাসের মধ্যেই রেজাল্ট পেতে শুরু করে দিয়েছিলাম। এখনও নিয়মিত সপ্তাহে একবার করে করি।
নিমপাতার পেস্ট হাফ বাটি
টকদই ২ চা চামচ
মধু ২ চা চামচ
নারকেল তেল ২ চা চামচ
গোলাপজল একচা চামচ
উপরের সবকটি উপকরণ পরিমান মত একটি কাঁচের বাটিতে মিশিয়ে নিন ভালো ভাবে।
৩০ মিনিট মত ফ্রিজে রেখে দিন মুখে লাগানোর আগে।
এবার মুখ ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিয়ে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
তুলো দিয়ে প্যাকটি মুখে লাগান ভালো করে। এটি গলায় ঘাড়েও লাগাতে পারেন।
ফেস প্যাক লাগানো হয়ে গেলে হাতে সামান্য নারকেল তেল লাগিয়ে মুখ ম্যাসাজ করুন।
ফেস ম্যাসাজ করুন ১০মিনিট মত। তারপর প্যাকটি শুকিয়ে যেতে দিন।
একদম হালকা গরমজল করে তাতে তুলো ভিজিয়ে মুখ থেকে প্যাক পরিষ্কার করে নিন। তারপর ঠাণ্ডা জলে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন।
আপনি ঘরে নর্মাল যে ক্রিম মুখের জন্য ব্যবহার করেন তা লাগিয়ে নিন।
খেয়াল রাখবেন প্যাক লাগিয়ে বা প্যাক লাগানোর পর রোদে যাবেন না।
প্রথম একমাস সপ্তাহে দুদিন করে করুন। তারপর সপ্তাহে একবার করে করলেও দেখবেন স্কিন দারুন দেখাচ্ছে।
এটি চাইলে সারা শরীরেও লাগানো যেতে পারে। আপনাদের সময় থাকলে অবশ্যই লাগাবেন।
ত্বকের রুক্ষ শুষ্ক ভাব বলে কিছু থাকবে না বরং মোলায়েম হয়ে উঠবে আপনার স্কিন। ভালো রেজাল্ট পেলে আমাদের জানাতে ভুলবেন না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…