মেকআপ করা একটা আর্ট, ভালো মেকআপ করার টেকনিক যেমন আয়ত্ব করা দরকার, তেমনই ড্রাই স্কিনে মেকআপ করার জন্য বিশেষ কিছু টেকনিক রপ্ত করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে যদি ভালো করে মেকআপ অ্যাপ্লাই করতে না পারেন, তাহলে কিন্তু সুন্দর লাগার থেকে বরং আরও খারাপ দেখতে লাগতে পারে আপনাকে। তবে যদি সহজ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তাহলে কিন্তু শুষ্ক ত্বকের মালকিনরাও হয়ে উঠতে পারেন অপরূপা।
আপনার ত্বকের উপরিভাগে তৈরি হওয়া কোনও মৃত কোষ থাকলে তা সরানো খুব প্রয়োজন। কারণ এতে করে আপনার মেকআপটি হবে স্মুদ। এর জন্য মুখে একটা মাইল্ড স্ক্রাব ব্যবহার করুন, যা মেকআপ করার আগে ত্বকের উপর থেকে নিস্তেজ, মৃত কোষকে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য় করবে।
ময়েশ্চারাইজিং আপনার প্রতিদিনের ত্বকের যত্নের রুটিনের অংশ হওয়া উচিত। বিশেষত যদি আপনার শুষ্ক হয়, তাহলে তার হাইড্রেশনের বিশেষ প্রয়োজন হয়! এসপিএফ-যুক্ত ময়েশ্চারাইজার লাগান, এমনকি শীতেও! আপনার ত্বকে হাইড্রেট করার পাশাপাশি তা চামড়া কুঁচকে যাওয়া হ্রাস করে।
মেকআপের অধিকাংশ সাফল্য আসে যদি সঠিক অ্যাপ্লিকেটর ব্যহার করা হয়। এর অর্থ হল মুখে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে তা হাত দিয়ে কখনওই ব্লেন্ড করবেন না, এতে করে কাজের কাজ তো হয়ই না, সেইসঙ্গে হাত ব্যবহারে হাইজিন বজায় না থাকার সম্ভাবনা বেশি। আর এই কারণেই মেকআপ ব্লেন্ড করার জন্য সঠিক ব্রাশ স্পঞ্জ এবং ব্লেন্ডার ব্যবহার করাটা খুব জরুরী।
আপনার যদি শুষ্ক ত্বক হয়, তাহলে ফাউন্ডেশন এবং আইশ্যাডো লাগানোর আগে অবশ্যই প্রাইমার লাগান। প্রাইমার আপনার মেকআপকে নিজের জায়গায় থাকতে সহায়তা করে, সেইসঙ্গে মেকআপ করার জন্য একটা সুন্দর ক্যানভাস তৈরি করে।
শুষ্ক ত্বকে যখন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার প্রসঙ্গ আসছে তখন অবশ্যই লিক্যুইড ফাউন্ডেশন বেছে নিন। কারণ পাউডার ফাউন্ডেশন লাগালে ত্বকে একটা প্যাচিনেস চলে আসতে পারে। যা বোঝা যেতে পারে, এবং দেখতে খুবই খারাপ লাগতে পারে।
ড্রাই স্কিনে ফাউন্ডেশন সেট করার জন্য কখনওই পাউডার ব্যবহার করবেন না। এতে করে লুকটা খুব কেকি (cakey) দেখতে লাগে, এরজন্য মেকআপ সেট করতে পাউডারের বদলে মেকআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করুন।
ব্লাশ এবং ব্রোঞ্জারের জন্য ক্রিমের ফর্মুলা ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রেও শুষ্ক ত্বকে পাউডার ব্লাশ ব্যবহার করলে আপনার ত্বক আরও শুষ্ক দেখাতে পারে। আর সেই কারণে ক্রিম বেসড ব্লাশ আপনার জন্য সেরা অপশন।
দুঃখের বিষয়, শুষ্ক ত্বক কিন্তু কখনও কখনও নিস্তেজ দেখাতে পারে — তবে আপনার ত্বকের হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরয়ে আনতে অবশ্যই ব্যবহার করুন একটি ইল্যুমিনেটার। আপনার গালের হাড়ের ওপর অ্যাপ্লাই করুন লিক্যুইড হাইলাইটার। ভালো মানের হাইলাইটার ব্যবহার করলে আপনার মুখমণ্ডলে একটা প্রাকৃতিক গ্লো চলে আসবে। বিভিন্ন স্কিন টোনের জন্য আলাদা আলাদা হাইলাইটার বেছে নিতে পারেন।
শুষ্ক ত্বকের অধিকারী যাঁরা, তাদের যে কেবল মুখের ত্বকই শুষ্ক এমনটা নয়, তাঁদের ঠোঁটও খুব শুষ্ক হয়। সেক্ষেত্রে লিপস্টিক বাছুন খুব সাবধানে। সুপার ম্যাট লিপস্টিক কখনওই অ্যাপ্লাই করবেন না। ড্রাই ঠোঁটে যদি ড্রাই লিপস্টিক লাগান তাহলে তা দেখতে মোটেও ভালোলাগবে না, বরং তা আপনার ঠোঁটের শুষ্কতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। এর জন্য ভালো ক্রিমি বা গ্লসি ধরণের লিপস্টিক বাছুন।
মেকআপ করার পর অবশ্যই একটা ফ্রেশ লুক পেতে একটা ফেস মিস্ট অ্যাপ্লাই করুন। এমনকি এটি আপনার ভ্যানিটি ব্য়াগেও রাখতে পারেন। যখনই ত্বক একটু শুষ্ক অনুভূত হবে, তখনই একটু স্প্রে করে দিন। এতে করে ত্বকের রেডিয়েন্স এবং হাইড্রেশন বজায় থাকে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
ওয়েস্ট মিস্ট বুঝি নাই।ওটা কি