শুটকি কোন ভিন্ন প্রজাতির মাছ না, কাঁচা মাছ লবণ দিয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে নিয়ে তৈরি করা হয় শুটকি। তীব্র রোদে মাছের শরীরের জলীয় অংশ শুকিয়ে যায়। এতে মাছ পরবর্তীতে জীবাণুমুক্ত থাকে। শুটকিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, খনিজ লবণ, প্রোটিন এবং কোলেস্টেরল। কঠোর পরিশ্রমী, গর্ভবতী ও প্রসূতি মা, বাড়ন্ত শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য শুটকি উপকারী। কিন্তু ভারী ওজনের ব্যক্তি, হাই কোলেস্টেরল বা জটিল রোগে ভুগছেন এমন কারো পক্ষে শুটকি না খাওয়াই ভালো।
শুটকি গন্ধে যেমনই হোক, খেতে কিন্তু ভালোই লাগে। আমরা যারা শুটকি পছন্দ করিনা তারা বেশি করে আলু দিয়ে শুটকি রেঁধে খাই৷ কিন্তু আলু ছাড়াও অন্যভাবে রেঁধে দারুণ মজার শুটকির তরকারি খাওয়া যায়। আজকের আয়োজনে থাকছে শুটকি মাছের ৫ রকমের রেসিপি বাংলাদেশীয় স্টাইলে।
রান্নার আগে লইট্টা শুটকি সিদ্ধ করে নিতে হবে। একটি পাত্রে পরিমাণমতো পানি নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। পানি গরম হয়ে আসলে লইট্টা শুটকির টুকরাগুলোকে দুই থেকে তিন মিনিট সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ করা হয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে মাছটা দুই-তিনবার ধুয়ে নিন।
এবার প্যানে তেল গরম করে তাতে প্রথমে পেঁয়াজ কুচি আর কাঁচামরিচ অল্প করে ভেজে নিন। তারপর এতে আদা বাটা, রসুন বাটা এবং অল্প একটু পানি দিয়ে সব একসাথে ভালো করে মিশিয়ে দিন। এবার হলুদ গুঁড়া ও ধনিয়া গুঁড়া দিয়ে পুরো মশলাটা ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
মশলা কষানো হলে এতে লইট্টা শুটকি ঢেলে দিন এবং মশলা মাছের সাথে না মেশা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। মাছের সাথে মশলা যখন মাখামাখা হয়ে আসবে তখন মাছ কষানোর জন্য ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। ৫ মিনিট পরে স্বাদমতো লবণ আর বেগুনের টুকরা দিয়ে দিন এবং সব উপকরণ ভালোমতো মিশিয়ে দিন।
এখন এটাকে ঢাকনা দিয়ে ২-৩ মিনিট ঢেকে রাখুন। তারপর দরকারমতো পানি দিয়ে আরেকটু নেড়ে আবার ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। ১০ মিনিট পরে ধনেপাতা মিশিয়ে আবারো ৫ মিনিট অল্প আঁচে দিয়ে ঢেকে রাখুন। এরপর নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
শুটকি প্রথমে খালি তাওয়ায় টেলে নিন। তারপর ওগুলো কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে পরিষ্কার করে আলাদা করে রাখুন। এবার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে জিরা দিয়ে দিন। জিরা যখন ফুটে উঠবে তখন পেঁয়াজ কুচি আর রসুন কুচি দিয়ে ২/৩ মিনিট ভেজে নিন।
পেঁয়াজ আর রসুন নরম হয়ে গেলে কাচকি শুটকি দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। এরপর হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া আর পরিমাণমতো পানি দিয়ে মশলাটা কষিয়ে নিন৷ তেল উপরে উঠে আসলে আলু দিয়ে আরো কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। আলু-মশলা কষানো হলে কাঁচামরিচ আর লবণ দিয়ে একটু নেড়ে দিন। এরপরে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন আর চুলার আঁচ মাঝারির চাইতে একটু কম রাখুন।
মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে একটু নেগে দিবেন যাতে তরকারিটা পুড়ে না যায়। ২০-২৫ মিনিট কম আঁচে এভাবে রান্না করার পর নামিয়ে ফেলুন। এই রান্নায় পানি দেয়ার দরকার নেই। কম আঁচে একটু সময় নিয়ে রাঁধলেই স্বাদটা ভালো পাওয়া যায়।
শুটকিটাকে প্রথমে হালকা গরম পানিতে ৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখবেন এবং তারপরে ভালো করে ধুয়ে বেছে আলাদা করে রাখুন। প্যানে তেল গরম করে প্রথমে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে নিন। তারপরে বাকি সব মশলা (জিরা বাদে) দিয়ে ১০ মিনিট কষিয়ে নিন।
মশলা কষানো হলে শুটকি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ কষান। শুটকি কষানো হয়ে গেলে পানি দিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। পানি যখন ফুটে উঠবে তখন টমেটো আর কাঁচামরিচ দিয়ে একটু নেড়ে ঢেকে দিন। মাঝে মাঝে একটু নেড়ে দিবেন, নাহলে পোড়া লেগে যেতে পারে।
ভুনা হয়ে গেলে অল্প একটু চিনি আর ধনেপাতা দিয়ে ঢাকনা ছাড়া ২ মিনিট রান্না করে নিন। নামানোর আগে উপরে জিরা গুঁড়া ছড়িয়ে একটু নেড়ে নামিয়ে নিন।
লাউ খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন এবং ছোট ছোট টুকরা করে কাটুন। চিংড়ি শুটকি প্রথমে স্বাভাবিক ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন এবং ১০ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পরে আবার ঠান্ডা পানি দিয়ে চিংড়ি কয়েকবার ধুয়ে নিন।
কড়াইতে তেল গরম করে প্রথমে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন, তারপর তাতে সব গুঁড়া মশলা একটু পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। মশলা কষানো হলে চিংড়ি শুটকি দিয়ে আরেকটু কষিয়ে নিন। শুটকি তেলের উপর উঠে আসলে লাউয়ের টুকরাগুলো দিয়ে ঢেকে দিন।
লাউ থেকে যে পানিটা বের হবে তাতেই লাউ সিদ্ধ হয়ে যাবে। নাহলে প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে লাউ সিদ্ধ করে নিবেন। সিদ্ধ হয়ে ঝোল ঘন হলে ধনেপাতা আর কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে দিন এবং ৫-৭ মিনিট দমে রাখুন। এরপর নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
পুঁটি শুটকি ও মলা শুটকি শুকনা তাওয়ায় টেলে নিন, চ্যাপা শুটকি টেলে নেয়ার দরকার নেই। টেলে নেয়ার পরে পুঁটি ও মলা শুটকির মাথা ফেলে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন, একইভাবে চ্যাপা শুটকিও ধুয়ে নিন।
কড়াইতে তেল গরম করে প্রথমে আস্ত জিরা ফোড়ন দিয়ে ভেজে নিন। এরপর এতে পেঁয়াজ বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে ১-২ মিনিট কষিয়ে নিন। তারপর সামান্য পানি দিয়ে লবণ ও গুঁড়া মশলা দিয়ে কষাতে থাকুন। মশলা ভালোভাবে না কষানো পর্যন্ত অল্প অল্প করে পানি দিতে থাকুন।
মশলা কষানো হয়ে গেলে শুটকিগুলো দিয়ে আবার ভালো করে কষান। এবার কষানো শুটকি সিদ্ধ হওয়ার জন্য অল্প পানি ঢেলে দিন। পানি যখন শুকিয়ে আসবে তখন পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি ও কাঁচামরিচ দিয়ে দিন। পেঁয়াজ ও রসুন সিদ্ধ হয়ে তেল বের হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন এবং পরিবেশন করুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…