ডাবল চিন এর সমস্যা আপনাকে ভোগাচ্ছে কি?মুখে সাধারণত মেদ জমার কারণে এই ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে, যা আপনার সৌন্দর্য্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনেক সময় জিনগত কারণেও ডবল চিনের সমস্যা হতে পারে।
অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে তা যেমন ব্যায়বহুল হয় তেমনি এর ফলাফল অনেক সময় মারাত্মক হয়ে যেতে পারে। তাই আসুন জেনে নিই ডাবল চিন থেকে চট জলদি মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া এবং সহজ উপায়।
দিনে বেশ কয়েক বার সুগার ফ্রি চিউইংগাম চাবানোর অভ্যেস করলে ডাবল চিন থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যেতে পারে। এটি একধরণের চোয়ালের ব্যায়াম যা চোয়ালের পেশীতে মেদ জমতে দেয় না, এবং পেশীকে টানটান রাখে। এছাড়া এটি আমাদের দাঁত ও মাড়িকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ডিমের সাদা অংশের মিশ্রণ ও ডাবল চিন হয়কে আটকাতে পারে। এর প্রয়োগ অতন্ত্য সহজ। দুটি ডিমের সাদা অংশের সাথে এক চা চামচ দুধ , এক চা চামচ মধু, এবং এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন, এর সাথে কয়েক ফোঁটা পুদিনার তেল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ টি আপনার চোয়ালের দুপাশে এবং চোয়াল সংলগ্ন গলার আশেপাশে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট রাখুন তারপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে একবার এই প্রক্রিয়াটি ডবলচিন কমানোর সাথে সাথে আপনার ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
গ্লিসারিন সাধরণত ত্বকের সমস্যার জন্য আমরা ব্যবহার করে থাকি শীতকালে। এই গ্লিসারিন এর মিশ্রণ ও ডবল চিন রোধ করতে সাহায্য করে। পদ্ধতি খুব সহজ। এক চামচ গ্লিসারিন এর সাথে আধ চামচ সন্ধক লবন এবং কয়েক ফোঁটা পুদিনা তেল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করুন। এবার এই মিশ্রণটি গালে এবং গলার অংশে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষন পর ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচ বার এই মিশ্রণটি প্রয়োগ করলে চট জলদি ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
কোকো বাটার এর নিয়মিত প্রয়োগ আমারদের ত্বকের পেশীকে টানটান রাখে। কয়েক চামচ কোকো বাটার মাইক্রোওয়েভে গরম করে নিয়ে সেটিকে ডাবল চিন এবং গলার অংশে প্রয়োগ করুন কয়েক মিনিট ধরে। প্রতিদিন সকালে স্নান করতে যাওয়ার আগে ও রাতে শুতে যাওয়ার আগে এই প্রক্রিয়াটি করুন।
প্রতিদিন এই তেলের মালিশ ডাবল চিন হতে দেয়না। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই থাকে, যা ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত ভালো। রাতে শোয়ার আগে এই তেল আপনার চোয়াল ও গলায় ওপর থেকে নিচের দিকে ম্যাসাজ করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট একই ভাবে ম্যাসাজ করুন।
গ্রীন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। গ্রীন টিতে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।
যে সব খাবারে ভিটামিন ই থাকে যেমন সবজি ,ফল,ব্রাউন রাইস ,বিন্স,সয়াবিন, বাদাম,দুগ্ধ জাত পদার্থ ইত্যাদি খাওয়া উচিত। এগুলি প্রতিদিন খেলে ডাবল চিন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশে কমে যায়। এছাড়া ভিটামিন ই আমাদের ত্বকের সতেজতা রক্ষা করে, ত্বকের পেশীকে টানটান রাখে।
কয়েক চামচ ঠান্ডা দুধের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে পরে তা হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। ডাবল চিন কমানোর এটিও একটি সহজ উপায়।
মেলন জুসের সাথে আপেলের রস মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে চোয়ালের আশেপাশে এবং গলার অংশে লাগান। এটি ত্বককে সতেজ রাখে। পেশিকে টানটান রাখে। এছাড়া ডাবল চিন কমাতে সরাসরি মেলন খেতেও পারেন।
এগুলি ছাড়াও কতগুলি সহজ ব্যায়াম আছে ডাবল চিন কমাতে সাহায্য করে। দেখে নিন সেগুলি কি
আপনার মাথা সামান্য পেছনের দিকে বেকিয়ে নিন। এবার সিলিং এর দিকে সোজা তাকান। আপনার নিচের চোয়াল টিকে যতটা সম্ভব সামনের ঠিক ঠেলুন। এই ভাবে ১০ পর্যন্ত গুনুন। এরপর চোয়ালটিকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসুন এবং মাথা সোজা করুন। ১০ বার একই ভাবে ব্যায়ামটি করুন।
প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। আপনার থুথনিটিকে বুকের কাছে নামিয়ে আনুন। আপনার ঘাড়টি ধীরে ধীরে ডান দিকে ঘোরান। ১০ পর্যন্ত গুনে আবার আপনার ঘাড়টিকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসুন। এরপর একই ভাবে আপনার ঘাড়কে বা দিকে ঘোরান। ৩০ সেকেন্ড ধরে করুন।
সোজা হয়ে দাঁড়ান। এরপর সামনের দিকে তাকিয়ে বড় করে হা করুন। আপনার জিভটিকে যতটা সম্ভব বাইরের দিকে বের করার চেষ্টা করুন। ৫ পর্যন্ত গুনুন। এবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যান। পর পর ১০ বার ব্যায়ামটি করুন।
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সামনের সিলিং এর দিকে থাকেন। এবার আপনার ঠোঁট দুটিকে চুম্বনের ভঙ্গিমায় নিয়ে আসুন। ৫ সেকেন্ড একই ভাবে থাকুন। এরপর ঠোঁট দুটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসুন। এটি ১৫ বার একই ভাবে করুন।
আপনার জিভ দিয়ে আপনার নাকটিকে স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এটি পরপর ৫ বার করুন।
মুখের ভেতর হাওয়া নিয়ে মুখটিকে ফুলিয়ে নিন। এবার হাপনার হাত দিয়ে গাল দুটির ওপর চাপ প্রয়োগ করুন। ৫ সেকেন্ড এইভাবে থাকার পর,মুখ থেকে হওয়া বের করে দিন। একই ভাবে ৫ থেকে ৬ বার করুন।
আপনার হাত দুটি মুঠো করে চোয়ালের নিচে রাখুন। এবার একই সাথে আপনার চোয়ালটি নিচের দিকে ঠেলুন এবং হাত দিয়ে চোয়ালটি ওপরের দিকে ঠেলতে থাকুন।এইভাবে পারস্পরিক চাপ বাড়াতে থাকুন। যখন চোয়ালের পেশী সবথেকে বেশি চাপ অনুভব করবে তখন একই অবস্থায় ৫সেকেন্ড অপেক্ষা করার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। এই ভাবে পর পর ৫ থেকে ৭ বার করুন।
এছাড়াও বসার সময় ঘাড় ও পিঠ সোজা করে বসুন। প্রচুর পরিমানে জল খান। দুধ মিশ্রিত চা ও কফি কম করে খান।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…