দুনিয়ার পরোয়া না করে মেয়েরা আয়নার সামনে অনায়াসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতেই পারে। যার প্রধান কারণ অবশ্যই মেকআপ সজ্জা। আইলাইনার, শ্যাডো, হাইলাইটার, ফাউন্ডেশন সহ মেকআপের ফিরিস্তি অনন্ত!
মেকআপ মেয়েদের জীবনধারার এক অন্য নাম বললেও অতিশয়োক্তি হয়না। মেকআপ করা নিজেকে মেলে ধরার বা প্রকাশ করার একটা অভিনব ভাষা বলা যায় কিংবা মেয়েদের আত্মবিশ্বাস শক্ত করতে অথবা তাদের সৌন্দর্য চেতনার সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই মেকআপকে শুধু ভ্যানিটি আখ্যা দিয়ে নিন্দেমন্দ করা একদমই অনুচিত।
কিন্তু আপনার জীবনে পুরুষেরা সে স্বামী হোক বা বয়ফ্রেন্ড বা অফিসের ক্রাশ আপনাকে কি বেশে দেখে আকর্ষণীয় মনে করেন সেটা ভেবে দেখেছেন কখনো? মেকআপ না মেকআপ বিহীন? চলুন আজ এই দ্বন্দ্বের নিরসন করি।
শেপ নামের একটি বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন সমাজের নানা শ্রেণী থেকে আসা ছেলেদের উপর মেয়েদের লুক নিয়ে একটা গবেষণা আয়োজন করে অতি সম্প্রতি তার ফলাফল জানলে অবাক হবেন আপনিও।
সেখানে কেউ মত দিয়েছেন “বিউটি ভেতর থেকে মানুষকে উজ্জীবিত করে, মেকআপ সেটা কভার করতে পারেনা”। কেউ আবার রাখঢাক না করেই বলেছেন, “ মেকআপ করলে মেয়েদের তেমন সুশ্রী দেখায় না” কিছুজনের মতে পরিমিত, সিম্পল ও ন্যাচারাল মেকআপটাই অগ্রগণ্য।
৫০ জনের উপরে ভোটিং পোল নেওয়া হয় একজন মহিলা সেলিব্রেটির মেকআপ যুক্ত ও মেকআপ বিহীন ফটো দেখিয়ে। ৭০% ছেলেরা বলছেন প্রাকৃতিক, মেকআপ ফ্রি লুক মেয়েদের মুখে সতেজতা ও গ্ল্যাম প্রদান করে। অর্থাৎ নানা মুনির নানা মত হলেও মেকআপ বিহীন লুক যে ছেলেদের হৃদয়ে বেশি মোচড় দেয় এটা বলাই যায়।
তবে ডিজিট্যাল ডেটিং এর জগতে আগের কথার একদম বিপরীত বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ছে যেটা অবাক করার মতো। জুস্ক্ নামে একটি ডেটিং অ্যাপ এর সমীক্ষা বলছে যে যেসব মেয়েরা চোখের মেকআপ ও ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে প্রোফাইল ফটো আপলোড করেছেন তারা অন্যদের তুলনায় তিন গুণ বেশি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেয়েছেন। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন অনলাইন জগতে মেয়েদের মেকআপ এর রূপেই ভোলে ছেলেদের মন।
যদি একটু তলিয়ে ভেবে দেখা যায়, মেকআপ আমরা মেয়েরা যতটা না নিজেদের গলদ, ত্রুটি ও খামতিগুলোকে ঢাকতে করে থাকি তার চেয়ে বেশি নিজেদের প্রেজেন্টেবল অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করি।
একথা অনস্বীকার্য মেকআপ মেয়েদের সত্ত্বাকে গোছালো রূপ দেয় – একটা পরিপাটি ভাব আনে যা সাজগোজে আলাদা মাত্রা যোগ করে। নিজের চোখেই নিজেকে সুন্দর করে তুলতে সর্বোপরি নিজেকে ভালো রাখতেই মেয়েরা মেকআপের আশ্রয় নিয়ে থাকেন। কিন্তু এক্ষেত্রে “অধিকন্তু ন দোষায়” এই নীতিটি বোধহয় কার্যকর হয় না। কেন? কারণ কোনো জিনিসের আতিশয্য একটা বিরূপ প্রভাব ফেলে আর মেকআপ ও তার ব্যতিক্রম নয়।
মেকআপ আপনার লুককে আড়াল যাতে না করে এবং সেটাতে কৃত্রিমতার আমদানি না করে সেটা দেখাও আপনারই কর্ত্যব্য।
যেহেতু বেশিরভাগ পুরুষই মেয়েদের মেকআপ ছাড়া দেখতে চান তবে সেক্ষেত্রে মেয়েরা কি মেকআপকে টাটা বাইবাই বলবেন? অবশ্যই না। দেখুন ছেলেরা আপনার লুকটা পছন্দ করে তাই সেটাকে ইম্প্রুভ করতে বরং বলা যায় মানানসই করে তুলতে যৎসামান্য মেকআপ করতেই হয় তবে সেটা মুখভঙ্গির উপর যেন না প্রকট হয়।
মেকআপের আর এক দিক হলো নিজেকে হাইজিন সম্মত ও পরিছন্ন রাখা আর সেটা ব্যক্তিবিশেষ নির্বিশেষে সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাই নিজের ত্বকের স্বাস্থ্য ও রূপের যত্ন নিতে মেকআপ ছাড়া গতি নেই বলা চলে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…