রান্না করার সময়ে আমাদের হাত থেকে অতিরিক্ত হলুদ পড়ে যায় অনেক সময়ে। তখন রান্নায় অতিরিক্ত হলুদ তো হয়েই যায়ই, তাছাড়া বেশি হলুদ পড়ে গেলে হলুদের যে কটু একটা স্বাদ, সেটা কিছুতেই যেতে চায় না। বেশি হলুদ পড়ে গেলে এখন থেকে আর চিন্তার কোনও কারণ নেই। খুব সহজেই সেই অতিরিক্ত হলুদ ব্যাল্যান্স হয়ে যাবে।
এটা হল প্রাথমিক উপায়। যদি হলুদ রান্নায় বেশি পড়ে যায়, তাহলে যে উপকরণ দিয়ে আপনি রান্না করছেন, সেই উপকরণ আরেকটু দিয়ে দিন। সহজ উদাহরণ দিই। ধরুন আপনি আলুর তরকারি রান্না করছেন আর তাতে বেশি হলুদ পড়ে গেল। তখন আপনি আরও দু’টো আলু কেটে রান্নায় দিয়ে দিন। এই অতিরিক্ত দু’টো আলু ওই অতিরিক্ত হলুদ টেনে নেবে। এতে রান্নায় হলুদের স্বাদ আর থাকবে না।
অতিরিক্ত হলুদের স্বাদ ঠিক করতে পারে নারকেল দুধ। নারকেলের দুধের একটা মিষ্টি স্বাদ আছে। আর এই স্বাদই হলুদের বাজে গন্ধ আর স্বাদ রান্না থেকে সরিয়ে দেবে। নারকেলের দুধ না থাকলে নারকেল কুড়িয়েও দেওয়া যাবে। তাতেও হলুদের কাঁচা ভাব আর গন্ধ চলে যাবে।
অতিরিক্ত হলুদের গন্ধ আর স্বাদ কমানোর জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হল জল দিন রান্নায়। বেশি জল দিলে সেই জল অতিরিক্ত হলুদ টেনে নেবে। এতে রান্নার স্বাদ ব্যাল্যান্স হয়ে যাবে। কিন্তু যদি আপনার রান্নায় বেশি জল দেওয়ার জায়গা না থাকে? এক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা নেই। যদি আপনাদের ঘরে চিকেন স্টক বা মটন স্টক থাকে, সেটাও দিয়ে দিতে পারেন। আমাদের ফ্রিজে অনেক সময়ে ভেজিটেবল স্টক থাকে। সেটাও দিলে কাজ হবে।
এই জিনিস শুধু আপনাদের রান্নায় অতিরিক্ত হলুদের স্বাদ কমাবে তা নয়। রান্নায় খুব ভালো একটা স্বাদ আনবে। হলুদ অতিরিক্ত হয়ে গেলে সেখানে আমচুর পাউডার দিতে পারেন। রান্নার স্বাদ খুব সুন্দর ব্যাল্যান্স হয়ে যাবে। এছাড়াও দিতে পারেন তেঁতুল। তেঁতুল অল্প জলে গুলে রান্নায় দিয়ে দিন। খানিক নেড়ে নিয়ে রান্না টেস্ট করে দেখুন। হলুদের বাড়তি স্বাদ আর পাবেন না। এছাড়া আরেকটি সহজ উপকরণ তো আছেই- টম্যাটো সস। আমাদের সবার বাড়িতে থাকে। সেটাই দিয়ে দিন না!
অতিরিক্ত হলুদের কটু স্বাদ ঢাকতে পারে মিষ্টি কিছুর স্বাদ। কিন্তু সব রান্নায় আবার মিষ্টি দেওয়া যাবে না। যে রান্নায় মিষ্টি যায় সেই রান্নায় দিন। আর মিষ্টি যাতে রান্না খারাপ না করে ফেলে সেটাও দেখতে হবে। চিনি ব্যবহার করা ছাড়াও সামান্য গুড় ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। মধু বা গুড়, এই দুই উপকরণই রান্নায় হলুদের স্বাদ যেমন ব্যাল্যান্স করবে, তেমনই রান্নার স্বাদে আনবে অন্য মাত্রা।
এই পেস্টটা কিন্তু অনবদ্য। হলুদের স্বাদ এক চুটকিতে কমানোর জন্য এর থেকে সহজ আর ভালো খুব কম জিনিসই আছে। আলাদা একটা পাত্রে কিছু আদা, রসুন, টম্যাটো আর পেঁয়াজ নিন। মোটামুটি ছোট করে কেটে নিন। এবার অল্প তেলে ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে আর টম্যাটো, আদা, রসুন, পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে সেগুলি একটু ঠাণ্ডা করে মিক্সিতে বেটে নিন। এই পেস্ট এবার রান্নায় দিয়ে দিন আর ভালো করে মেশান। তবে খেয়াল রাখবেন, আপনি কিন্তু হলুদের স্বাদ বদলাবার জন্য এই পেস্ট দিচ্ছেন। তাই সেই পরিমাণেই দেবেন। ১০ মিনিট পরই দেখবেন রান্নার স্বাদ খুলে গেছে।
তেজপাতার এই তেজ কিন্তু আপনারা এতোদিন জানতেন না। রান্নায় হলুদের অতিরিক্ত স্বাদ কমিয়ে আনবে তেজপাতা। শুধু গোটা চার-পাঁচটা তেজপাতা রান্নায় দিয়ে দিন আর ফুটিয়ে নিন কয়েক মিনিট। এর পর রান্না থেকে তেজপাতা সরিয়ে দিন। তেজপাতার গন্ধ হলুদের থেকে তীব্র আর সুন্দর। এই গন্ধ হলুদের গন্ধ সরিয়ে দেবে।
এটা আমাদের ঠাকুমা-দিদিমার ট্রিকস। আগেকার দিনে রান্নায় হলুদ বেশি হয়ে গেলে এই পদ্ধতিতে তাঁরা রান্না ঠিক করতেন। লাউ পাতা। কুমড়ো পাতা বা পুঁই শাক, এই ধরণের পাতা গোটা কয়েক দিয়ে দিন রান্নায়। তারপর কয়েক মিনিট ফুটিয়ে পাতাগুলো আলাদা করে দিন। এরপর পরিবেশন করে ফেলুন। রান্নায় যে হলুদ পড়ে গিয়েছিল অতিরিক্ত, কেউ বুঝতেই পারবে না।
এটিও হলুদের স্বাদ কমানোর বেশ কার্যকর উপায়। একটা সুপুরি নিয়ে দুই টুকরো করে নিন। সেটা তরকারির মধ্যে দিয়ে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। সুপুরি এবার ফেলে দিন। এতেও রান্নার স্বাদ ভালো মতো ফিরে আসবে।
এইটা একদম অন্য রকমের টিপস। হলুদ তরকারিতে বেশি হলে কি করবেন! গ্যাসের মধ্যে একটা খুন্তি ভালো করে গরম করুন। লোহার খুন্তি হলে বেশি ভালো। বেশ গরম যখন হয়ে আসবে তখন ওই গরম অংশ রান্নার মাঝখানে দিয়ে দিন। ৫ মিনিট রান্নায় ডুবিয়ে রেখে তুলে ফেলুন। এবার তরকারি ভালো করে মিশিয়ে খেয়ে দেখুন দেখি!
এই উপকরণগুলো নির্দিষ্ট রান্না অনুযায়ী ব্যবহার করুন। সব তো সব রান্নায় যাবে না। কিন্তু এই সব উপকরণ একেবারে রামবাণের মতো কাজ করবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…