কয়েকজন বিবাহিত মহিলা যখনই একসাথে বসে আড্ডা দেন, তাদের কথা চলতে চলতে স্বামীকে নিয়ে কোন না কোন প্রসঙ্গ চলে আসেই। আর এই টপিকটি তখন হয়ে ওঠে গল্পের কেন্দ্রবিন্দু। আর এরকম নানা আড্ডার থেকে উঠে এসেছে নানা ধরনের স্বামী, যা একসাথে লিখতে বসলে ‘স্বামী চালিশা’ বই বেরিয়ে যাবে।
মেয়েদের স্বামী সংক্রান্ত নানা গসিপের থেকে মূলত পাঁচ ধরনের স্বামীর খোঁজ পাওয়া যায়। সব ঘরে কম বেশি এই পাঁচ ধরনের স্বামী খুঁজলে পেয়ে যাবেন। আর এদেরকে ঠিক কি ভাবে কন্ট্রোল করবেন? চিন্তা নেই, উপায় আছে।
এই প্রকারের স্বামীদের একটাই দোষ বা বাজে অভ্যাস থাকে। সব কথাতেই জলদি রেগে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। এদের বদনাম ঘরে বাইরে সর্বত্র। আর হবে নাই বা কেন বলুন। অ্যাংরি বার্ডের মত সারাক্ষণ ক্ষেপে থাকলে তাকে আর কেই বা ভালোবাসতে পারে।
স্পাইডার ম্যান, সুপার ম্যানের মত কোন সুপার হিরো না এই প্রকারের স্বামীরা। বরং কিপটে হওয়ার জন্য এরা বউদের কাছে জিরো। এই টাইপের স্বামীরা স্ত্রীর কেনাকাটায় কখনও সুখী হয় না। তারা সবসময় বউয়ের শপিং’এ ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেন নানা ভাবে।
সত্যিকারের গল্পে মজনু লেয়লাকে পায়নি শেষ পর্যন্ত। কিন্তু মডার্ন মজনু টাইপের স্বামীরা বউ পেলে সারা দুনিয়া ভুলে যায়। খুবই রোম্যান্টিক ধরনের হয়ে থাকে এই প্রজাতি। এনাদের সব রকমের স্পেশাল দিন মনে থাকে। বউয়ের সব আবদার মেটান এরা কোন রকমের প্রশ্ন ছাড়া। সব মেয়েরাই কম বেশি এরকম স্বামী চেয়ে থাকে।
এই প্রজাতির স্বামী সাধারণত প্রতিটি ঘরে দেখা যায়। তার পরিচয় হল তার কণ্ঠস্বর। তিনি নিজে কোথায় কি রাখেন তা মনে রাখতে পারেন না কিন্তু চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তুলে রাখেন। কখনও রুমাল, কখনও কলম এবং কখনও কখনও তাদের প্রয়োজনীয় ফাইল যা তারা মাঝে মাঝেই খুঁজে পান না হাতের সামনে রাখা থাকলেও।
এই প্রজাতির স্বামীরা বউকে চোখে হারান। এরা বউয়ের বাপের বাড়ি যাওয়া পছন্দ করেন না। কারন বউকে ছেড়ে একা থাকার অভ্যাস এদের নেই। অফিস থেকে টাইমে কখন কখন টাইমের আগেই বাড়ি চলে আসেন।
১. অ্যাংরি বার্ড প্রজাতি নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে সহজ টিপস। প্রিয়জনের একটি হাসি। যখনই আপনি অনুভব করেন যে আপনার স্বামী অকারণে রাগ করছেন, তখনই একটি মিষ্টি হাসি দিয়ে “আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি” বলুন। তাহলে আপনার রাগান্বিত স্বামীটি সঙ্গে সঙ্গে রাগ কমিয়ে একেবারে জল হয়ে যাবে।
২. যখন আপনাকে শপিং করতে যেতে হবে এবং আপনার অসন্তুষ্ট স্বামীর পার্স হালকা করতে হবে, প্রথমে তাদের পছন্দের খাবারটি তৈরি করুন এবং তাদের খাওয়ান। প্রেম এবং ভাল খাবারে তাদের পেটভরার সাথে সাথে তারা সহজেই তাদের পার্সটি হালকা করে দেবে।
৩. আপনার প্রিয় স্বামীর ভালবাসার স্রোতকে নিয়ন্ত্রণে রাখার একমাত্র উপায়। তার বলার আগেই আপনি বলে দিন যে আপনি তাকে তার চেয়েও বেশি ভালবাসেন।
৪. আপনার চিৎকাররত স্বামীকে বসে রাখার মন্ত্রটি হল। তার সব জিনিসের লিস্ট বানিয়ে তার চোখের সামনে রেখে দিন। কোথায় কি আছে জিজ্ঞাসা করে চিৎকার করার চান্সই পাবে না সে।
৫. যখন আপনার স্বামী অফিসের কাজে বাইরে যান কয়েকদিনের জন্য সেই সময়ে বাপের বাড়ি যান। আপনার জন্য তাকে একা থাকতে হবে না। আর আপনিও মনের সুখে মায়ের কাছে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতে পারবেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…