শাড়ি মানেই আজ আর কিন্তু সেকেলে নয়। হাল ফ্যাশনের স্টাইল স্টেটমেন্ট মেনে আজকাল শাড়িও কিন্তু নানা কায়দায় পরা যায়। এমনই কিছু নতুন স্টাইলে শাড়ি পরে সকলের মধ্যে হয়ে উঠুন নজরকারা। কী কী-ভাবে শাড়ি পরতে পারেন রইল তারই কিছু ঝলক।
একটি শিফন, সিল্ক কিংবা শাটিন শাড়ি নিয়ে সাধারণ যেভাবে শাড়ি পরে ওইভাবে পরে নিতে পারেন বা আগে কোনও লেহেঙ্গা স্কার্ট পরে নিয়ে তারপর প্রথমে একটি শাড়ির শেষ প্রান্তটা ছেড়ে কুঁচি বানিয়ে নিন। তারপর শাড়ির শেষ প্রান্তে কুঁচি করে পিছনে আটকে নিন। আর বাকি অংশটা দিয়ে বড় করে আঁচল বানিয়ে নিন। সবশেষে একটা ক্লাসি বেল্ট কোমরে বেঁধে নিন। তবে যেকোনও ধরণের শাড়ির সঙ্গে এই লুক ট্রাই করতে যাবেন না, বিশেষত সুতি বা মলমল শাড়ির সঙ্গে কিন্তু এই লুক যাবে না।
এইভাবে শাড়ি পরার সময় আপনাকে ভেতরে অবশ্য লেগিন্স, জিন্স বা জেগিন্স পরে নিতে হবে। এখন শাড়িটাকে দুভাগে ভাগ করে নিয়ে পেটের কাছে প্রথমে একটা নট বেঁধে নিন। এবার বাঁদিকের অংশটাকে পায়ের মাঝখানদিয়ে ভরে ধুতির মতো করে নিন।
এরপর এর বাকি অংশটা খানিকটা পিছনে এবং খানিকটা সামনের দিকে এনে সেফটিপিন দিয়ে ভাল করে আটকে নিন। এবার ডানদিকে যেখানে আঁচলের অংশটা রয়েছে সেদিকের শাড়িটাও একইভাবে পায়ের মাঝখান দিয়ে ঢুকিয়ে এবার আঁচলটা তৈরি করে নিলেই হয়ে গেল ধুতি স্টাইল শাড়ি, তবে আপনারা চাইলে এর সঙ্গেও কিন্তু বেল্ট পরতে পারেন। অবশ্যই শাড়ি অনুসারে।
এই শাড়ির বিশেষত্ব হল এটি আপনার গলায় ঠিক হল্টার নেক টপ বা ব্লাউজের মতো দেখতে লাগবে। তবে এই শাড়ি পরার আগে যদি হাইনেক ফুলস্লিভ ব্লাউজ পরে নেন তাহলে এই স্টাইলের লুকটা আরও খুলবে।
এর জন্য প্রথমে ঠিক যেমনভাবে শাড়ি পরে সেভাবে পরতে শুরু করুন, তবে আঁচলের অংশয়া এইভাবে মাথার পেছন দিয়ে ঘুরিয়ে গলায় আটকে নিন। খুব বেশি শক্ত করে আটকাবেন না। এবার আঁচলের ডান দিকের অংশটা ব্লাউজের সঙ্গে আটকে নিয়ে তারপর কুঁচিটা বানিয়ে নিন। সবশেষে বাঁদিকের আঁচলের অংশটাও একইভাবে পিছনের দিকে ব্লাউজের সঙ্গে আটকে নিন।
এইভাবে শাড়ি পরার পর শাড়ির লুকটা আসে একেবারে মৎসকন্যার মততোই। আর সেই কারণেই হয়তো এর এরকম নামকরণ। এক্ষেত্রে যদি আপনারা ভারি কাজের শাড়ি বেছে নেন তাহলে তা সামনে আঁচল করে পরাই শ্রেয়। এর জন্য প্রথমে শাড়ির একটা প্যাঁচ দিয়ে তারপর আঁচলাটে প্লিট করে নিন। সেফটিপিন দিয়ে কাঁধের কাছের প্লিট আটকে নিন। এবার কুঁচির অংশের শাড়িটা বাঁদিকে কিছুটা ছেড়ে দিন, হাতের সাহায্যে সেট করে দিন, এর ফলে নিচের অংশটা একেবারে মাছের লেজের মতো দেখাবে। এবার কুঁচির অংশটাকে একসঙ্গে করে নিয়ে প্লিট করে কোমরে গুঁজে নিন। এবার আঁচলের অতিরিক্ত অংশের দুটি দিক পিছনে এবং সামনে আটকে নিন।
শাড়ি এবং লেহেঙ্গা দুটি পোশাকের মেলবন্ধনে আপনি পেয়ে যেতে পারেন দুর্দান্ত একটা লুক। এর জন্য় আপনি লেহেঙ্গাক স্কার্ট অথবা লেহেঙ্গা স্টাউল পেটিকোট পরতে পারেন। এবার আঁচলটাকে প্লিট করে নিয়ে কাঁধের ওপর রাখুন। এবার কোমরের অংশটুকু ছেড়ে শাড়ির কুঁচিটি প্লিট করে নিয়ে পিছনের দিকে আটকে দিন। এবার শেষ অংশটাকে প্লিট করে কোমরের বাঁদিকে গুঁজে দিলেই লেহেঙ্গা স্টাইল শাড়ি পরা রেডি।
এক্ষেত্রে শিফন অথবা জর্জেট হাফ অ্যান্ড হাফ শাড়ি নিন। খুব ভালো হয় যদি এক্ষেত্রে রেডিমেড শাড়ি বেছে নিতে পারেন। রেডিমেড শাড়ি হলে এর লুকটা একেবারে প্রজাপতির মতো দেখাবে।
অষ্টমীর সকাল কিংবা বিকেলে এইভাবে শাড়ি পরতে পারেন। তবে মা-দিদিমারা এইধরণের স্টাইলে শাড়ি পরাতে খুব সহজেই পারেন। তবে যারা নতুন নতুন শাড়ি পরছেন, তাদের জন্য এই ট্রিকস আর টিপস খুব ভাল কাজে দেবে। বেনারসি, কাতান বা কাঞ্জিভরম শাড়ি দিয়ে এই স্টাইলে শাড়ি পরলে আপনার লুক খুব ভাল খুলবে।
সত্যি বলতে এইভাবে শাড়ি পরাটা যেমন সহজ তেমনই এতে আপনি পেয়ে যেতে পারেন একটা সুন্দর ইন্দো ওয়েস্টার্ন লুক। এর জন্য আপনি ভেতরে অবশ্য জিন্স বা জেগিন্স পরে নিন। সবার প্রথমে আঁচলটা মেপে নিন, এরপর কুঁচির প্লিটটা বানিয়ে নিন। সুতির শাড়ি হলে বড় আর শিফন শাড়ি হলে ছোট প্লিট বানান। এবার আঁচলের জন্য শরু প্লিট বানিয়ে সেফটিপিন দিয়ে আটকে নিলেই আপনি তৈরি।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
যদিও আমি একজন বাঙালী নারী, কিন্তু খুব একটা শাড়ি পরা হয় না আমার। শাড়ি পরার এই অসাধারণ স্টাইলগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়ে মনে হচ্ছে নিয়মিত শাড়ি পড়া উচিৎ। বেল্ট আর মারমেইড স্টাইল দুটো বেশি ভাল লেগেছে। শুক্রবার একটা অনুষ্ঠান আছে, ভাবছি, এখানকার একটা স্টাইল মেরে দেবো।
নিশ্চয়ই। আশাকরি আপনাকে খুব সুন্দর লাগবে তাতে। সাথে জুয়েলারি মানানসই পরবেন। খুব ভালো লাগলো আপনার কমেন্ট। :)