শুধু ভারতের ক্ষেত্রে কেন, বিশ্বের নিরিখেও দীপিকা পাডুকোন একটা নাম। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের রেড কার্পেট থেকে ভারতের ফিল্ম ফেয়ারের মঞ্চ, সব জায়গাতেই তিনি সমান সাবলীল। আর তাঁর অভিনয় নিয়ে নতুন করে কিছু নাই বাঁ বললাম। কিন্তু এই সবের ভিত্তি যেটা সেটা হল দীপিকার ফিটনেস।
অমন সুন্দর ফিগার দেখলে নিশ্চয়ই আপনিও ভাবেন যদি আপনার এরকম ফিগার হত! আপনি কী ভাবেন দীপিকা কিচ্ছু খান না! কিন্তু বলিউডে তিনি ফুডি হিসেবে বেশ পরিচিত। তাও অমন টোনড ফিগার! তাই দেখুন আপনার অমন ফিগার হবে কিনা তার জন্য তো আগে জানতে হবে দীপিকার ফিটনেসের মন্ত্র কী। কীভাবে কাটে দীপিকার সারাদিন। আসুন আজ আপনাদের সেটাই জানাই।
দীপিকার মেটাবলিজম খুব ভালো। দীপিকা রোজ ছয় বার খাবার খেতে পছন্দ করেন। তিনি ডায়েটে ফাইবার, ভিটামিন, ওমেগা-থ্রি, প্রোটিন, মিনারেল এই সবের ব্যাল্যান্স রেখে খান। দীপিকা কার্স ডায়েটে বিশ্বাস করেন না, বরং তিনি পরিমিত আর নির্দিষ্ট খাবারে বিশ্বাসী। তিনি সারা দিন ফলের রস খেয়ে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখেন। রাতে তিনি কখনই ভাত খান না। এখানে আমরা দীপিকার ডায়েট চার্ট দেখব –
দীপিকা কখনই পেট খালি রাখেন না। প্রতি দু ঘণ্টা অন্তর অন্তর তিনি খান। তিনি এক্ষেত্রে ফলের রসের উপর নির্ভর করেন। তিনি ডাবের জল, অন্য ফলের রস, বাটার মিল্ক, এই সব খান। এতে তিনি সারা দিন হাইড্রেটেড থাকেন। আর এতে খিদেও কম পায়।
আমাদের মতোই দীপিকাও কিন্তু মিষ্টি বা চকোলেট খেতে খুব ভালোবাসেন। কিন্তু তিনি খুব একটা খান না। আসলে আমাদের ডায়েটের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছু পরিবর্তন আনা উচিৎ। সেই পরিবর্তন আনলে আমাদের মেটাবলিজম ভালো হয়, শরীর সব কিছু সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। দীপিকা তাই কখনও কখনও চকোলেট বা মিষ্টি খান।
কয়েকটি জিনিস দীপিকা খুব ভালো ভাবে মানেন।
এর পাশাপাশি তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন। এটা না করলে কিছুই ঠিক থাকবে না। তাই এটি তিনি করেনই। আসুন দেখে নিই এক্সারসাইজের ক্ষেত্রে দীপিকা কি বেছে নিয়েছেন।
এটা মনে রাখতে হবে দীপিকা কিন্তু একজন স্টেট লেভেলের ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার ছিলেন। তিনি মডেলিং ও করতেন। তাই ফিট তাঁকে বরাবরই থাকতে হয়েছে। দীপিকা এক্সারসাইজের ক্ষেত্রে নাচ, যোগা, ওজন তোলা এই সবের একটা মিশ্রণ পছন্দ করেন।
তিনি নিজেই বলেন যে তিনি প্রচুর ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করেন। স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করেন। তবে তিনি খুব একটা দৌড় পছন্দ করেন না। দীপিকা পাডুকোনের ট্রেনার ইয়াসমিন করাচিওয়ালা। তাঁর কাছেই দীপিকা রোজ এক ঘণ্টা মতো এক্সারসাইজ করেন।তিনি পিলেট করেন যা পা, পিঠ, পেটকে খুব ফ্লেক্সিবল করে। এখানে তিনি বললেন কী কী দীপিকার ফিটনেস মন্ত্র।
দীপিকা তাঁর দিন শুরু করেন যোগ ব্যায়াম দিয়ে কারণ তিনি মনে করেন এটি মন ভালো রাখার জন্য খুব দরকার। তিনি বিশ্বাস করেন আসন, প্রাণায়াম এই সব করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়, শরীর আর মন ঝরঝরে হয়। তিনি সূর্য নমস্কার করেন। তিনি এর সঙ্গে করেন মার্জারী আসন, বীরভদ্রাসন, সর্বাঙ্গ আসন, আর সঙ্গে মেডিটেশন, প্রাণায়াম।
আমরা দীপিকার নাচের ভক্ত। তিনি কিন্তু সেই নাচ ওনার ব্যায়ামের মধ্যেই নিয়ে নিয়েছেন। নাচের মাধ্যমেই তিনি ক্যালোরি ঝরান। তিনি নাচের মধ্যে কত্থক, ভরতনাট্যম, বলিউডি এই সব করেন। সঙ্গে বিদেশী নাচও ওনার ফিটনেস মন্ত্রে সামিল আছে।
অনেক সময়েই উনি শুটিংএর জন্য ইয়াসমিনের থেকে ট্রেনিং নিতে পারেন না। তখন তিনি হাঁটেন, তাও নিয়ম করে ৩০ মিনিট। এবং এটি তিনি সকাল আর সন্ধে, দিনে দু বার করেন। এভাবে তখন তিনি নিজের ক্যালোরি বার্ন করেন।
দীপিকা এটি করতে খুবই পছন্দ করেন। এই ব্যায়ামগুলি তাঁর ফিটনেস ধরে রাখে, তাঁকে ফ্লেক্সিবল করে আর তাঁর অমন সুন্দর ফিগার মেইনটেইন করতে সাহায্য করে। পিলেট মেসিন আর প্রপ, যেমন রেসিসটেন্স ব্যান্ড, ফোম ওয়েট এই সব তাঁর পছন্দের। এই ব্যায়ামই তাঁর শরীর ফিট করে, আর বেশি পেশি বহুল করে না। দীপিকা জাম্পিং স্কোয়াট করেন, সঙ্গে থাকে কার্ডিয়ো।
দীপিকা জিম করার জন্য তেমন বিশ্বাসী নন, কিন্তু তিনি জিম যান যখন তাঁর ফিটনেস রুটিনে খানিক পরিবর্তন আনতে হয়। তিনি সবও সময়েই হালকা ওজন পছন্দ করেন। আর তিনি পরের দিন কি পরবেন সেটা মাথায় রেখে আগের কয়েক দিন নিজেকে তৈরি করেন। যেমন বিকিনি পড়ে শুট থাকলে তিনি মাশল টাইট করার ব্যায়াম করেন।
স্লিম থাকার জন্য দীপিকা কিছু সহজ বিষয়ে বিশ্বাস করেন।
দীপিকা বাইরে না থাকলে রোজ ব্যায়াম করেন। কিন্তু বাইরে গেলে ব্যায়াম করা তখন হয় না। কিন্তু তিনি তখন পারলে হাঁটেন। আর তিনি রোজ নিয়ম করে মেডিটেশন করেন।
দীপিকা এই সময়ের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। আর তিনি কষ্ট করেই এই ফিগার বানিয়েছেন যা অনেককেই অনুপ্রেরণা দেয়। এটাই তাঁর এনার্জির মন্ত্র। আপনিও চাইলে এই নিয়ম মানতে পারেন। তারপর দেখুন, আপনিই হয়তো আপনার পাড়ার সেলেব হয়ে গেলেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…