করোনা ভাইরাস রুখতে আমরা সকলে এখন লকডাউনের মধ্যে আছি। একান্ত দরকার ছাড়া বাইরে যাওয়ার জো নেই আমাদের। তাই ঘরে বসেই অগত্যা হয় আমরা নিজেদের পুরনো অভ্যেসগুলো একবার ঝালিয়ে নিচ্ছি যার ওপর অনেকদিনের অনভ্যাসে ধুলো জমে গেছে, আর নয়তো নতুন কিছু শিখছি।
সবাই যে আমার আপনার মতো বাধ্য হয়ে সরকারের কথা শুনে ঘরে চুপটি করে বসে থাকবে তা তো নয়, দেদার বাইরে বেরোচ্ছে হইহই করে। কিন্তু এতে তো সংক্রমণ আরও বাড়বে! তাহলে উপায়! উপায় বাতলাচ্ছেন কলকাতা পুলিশ, আর তা দেখে নেটিজেনরা কিন্তু প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
আমরা বরাবরই কিছু হলেই পুলিশকে ভালো করে দু’কথা শোনাতে ছাড়ি না। এই লকডাউনের মধ্যেই পুলিশের গায়ে থুতু দেওয়া থেকে শুরু করে হাতে কোপ মারা সবই তো দেখল শহরবাসী। কিন্তু এই বাদবিতণ্ডার মধ্যেও কিন্তু কলকাতা পুলিশের অভিনব, শুধু অভিনব নয়, মানবিক ও একান্ত বুদ্ধিদীপ্ত এক রূপ দেখতে পেলাম আমরা। এমনিতেই আপনারা দেখেছেন কলকাতা পুলিশকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গান গাইতে আর গানের মাধ্যমে শহরবাসীকে সতর্ক করতে, যেন তাঁরা ঘর থেকে না বের হন। সেই গান কিন্তু ছিল আবার আমাদের সকলের প্রিয় ‘বেলা বোস’ যদিও ভাষা খানিক পরিবর্তিত ছিল। কিন্তু এবার কলকাতা পুলিশ দিল এক্কেবারে মাস্টার স্ট্রোক।
কিছুদিন ধরেই আপনারা নিশ্চয়ই ফেসবুকে চোখ বোলাতে বোলাতে একটি মিম দেখতে পেয়েছেন, যেখানে উত্তমকুমার আর কমল মিত্রের কথোপকথনের মাধ্যমে অসাধারণ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে সতর্কতার কথা। আসলে এটি উত্তমকুমার অভিনীত ‘দেয়া নেয়া’ ছায়াছবির একটি অংশ যেখানে উত্তমকুমারের বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার মুহূর্তে তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলার অংশটি ব্যবহার করা হয়েছে। এই অংশটিই খুব সুন্দর ভাবে ব্যবহার করে সতর্ক করতে চেয়েছেন কলকাতা পুলিশ। কী আছে সেই মিমে জানতে চান? দেখুন তাহলে।
উত্তমকুমারঃ “তাহলে আপনি বলতে চান যে লকডাউনে জরুরি দরকার ছাড়া বাইরে বেরলে কলকাতা পুলিশ আমার বারোটা বাজিয়ে দেবে?”
কমল মিত্রঃ “বলতে চান নয়…বলছি!”
কী! বেশ মজাদার না! এবার আপনারা একে সতর্কতামূলক কথা বলবেন না সাবধানবাণী, সেটা আপনাদের দায়িত্ব।
দেখুন, কলকাতা পুলিশ কিন্তু এক্ষেত্রে খুব বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। ঠিক সেই কারণে শুরুতেই একে মাস্টার স্ট্রোক বলেছিলাম। এখন যেহেতু আমরা প্রত্যেকেই বাড়িতে আছি আর হাতে অনেক সময় তাই আমরা একটু বেশি সময় কাটাচ্ছি ফেসবুকে। আর ঠিক এই পরিসরেই আপনার কাছে চলে যেতে চান কলকাতা পুলিশ। যেখানে বাইরে এখন সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং চলছে, সেখানে সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে যেমন আপনাদের কাছে চলে যাচ্ছেন কলকাতা পুলিশ, তেমনই এটি জোর করে আইন লাগু করে জানাবার থেকে আরও বেশি মনোগ্রাহী হচ্ছে। আর আমাদের চিরকালের আইকন উত্তমকুমার যেখানে আছেন, সেটা তো বাড়তি প্রাপ্তি। আমাদের মনে কিন্তু বাইরে না বেরনোর বার্তাটি সহজেই ঢুকে যায় এভাবে। আজকের দিনে মানুষ মিম জিনিসটি ভালো ‘খায়’। পুলিশই বা কেন সেই পন্থা নেবেন না বলুন!
সব মিলিয়ে এই করোনা ভাইরাস রুখতে কলকাতা পুলিশ যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তা কিন্তু আমাদের পরবর্তী কালেও কলকাতা পুলিশের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে, ভরসা বাড়াতে বেশ সাহায্য করবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…