মাছ ভাজতে গিয়ে হাতে তেলের ছিটে আসে নি এমন মানুষ খুব কম আছেন। আর রান্না করতে করতে হাতে তেলের ছিটে আসলে সঙ্গে সঙ্গে কিছু করাও হয়ে ওঠে না। শুধু জল দেওয়া হয় মাত্র। পরে দেখা যায় জায়গাটা লাল হয়ে ফুলে উঠেছে, ফোস্কা পড়েছে। আপনি কিন্তু তেল ছিটে এলে ওই জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে এমন কিছু হাতের কাছে থাকা জিনিস প্রয়োগ করতে পারেন যাতে ওই জায়গা লাল হবে না, ফোস্কাও পড়বে না।
এখন বেশির ভাগ মানুষের বাড়িতে ফ্রিজ আছে। যদি গরম তেলের ছিটে আসে হাতে তাহলে বরফ সঙ্গে সঙ্গে লাগান ওই জায়গায়। যদি বরফ না থাকে তাহলে ফ্রিজে থাকা ঠাণ্ডা জল দিলেও হবে। এতে পরে লাল হয়ে ফুলে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।
রূপচর্চার জন্য অ্যালোভেরা জেল আমাদের সকলের বাড়িতেই এখন থাকে। আজকাল তো অনেকে বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ লাগান। হাতে গরম তেলের ছিটে আসলে ওই জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে লাগিয়ে নিন ওই অ্যালোভেরা জেল। এতে সঙ্গে সঙ্গে জ্বালা ভাব কমে ঠাণ্ডা অনুভূতি আসবে। এর সঙ্গে ফোস্কা পড়ার সম্ভাবনাও কমবে।
সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি মধু কিন্তু জ্বালা ভাব সঙ্গে সঙ্গে কমিয়ে দেয়। মধুর মধ্যে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। তাই তেলের ছিটে আসলে সঙ্গে সঙ্গে অল্প মধু ওই জায়গায় লাগিয়ে নিন। এতে সঙ্গে সঙ্গে জ্বালা ভাব কমে যাবে।
তেলের ছিটে এসে জ্বালা হলে আবার তেল ব্যবহার করুন। মা ঠাকুমারা বলতেন জ্বালা হওয়া জায়গায় সর্ষের তেল ব্যবহার করলে অল্প জ্বালা করলেও ফোলা ভাব বা ফোস্কা পড়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। আর এতে কোনও ব্যাকটেরিয়াল প্রকোপ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
নারকেল তেল স্বাভাবিক ভাবেই ঠাণ্ডা। ঠাণ্ডা রাখার কাজে নারকেল তেল খুব ভাল কাজ দেয়। তাই তেলের ছিটে এলে আর জ্বালা করলে অল্প নারকেল তেল লাগিয়ে দিন। সঙ্গে সঙ্গে একটা ঠাণ্ডা ভাব অনুভব করবেন। দিনে তিন থেকে চার বার লাগালে পরের দিন আর জ্বালা ভাব থাকবে না।
অনেকে বলেন টুথপেস্ট তেলের ছিটে আসা জায়গায় লাগালে আলাদা করে কোনও উপকার হয় না। কিন্তু বিপরীতে অনেকে আবার বলেন এতে নাকি কাজ হয়। তেলের ছিটে এসে যদি লাল হয়ে যায় তাহলে অল্প টুথপেস্ট নিয়ে ওই জায়গায় লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট মতো। দেখবেন লাল ভাব অনেক কমে গেছে। তবে যদি ফোস্কা পড়ে যায় তাহলে ওই ফোস্কার ওপর আর টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন না।
তেলের ছিটে এলে সেই জায়গায় চিনি ব্যবহার করলেও খুব ভাল উপকার পাওয়া যায়। আগে ওই জায়গাটা ভাল করে মুছে নিন। তারপর অল্প চিনি ওই তেলের ছিটে আসার জায়গায় চেপে চেপে লাগিয়ে রেখে দিন। ২০ মিনিট মতো রেখে তারপর ঝেড়ে নিন হাত। জল দিয়ে ধোয়ার দরকার নেই।
তেলের ছিটে এসে জ্বালা করলে বা ফোস্কা পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে আলুর ব্যবহার করুন। এই সব ক্ষেত্রে আলুর রস খুব ভাল কাজ দেয়। আপনি চাইলে আলু থেঁতো করে রস বের করে সেটি ব্যবহার করতে পারেন। না হলে শুধু আলু একটু থেঁতো করে সেই আলু ওই জায়গায় লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট মতো লাগিয়ে রাখলেই থানা ভাব বুঝতে পারবেন আর লাল হয়েও যাবে না।
অল্প পুড়ে গেলে বা জ্বলে গেলে চা পাতা সেই জ্বালা কমাতে খুব ভাল কাজ দেয়। চা পাতা সাধারণ জলে খানিক ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই চা পাতা অল্প থেঁতো করে ওই জ্বালা করার জায়গায় দিয়ে দিন। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। এতে খুব ঠাণ্ডা বোধ হবে আর লাল হয়ে যাওয়া বা ফোস্কা পড়ার সমস্যা অনেক কমে যাবে।
হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ যে কোনও জ্বালার ক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ দেয়। অল্প হলুদ গুঁড়ো জলে গুলে একটা পেস্ট মতো করে নিয়ে ওই জ্বালার জায়গায় লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে নিন। চাইলে এটি আপনি দিনে দুই বার করতে পারেন। খুব ভাল কাজ দেবে।
এভাবেই ঘরে আপনারা সঙ্গে সঙ্গেই তেলের ছিটে আসার ফলে হওয়া ফোস্কা বা জ্বালার উপশম করতে পারবেন। ওষুধ লাগানোর পাশাপাশি এই ঘরোয়া উপায় কিন্তু খুব কাজ দেয়।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…