কম্পিউটার দিনের পর দিন ব্যবহার করতে করতে আমরা অনেক সময়ে খেয়াল করি না যে কম্পিউটারের কি-বোর্ড কতটা নোংরা হয়ে গেছে। ধুলো পড়ে খুবই খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। অনেক সময়ে খেয়াল করলেও আমরা বুঝতে পারি না যে কীভাবে এই কি-বোর্ড পরিষ্কার করা যায়। কি-বোর্ডের মাঝের অংশ বা খাঁজ কিকরে পরিষ্কার করা যাবে। কিন্তু এখন কি-বোর্ড পরিষ্কার করা খুবই সহজ।
কি-বোর্ড বা অন্য যে কোনও এই ধরণের জিনিস ব্যবহার করার সময়ে কিকরে পরিষ্কার করা যাবে সেটা আমাদের খুবই চিন্তায় ফেলে। অ্যালকোহল দিয়ে পরিষ্কার শুনে অনেকেই চিন্তায় পড়বেন। কিন্তু খুব সহজেই আর কোনও ক্ষতি ছাড়াই অ্যালকোহল দিয়ে পরিষ্কার করা যায় কি-বোর্ড।
একটি কটন বাড, অ্যালকোহল, পরিষ্কার কাপড়।
একটি পরিষ্কার কটন বাড নিন। কটন বাড মানে কান পরিষ্কার করার যে বাড থাকে সেগুলি ব্যবহার করুন। আমাদের সবার ঘরে এখন হ্যান্ড স্যানিটাইজার আছে। হ্যান্ড শয়াণীতাঈজাড়ে আছে অ্যালকোহল। টাই অ্যালোকহোল নিয়েও কোনও চিন্তা নেই। একটি ছোট পাত্রে অল্প হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিন। এর মধ্যে এবার কটন বাড ডুবিয়ে নিয়ে অল্প চিপে নিন। জল জল থাকা চলবে না, শুধু ভিজে থাকলেই হবে। এবার মেশিন থেকে কি-বোর্ড খুলে নিন। আগে অল্প ঝেড়ে নিন। এবার ওই কটন বাড কি-বোর্ডের ফাঁকে ফাঁকে ঢুকিয়ে পরিষ্কার করুন। এতে অনেক ময়লা উঠে আসবে। তারপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন কি-বোর্ড।
এই জিনিসটির সঙ্গে আপনারা সবাই হয়তো খুব একটা পরিচিত নন। যে কোনও খাঁজ থাকা জিনিস থেকে ময়লা সহজে দূর করতে এই ক্লিয়ার টেপের জুড়ি মেলা ভার।
একটি ক্লিয়ার টেপ বা ক্লিনিং স্লাইম, পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো।
যে কোনও বড় হার্ডওয়ারের দোকানে এই ক্লিয়ার টেপ পেয়ে যাবেন। এটি থকথকে ধরণের দেখতে হয়। যে কোনও জায়গায় সহজেই ঢুকিয়ে পরিষ্কার করা যায়। আগে কি-বোর্ড খুলে নিন। ল্যাপটপ হলে কোনও অসুবিধা নেই। এই ক্লিয়ার টেপ কি-বোর্ডের ওপর রাখুন। তারপর আঙুল দিয়ে অল্প চাপ দিয়ে দিয়ে সব খাঁজে ওই টেপ নিয়ে যান। এতে সব ধুলো উঠে আসবে। তারপর ওই টেপ ফেলে দিয়ে ভাল কাপড় দিয়ে কি-বোর্ড মুছে নিন।
ব্যবহার করা খুবই সহজ, শুধু আমরা জানি না। একবার ব্যবহার করলেই বুঝবেন যে এতদিন শুধু শুধুই কি-বোর্ড পরিষ্কার করা নিয়ে চিন্তা করছিলেন।
কমপ্রেসড এয়ার কন্টেইনার।
ভাল যে কোনও স্টোরে পেয়ে যাবেন এটি। অনলাইনেও আনিয়ে নিতে পারেন। আগে কি-বোর্ড খুলে নিন আর উপুড় করে অল্প ঝেড়ে নিন। কমপ্রেসড এয়ার কনটেইনার ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন আগে। দেখবেন এর মুখে একটি নজল আছে সরু। এটি কি-বোর্ডের ফাঁকে ফাঁকে নিয়ে যান আর স্প্রে করুন। নানারকম অ্যাঙ্গেল থেকে এয়ার স্প্রে করুন। এতে ধুলো চলে যাবে খুব সহজে।
ব্রাশ বলতে আমি এখানে দাঁত মাজার ব্রাশের কথা বলছি না। আমরা অনেক সময়ে আমাদের স্কিন কেয়ারের জন্য এক ধরণের সরু ব্রাশ ব্যবহার করি। সেই ব্রাশ নিয়ে নিন। এই ব্রাশ নিয়ে কি-বোর্ডের সব খাঁজে আস্তে আস্তে নিয়ে গিয়ে ঝাড়তে থাকুন। এতে অনেক ময়লা, ধুলো বাইরে চলে আসে। দুই থেকে তিনবার এভাবে পরপর ব্রাশ ব্যবহার করলে কিন্তু সহজেই কি-বোর্ড থেকে ধুলো চলে যাবে।
অনলাইনে এই জিনিসটি সহজেই পেয়ে যাবেন। খুব একটা দাম নয়। একবার কিনে নিলে অনেক কাজে কিন্তু এটি ব্যবহার করতে পারেন। কি-বোর্ড পরিষ্কার করতে এটি খুব ভাল সাহায্য করে।
একটি ভাল ইউএসবি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
আগে আপনার কি-বোর্ড খুলে নিন। ইউএসবি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার প্লাগ জুড়ে নিন সুইচ বোর্ডে। তারপর কি-বোর্ডের কাছে নিয়ে গিয়ে সুইচ অন করে পরিষ্কার করুন। খুব কাছে নিয়ে যাবেন না কি-বোর্ডের। দূর থেকে করলেই ভাল ফল পাবেন। মিনিট পাঁচ সময় নিয়ে করলেই হয়ে যাবে। মাঝে মাঝে এভাবে যদি পরিষ্কার করে নিতে পারেন তাহলে খুব একটা আর ধুলো জমবে না।
আপনার কাছে যদি টিস্যু পেপার থাকে তাহলেও কিন্তু কি-বোর্ড সহজে পরিষ্কার করা হয়ে যাবে। টিস্যু পেপার যেহেতু নরম আর পাতলা হয়, তাই এটি ভাঁজ করা যায় সহজে। একটি টিস্যু পেপার নিয়ে ভাঁজ করে নিন পাতলা করে। তারপর এটি কি-বোর্ডের খাঁজে খাঁজে ঢুকিয়ে অল্প চাপ দিয়ে দিয়ে পরিষ্কার করুন। টিস্যু পেপার খুব সহজে ময়লা আর ধুলো বের করে নিতে পারবে। অল্প একটু ধুলো হলেই আপনি টিস্যু পেপার ব্যবহার করে কি-বোর্ড পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এতে ময়লা কম জমবে।
শুনতে অবাক লাগলেও খুব ভাল কাজে আসে এটি কি-বোর্ড পরিষ্কার করতে। একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আমাদের বাড়িতে ব্যবহার করা পুরনো শেভিং ব্রাশ থাকে। সেটি নিয়ে নিন। যেহেতু এটি নরম হয়, তাই এটি দিয়েও কি-বোর্ড পরিষ্কার করা যায় আর কি-বোর্ডের কোনও ক্ষতি হয় না। কি-বোর্ডের ওপর দিয়ে আর মাঝের ফাঁক দিয়েও এটি চালিয়ে সহজেই কি-বোর্ড পরিষ্কার করে নিতে পারবেন।
এই কয়েকটি উপকরণ হাতের কাছে থাকলেই কি-বোর্ড পরিষ্কার করা বাঁ হাতের খেলা। তবে মনে রাখবেন, কি-বোর্ড ব্যবহার করার আগে সব সময় খুলে নেবেন আর পরিষ্কার করার অন্তত কয়েক ঘণ্টা পর আবার ব্যবহার করবেন। ল্যাপটপের কি-বোর্ড ব্যবহার করতে হলে আগে ল্যাপটপ বন্ধ করে নিন, তারপর পরিষ্কার করুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…