চুমু তো খেয়েছেন জানি। আর আস্তে আস্তে চুমু খাওয়াটাকেই যে রীতিমতো একটা আর্টের পর্যায়ে নিয়েও গেছেন, তাও জানি। চুমু খেতে খেতে আপনি এখন এতটাই পোক্ত, যে নানারকম চুমুর কায়দাও আপনার জানা। নানারকম চুমু তো খেলেন, কিন্তু সেই চুমুর কী নাম, কি রকম কি ব্যাপার—সেটা জানতেও তো আপনার ইচ্ছে করে নিশ্চয়ই! আর তাই আপনাকে নানা চুমুর রকমফের জানাতে চুমুর খোদ এনসাইক্লোপিডিয়াকেই হাজির করেছি আজকের আর্টিকলে। দেখে নিন নানান চুমুর সুলুক সন্ধান।
কপালে ছোট্ট করে একটা মিষ্টি চুমুই কিন্তু আপনার পার্টনারকে বুঝিয়ে দিতে পারে আপনি তাঁকে কতটা অ্যাডমায়ার করেন বা তিনি আপনার কাছে ঠিক কি বা কতটা! তাছাড়া এই চুমুকে কিন্তু বন্ধুত্বের চুমুও বলা হয়। আর রোম্যান্টিক রিলেশনশিপের শুরুয়াতে এই চুমু আপনি খেতেই পারেন। এটা আপনার পার্টনারকে একধরণের অ্যাশিওর করা যে আপনি সবসময় তাঁর পাশে আছেন।
বিভিন্ন ইংলিশ মুভিতে এই চুমু তো আপনি দেখেইছেন। হাতে চুমু খাওয়া কিন্তু বেশ একটা শিভ্যালর্যাস ব্যাপার। বহু প্রাচীনকাল থেকেই হাতের তালুর উলটো পিঠে চুমু খাওয়ার এই প্রথা ব্রিটিশ সমাজে চলে আসছে। সাধারণত আপনার প্রিয় মানুষটিকে আপনি কতটা অ্যাডমায়ার করেন বা কতটা সম্মান করেন, এবং তাঁর প্রতি আপনি কতটা প্যাশনেট তা বোঝাতে এই ছোট্ট চুমুর বন্দোবস্ত।
নাহ, এস্কিমোরা এই ধরণের চুমু খান কিনা আমরা জানি না। তবে আপনার পার্টনারকে আপনার অ্যাফেকশন দেখানোর জন্য আপনি এই এস্কিমো কিস কিন্তু তাঁকে করতেই পারেন। তবে মজার ব্যাপার হল, এই চুমু খেতে কিন্তু ঠোঁট লাগেই না। আপনার পার্টনারকে কাছে এনে তাঁর নাকে আপনার নাক ঠেকান। হালকা করে ওপর নীচ করে নাকে নাক ঘষুন। মনে করা হয় যারা ঠাণ্ডার দেশে থাকেন, তাঁরা এভাবেই পরস্পরকে আদর করে থাকেন। নয়তো ঠোঁট ঠেকালে ঠাণ্ডার চোটে আটকে যেতে পারে যে!
প্রেমের স্বর্গ প্যারিস। আর প্যারিস শ্রেষ্ঠ এই ফ্রেঞ্চ কিস! মোস্ট পপুলার আর ইরোটিক কিস বলে যদি কিছু হয়, তাহলে কিন্তু প্রথমেই নাম করতে হয় ফ্রেঞ্চ কিসের। আপনার পার্টনারকে যদি আপনি কতটা প্যাশনেটলি ভালোবাসেন, এবং কত ইন্টিমেটলি কাছে পেতে চান, তা বোঝাতে চান, তাহলে তাঁকে ফ্রেঞ্চ কিস করুন। মুভিতে নিশ্চয়ই দেখেই থাকবেন। আর এই কিসে কিন্তু শুধু ঠোঁট না, চলে জিভের টাচও। আর করাও কিন্তু বেশ কঠিন এই কিস। তবে হ্যাঁ, এই ফরাসি কায়দায় চুমু খেতে গিয়ে কিন্তু একদম বেশী মাখামাখি করবেন না, আর জিভ? মুখের বেশী ভেতরে না ঢোকানোই ভালো!
লিপ কিস—এটাও কিন্তু খুবই প্যাশনেট একটা কিস। খুব ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে এই চুমুটি আপনি আপনার প্রিয় মানুষটিকে খেতেই পারেন।
একইসাথে মিষ্টি আর সেক্সি ভাবে আপনার পার্টনারকে চুমু খেতে চান? তাহলে এই ইয়ারলোব কিস ট্রাই করুন। হালকা করে আপনার পার্টনারের কানের লতিতে চুমু খান, জিভ ঠেকান, ছোট্ট কামড় দিন। খুব কাছে আসার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের জন্য এই চুমু কিন্তু বেস্ট। আর সেক্সের আগে পার্টনারকে অ্যারাউস করতে চান? তাহলেও এই কিস ট্রাই করুন।
ধরুন, আপনি আপনার পার্টনারের খুব কাছে। এতই কাছে যে তাঁর চোখের পাতা আপনার চোখের পাতাকে স্পর্শ করছে। আজ্ঞে হ্যাঁ, ওটাও কিন্তু একধরণের চুমু। অবাক হচ্ছেন তো? ভারী গালভরা একটি নামও আছে ওর—বাটারফ্লাই কিস। খুবই মিষ্টি একটা রোম্যান্টিক ব্যাপার, আর এর ফিলিংসটাই আলাদা!
স্পাইডারম্যান মুভিটায় স্পাইডারম্যানের চুমু খাওয়ার কথা আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে? যখন স্পাইডারম্যান আর মেরি জেন চুমু খাচ্ছিল। স্পাইডারম্যান ওপরে ঝুলে, উল্টোদিক থেকে, আর মেরি জেন নীচে দাঁড়িয়ে। ওই এপিক কিস সিনটাই কিন্তু এই স্পাইডারম্যান কিসের জন্মদাতা। আর আপনি এরকম মজার কিছু ট্রাই করে পার্টনারকে তাক লাগিয়ে দিতে চাইলে এই স্পাইডারম্যান কিসের কথা ভাবতেই পারেন।
ভ্যাম্পায়ার কিসের কথা শুনে আবার ভয় পাবেন না। ভ্যাম্পায়ার বলে হয়তো সত্যিই কিছু হয় না। কিন্তু আপনি যদি কামড়ে খাওয়ার মতো ওয়াইল্ডনেস আনতে চান আপনার চুমুতে, তাহলে এই ভ্যাম্পায়ার কিস আপনার মাস্ট ট্রাই। ‘টোয়াইলাইট সাগা’তে দেখেছেন তো, রক্ত চোষার জন্য ভ্যাম্পায়াররা কীভাবে গলার কাছে কামড়াত? ব্যাপারটা খানিকটা সেরকমই আর কি! গলা-ঘাড়ের কাছে চুমু খান খুব ডিপলি আর প্যাশনেটলি। দেখবেন ওটাই আপনার ভ্যাম্পায়ার কিস।
খানিকটা কিন্তু ফ্রেঞ্চ কিসের মতোই। জিভের র্যাপিড ব্যবহারে এই চুমু খেতে হয়। আর আপনার পার্টনারকে যদি প্যাশনেট ভাবে আদর করতে চান, আর অ্যারাউস করতে চান, তাহলে লিজার্ড স্টাইলে তাঁকে চুমু খান।
একে কিন্তু হিকি কিসও বলা হয়। ইরোটিক ফোর প্লে করার সময় এইভাবে আপনি পার্টনারকে চুমু খেতেই পারেন। আলতো করে আপনার পার্টনারের গলায় চুমু খান, তারপর জায়গাটা সাক করুন যতক্ষণ না লাল দাগ হয়ে যায়। তবে হ্যাঁ, আপনার পার্টনারও যদি উত্তেজিত হয়ে আপনাকে চুমু খেতে শুরু করেন, তাহলে কিন্তু রেডি থাকবেন!
চোখের পাতায় চুমু খেয়ে দেখেছেন? ওর থেকে মিষ্টি কিন্তু আর কিছুই হতে পারে না। আপনি আপনার পার্টনারকে কত ভালোবাসেন আর কত কেয়ার করেন, আর সবসময় যে তাঁর পাশে আছেন, তা বোঝানোর জন্য এই স্পেশাল রোম্যান্টিক কিস।
জড়িয়ে ধরে আপনার পার্টনারের গালে ছোট্ট করে মিষ্টি একটা চুমু খান। এই চুমুর মধ্যে একটা সুন্দর ডিপেন্ডেন্সি বোঝানো যায়।
কাঠঠোকরার মতো চুমু খেয়েছেন কখনও আপনার পার্টনারকে? তাড়াতাড়ি ছোট্ট করে একটা চুমু খেয়ে ফেলুন আপনার পার্টনারকে, ঠোঁটে বা গালে। ঠিক একদম কাঠঠোকরার ঠোক্করের মতোই! আর এটা কিন্তু খুব ফানি কিস। তাই আপনি খাওয়ার পর আপনার পার্টনার যদি হেসে লুটিয়ে পড়েন, তাহলে রেগে যাবেন না!
তাহলে আজ এখানেই থামা যাক, কি বলেন? চুমুর রকমফের তো জেনেই গেলেন। এবার চুমু খেতে খেতে কিন্তু মনে রাখুন কোন চুমু খেলেন, আর মনের আনন্দে চুমু খান।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…