চুল দিয়ে যায় চেনা! হ্যাঁ হ্যাঁ, তাহলে আর বলছি কি! একটা মানুষকে বোঝার জন্য দিনের পর দিন তপস্যা নয়! জাস্ট চুল দেখেই বোঝা যাবে মানুষটা কেমন। ধরুন, আপনার হঠাৎ কাউকে খুব ভালো লেগে গেল। কিন্তু বুঝতেই পারছেন না মানুষটা আদতে কেমন হবে। আদৌ সে আপনাকে কতটা ভালো রাখবে! আর কিচ্ছু না। বোঝার উপায় তার চুল! কীভাবে? দেখে নিন।
চুল যদি হয় ছোট, তাহলে সেই মানুষটি খুব সিরিয়াস স্বভাবের হয়। বিশেষত তার কেরিয়ার নিয়ে খুব সিরিয়াস হয়। এবং সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। নিজের সম্পর্কে বেশ সচেতন হয় এরা। এরা কিছু লুকিয়ে রাখে না। খুব সৎ হয়। আর সবচেয়ে বড় কথা, এরা খুব আত্মবিশ্বাসী হয়। একবার কিছু করব মনে করলে, করেই ছাড়ে। আর নিজে যেটা ঠিক মনে করে সেটাই করতে ভালোবাসে।
চুল যদি হয় মিডিয়াম লেংথ তাহলে তার চিন্তা-ভাবনা খুব ভালো। সে সবসময় ভালো চিন্তা করতে ভালবাসে। নিজের কমন সেন্স দিয়ে সবসময় ভাবার চেষ্টা করে। এরা একটু অমনোযোগী হয়। এবং অল্পেই খুব বেশী চিন্তিত হয়ে পড়ে। খুব চিন্তা করে। টেনশন করে। এবং সব কিছুকেই যুক্তি দিয়ে বিচার করতে চায়। ভ্রান্ত জিনিসে বিশ্বাস করতে চায় না। প্রকৃত যুক্তি দিয়ে যেটা বিচার করা যায়, সেটাই মানে।
চুল বড় হলে এরা একটু কেয়ার ফ্রী হয়। নিজের প্রতি তেমন যত্নশীল নয়। নিজের কেরিয়ার নিয়েও তেমন সচেতন নয়।আর সহজে সিদ্ধান্ত নিতেও পারে না। ম্যাচিওরিটি তেমন প্রকাশ পায় না। একটু বাচ্ছা স্বভাবের হয়। এমনকি লম্বা চুলের মানুষ, তার বয়স যদি খুব বেশীও হয়, তাহলেও সে একটু বাচ্ছা স্বভাবের হয়। আবদার, বায়না করতে বেশ ভালবাসে। এরা খুব একটা বেশী ম্যাচিওর হয় না। নিজের বুদ্ধি কাজে লাগায় না। সাধারণত অন্যরা যা বলে, তাতেই বিশ্বাস করে নেয়।
চুল যদি হয় একদম সোজা, তাহলে সে হবে পারফেকশনিস্ট। অর্থাৎ সে যে কাজই করুক না কেন, একদম নিখুঁত ভাবে করতে ভালবাসে। কেউ যেন তার কাজের খুঁত ধরতে না পারে, বা তার কাজ নিয়ে কিছু বলতে না পারে। শুধু কাজ নয় জীবনের অন্যান্য বিষয়গুলোও যতটা সম্ভব পারফেক্ট চায়। যেমন তার রোজের সাজটাও যেন হয় একদম পারফেক্ট। এবং নিজেই সব সিচুয়েশন ম্যানেজ করতে চায়। সে যা কাজে রয়েছে, সেই কাজের সমস্ত সিচুয়েশন নিজেই কন্ট্রোল করতে চায়। এবং বেশ দয়ালু স্বভাবের হয়। কেউ বিপদে পড়লেই সাহায্য করতে চায়। এবং নিজের ও কাজের জিনিসপত্র একটু গুছিয়ে রাখতে ভালবাসে।
চুল ঢেউ খেলানো হলে সে খুব ক্রিয়েটিভ। তার মধ্যে নানা রকম বা কিছু না কিছু ক্রিয়েটিভ দিক আছে।অর্থাৎ যাকে বলে সৃজনশীল ক্ষমতা। হতে পারে সেটা নাচ, গান বা আঁকা বা আরও অন্য কিছু। এবং এরা দিনের একটা সময় একা কাটাতে ভালবাসে। নিজের জন্য একটু সময় খোঁজে, যে সময়টা সে নিজে নিজের মত করে কাটাবে। অর্থাৎ নিজেদের জন্য স্বাধীনতা চায়। এবং এটা তাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এরা একটু এনারজেটিক হয়। কিন্তু খুব ইমোশনাল হয়। সেইজন্য এরা দুঃখ পায়।
চুল খুব কোঁকড়ানো? তাহলে সে আনন্দ করতে খুব ভালবাসে। অর্থাৎ ফান লাভিং। সবার সাথে মজা করতে খুব ভালোবাসে। এদের খুব প্যাশন থাকে। এবং মন থাকে ভালোবাসায় ভরপুর। এদের লিডারশিপ গুণ থাকে। কিন্তু এরা তেমন সিরিয়াস হয় না।
তাহলে এবার আর পছন্দের মানুষটিকে চিনতে দিনের দিনের পর দিন অপেক্ষা নয়। চুল দেখেই যাচাই করে নিন। এবার আপনার নিজের চুল দেখুন তো কতটা মেলাতে পারলেন!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…