মেথি চুলের জন্য উপকারী একটা উপাদান তা আমরা অনেকেই জানি। মেথিতে রয়েছে ভিটামিন, প্রোটিন, পটাশিয়াম, লেসিথিন আরও অনেক উপকারী উপাদান। তবে আজ বলব মেথির তেলের কথা।
মেথির পেস্ট লাগাতে অনেক সময় সমস্যা হয়। মেথির গুঁড়ো চুলের ভেতর আটকে থাকে। তাই তেল ব্যবহার করুন। এটাও একইরকম উপকার দেবে আর কোন সমস্যাও হবে না।
মেথিতে রয়েছে একপ্রকার উপকারি উপাদান যা চুলের বৃদ্ধি ঘটায় আর হেয়ার ফলিকলকে মজবুত রাখে। এছাড়াও মেথিতে আছে নিকোটিন অ্যাসিড ও লেসিথিন নামক উপাদান যা পাতলা চুল ঘন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও মেথিতে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুনাগুণ, যা স্ক্যাল্পের ইনফেকশন রোধ করে এবং এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবেও কাজ করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতটা উপকারী হবে মেথির তেল আপনার চুলের জন্য। এবার কিভাবে বানাবেন দেখে নিন।
মেথির তেল বানানো খুব সহজ।হাতের কাছে থাকা উপাদান দিয়েই বানানো যায়।
বাড়িতে বেশ খানিকটা নারকেল তেল নিশ্চয়ই আছে। বেশ অনেকটা নারকেল তেল নিন। এতে মেথি দিন। এবার মেথিসহ এই তেলটা ফোটান। ভালোভাবে ফোটান যতক্ষণ না মেথির দানা লাল হয়ে যায়। মেথির দানা লাল হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এবার মেথির দানা একটু চিপে, তেল থেকে বাদ দিয়ে দিন। এবার তেলটা বোতলে টাইট করে রাখুন।
যে তেলটা বানালেন, সেটি স্ক্যাল্পে লাগান।স্নানের অন্তত একঘণ্টা আগে বা আগের দিন রাতে লাগাতে পারলে আরও ভালো। ভালো করে ম্যাসাজ করে স্ক্যাল্পে ও চুলে লাগান।পরদিন চাইলে শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন যদি বাইরে যাবার থাকে। না হলে জল দিয়েই ধুয়ে ফেলুন। কোন অসুবিধা নেই। খুব চুল ওঠার সমস্যা হলে এটা তিনদিন লাগান।না হলে সপ্তাহে দুদিন লাগালেই উপকার পাওয়া যাবে। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে। চুল পড়া কমবে। এটি চুলের অকালপক্কতাও রোধ করবে।
মেথি ও ডিম দুটোই চুলের জন্য দারুণ উপকারী। এটি চুলকে চকচকে, সিল্কি করতে দারুণ কাজ দেয়।
মেথির তেল ও কুসুম ভালো করে মিশিয়ে নিন।এমনভাবে মেশান যাতে কুসুম দলা পাকিয়ে না থেকে ভালো করে মিশে যায়।
এবার মিশ্রণটা স্ক্যাল্প সহ পুরো চুলে ভালো করে লাগান।আধঘণ্টা রাখুন।তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।এটা শুধু চুল চকচকে করবে না,চুল পড়াও কমাবে ও ড্রাই স্ক্যাল্পের সমস্যার সমাধান করবে।সপ্তাহে একবার করলেই কাজ হবে।
অনেক কিছু ট্রাই করেও খুশকি থেকে রেহাই মেলেনি? তাহলে ব্যবহার করুন মেথির তেল ও লেবুর রস। পাতিলেবু খুশকির জন্য উপকারী এটা সবাই জানি। তার সঙ্গে মেথিও কিন্তু সমান উপকারী খুশকির সমস্যায়। বুঝতে পারছেন দুটো একসাথে লাগালে, কত ভালোই না ফল পাওয়া যাবে।
২চামচ মেথির তেলের সঙ্গে ১চামচ লেবুর রস মেশান।মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন এমনি।
এই মিশ্রণটা স্ক্যাল্পে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। আধঘণ্টা রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহে দুদিন করুন। তবে পর পর দুদিন না। মাঝে ফাঁক দেবেন।
চুলের একটা সাধারণ সমস্যা হচ্ছে চুল ফেটে যাওয়া। আর চুল ফেটে গেলেই ব্যাস ভীষণ চুল পড়তে থাকে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করুন মেথির তেল ও দই।
প্রথমে এক চামচ মেথির তেল স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে নিন। এবার একটা জায়গায় মেথির পেস্ট বানান। এবার এই পেস্টে টক দই মেশান। চাইলে এই পেস্টে একটু মেথির তেলও দিতে পারেন। ভালো করে দুটো উপকরণ মেশান।
এই মিশ্রণটা স্ক্যাল্প সহ পুরো চুলে লাগান। আধঘণ্টার একটু বেশি রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে ছুটির দিনটি এটা করে ফেলুন। এটা চুল ফাটা তো কমাবেই, তার সাথে চুল হয়ে উঠবে ঘন ও ঝলমলে।
তাহলে মেথির তেল বানানো তো শিখেই গেলেন। এবার সপ্তাহে দুদিন এই তেল লাগান।আর ছুটির দিনটি আপনার পছন্দমত এই প্যাকগুলো লাগান। ব্যাস তাহলে চুলের সমস্যায় আর কোনদিন দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
বলছি মেথির তেল আর লেবুর রস মিশিয়ে যেটা চুলে দেব, সেটা কি দেবার পর এমনি জল দিয়ে ধুয়ে নেবেন। please please বলুন না।
মেথির তেল তৈরি করে কতদিন সংরক্ষণ করা যায়???