চুল নিয়ে চিন্তিত? আজ আপনার চুলের সমস্যার সমাধানে এমন একটি উপাদানকে ব্যবহার করার কথা বলব যেটি জল ও চায়ের পর পৃথিবীর তৃতীয় জনপ্রিয় পানীয়। আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেনে, বিয়ারের কথাই বলছি। অনেকেই হয়তো শুনে চমকালেন। কিন্তু এটা সত্যি যে, বিয়ার কিন্তু চুলের বাজার চলতি নানান প্রোডাক্টেই ব্যবহার করা হয়।
আসলে বিয়ারে থাকে ‘সিলিকা’ নামের একটি মিনারেল। এই সিলিকা আপনার চুলকে ভেতর থেকে মজবুত করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এতে আছে চুলকে সুস্থ ও মজবুত রাখার যাবতীয় মিনারেল। সিলিকা ছাড়াও এতে থাকে কপার, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন বি । এগুলির সবকটিই আপনার চুলের স্বাস্থের জন্য দরকারী। আপনার চুল বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রেও বিয়ার একটি আবশ্যিক উপাদান হতে পারে। কেননা, এটি আপনার চুলের কোষগুলিতে ব্যবহারের ফলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে কিচ্ছু না ভেবে আজ থেকেই এর ব্যবহার শুরু করে দিন। কীভাবে ব্যবহার করবেন ? আসুন, জেনে নিই।
বিয়ারকে আপনি চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে আপনার চুল যদি হয় অয়েলি, তাহলে এটি খুবই কাজের।
উপকরণ
আপনার চুলের অনুপাতে বিয়ার এবং শ্যাম্পু।
পদ্ধতি
বিয়ারটিকে আপনি সারারাতের জন্য অথবা কম পক্ষে দু-তিন ঘন্টা অবধি স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই রেখে দিন। এবারে আপনি রোজকার মতো আপনার চুল শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। এবারে কন্ডিশনিং করেও নিতে পারেন। কিন্তু আপনার চুল যদি অয়েলি হয়, তাহলে কন্ডিশনিং করবেন না। এবারে আপনি পরিমাণ মতো বিয়ার নিয়ে আপনার মাথার চুলে মাখিয়ে দিন। বিয়ারটি দিয়ে চুলের স্ক্যাল্পে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ম্যাসাজ চালিয়ে যান। এবারে বিয়ার মাখানো অবস্থায় চুলটিকে অন্তত ১৫ মিনিট রাখুন। এবারে ফ্রেশ জলে চুল ধুয়ে ফেলন।
➡ বিয়ার দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
এই হেয়ার মাস্কটিও খুবই কার্যকরী। আসুন, দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণ
হাফ কাপ ডার্ক বিয়ার, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টি ডিমের কুসুম, ১ টি কলা।
পদ্ধতি
এই সব কটি উপাদানকে এক সাথে মিশিয়ে নিন। এতে একটি মসৃণ মিশ্রণ প্রস্তুত হবে। এবারে চুলের গোড়া অবধি এটিকে ম্যাসাজ করা শুরু করুন। করার পর এটিকে ১ থেকে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। যাতে জট পাকিয়ে না যায়, তাই আপনি একটি শাওয়ার ক্যাপ এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। এবারে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে কন্ডিশনিং করে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করুন।
এই হেয়ার প্যাকটিও কিন্তু বেশ কার্যকরী। আসুন দেখে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন-
উপকরণ
হাফ কাপ বিয়ার, ১ টি ডিম।
পদ্ধতি
একটি মসৃণ মিশ্রণ পাওয়ার জন্যে একটি পাত্রে ডিম ও বিয়ারকে একসাথে মেশান। পুরো মাথা জুড়ে চুলের গোড়া অবধি ভালো করে ম্যাসাজ করতে থাকুন। পুরো মাথায় ম্যাসাজ করা হয়ে গেলে আধ ঘন্টার জন্য রেখে দিন। এবারে আপনার দৈনিক ব্যবহারের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে চাইলে একবার করে ট্রাই করুন, ফল পাবেন। ডিমে প্রোটিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, বিয়ারের সাথে এর মিশ্রণ চুলের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে এবং চুলের বেড়ে ওঠাতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি তো খেতে বেশ, কিন্তু চুলের ক্ষেত্রেও বিয়ারের সাথে এটি ব্যবহার করতে পারেন। আসুন, দেখে নিই।
উপকরণ
১ কাপ বিয়ার, ৩ টি পাকা স্ট্রবেরি।
পদ্ধতি
প্রথমে একটি পাত্রে স্ট্রবেরিগুলি ভালো মতো পেস্ট করে নিন। এই পেস্ট হওয়া স্ট্রবেরির সাথে বিয়ার মিশিয়ে নিন ভালো মতো। স্ক্যাল্পে, পুরো মাথা জুড়ে ভালো মতো এই মিশ্রণটি মালিশ করতে থাকুন। মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে রাখুন অন্তত ২০ মিনিট। এরপর আপনার প্রতিদিনের ব্যবহার করার শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একবার করে এটি প্রয়োগ করে দেখুন। অয়েলি চুলের ক্ষেত্রে এটি খুবই কাজে দেয়।
এমনই নানাভাবে আপনার পছন্দের এই পানীয়টিকে আপনার চুলের স্বাস্থ্যের কাজও লাগাতে পারেন। আর পেতে পারেন আশাতীত ফল। তাই আর দেরী না করে আজই এই পদ্ধতিগুলো থেকে আপনার পছন্দের পদ্ধতিটি বেছে নিন ও কাজে লাগান ।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…