স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল প্রতিটি নারীর অহংকার। কিন্ত যুগের সাথে তাল মেলাতে চুলের সাথে বিভিন্ন স্টাইল বা ফ্যাশন করতেই হয়। পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন হেয়ারকাট, কালার ব্যবহার করে চুলকে অস্থায়ীভাবে ভিন্নরূপ দেওয়া হয়। এতে সচরাচর চুল তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে যায়।
শুরু হয় চুল পড়া, আগাফাটা, খুশকি, চুলের গোড়া দূর্বল হওয়া ইত্যাদি নানান সমস্যা। তার ফলে মেয়েরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। দুশ্চিন্তায় ঘুম আসে না। কিন্তু দুশ্চিন্তায় হতাশা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়।
যদি আপনি এমন সমস্যায় পড়েন, তবে এখন থেকেই চুলের যত্নে মনোযোগী হন। এমন বিভিন্ন কার্যকরী পদ্ধতি আছে যা ঘরোয়াভাবেই আপনার চুলের যত্ন নিতে সাহায্য করবে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা প্রয়োগে আপনার চুলের সমস্যাগুলো দূর হবে।
এটি এমনই একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা চুলের জন্য দারুণ ফলদায়ক। পেঁয়াজ ত্বক ও চুলের জন্য টনিক হিসেবে কাজ করে, কারণ এত রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেগুলো ত্বক ও চুলকে রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। যে কেনো সংক্রামক রোগে পেঁয়াজে বিদ্যমান অ্যান্টি-বায়োটিক তা দূর করে। এছাড়া পেঁয়াজে ভিটামিন, মিনারেল, সালফার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি রয়েছে।
গবেষণায় প্রমাণিত যে, পেঁয়াজ চুলের যত্নে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এতে আছে সালফার যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, চুল পড়া বন্ধ করে এবং অন্যান্য অনেক প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করা, জীবাণু প্রতিহত করা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
পেঁয়াজ থেকে আশানুরূপ ও কার্যকর ফলাফল পেতে এর রস সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যাবে, কোনো সমস্যা নেই।
প্রথমে ভালো, সতেজ কিছু পেঁয়াজ নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রসটকু সংগ্রহ করুন। এবার রসটুকু সরাসরি মাথায় মালিশ করুন যেভাবে তেল মালিশ করা হয়। ৩০ মিনিট পর চুলে শ্যাম্পু করে ধুলে ফেলুন।
পেঁয়াজ থেকে উপকার পেতে আপনি এটা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন অথবা পেঁয়াজের রস ত্বকে মালিশ করতে পারেন। তাছাড়া এটি পরিপাকের জন্যও বেশ উপকারী কারণ এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এই একই জিনিসি আপনি চুলেও ব্যবহার করতে পারেন।
আধা কাপ পেঁয়াজের রস সংগ্রহ করে তার সাথে ১ টেবিল চামচ মধু নিয়ে রসটুকুর সাথে মেশান। এবার এই রস নিয়মিত খান বা মাথায় লাগান।
তেলের সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে এটি বেশি পরিমাণ পুষ্টির যোগান দেবে, কারণ তেলের স্বতন্ত্র গুণাগুণ রয়েছে।
৩ টেবিল চামচ পরিমাণ পেঁয়াজের রস সংগ্রহ করুন। ১ টেবিল চামচ পরিমাণ নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল মেশান। মাথার ত্বকে ঘষে ঘষে মালিশ করুন যাতে গোড়ার গভীরে পৌছায়।
লেবুর রস কিন্তু খুশকি দূর করতেও সহায়ক । তাই এই প্রক্রিয়াটি আপনার ত্বকের জন্য একাধিক সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস।
৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস সংগ্রহ করুন। এর সাথে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে নিন। এবার মাথার ত্বকে মালিশ করুন ।
এভাবে যদি নিয়মিত সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল আগের চেয়ে অনেক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হবে ।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
Thank you!
Welcome.
ফ্রিজে রেখে ব্যাবহার করা যাবে???
na korai valo
আগের দিন রাতে তেলের সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে চলে দেওয়া যাবে?
পরদিন সকালে শ্যাম্পু করা যাবে?