‘চিকুনগুনিয়া’ (Chikanguniya) কথাটি কিমাকন্ডে ভাষা থেকে নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ তানজানিয়ার লোকেরা কিমাকন্ডে ভাষায় কথা বলে। চিকুনগুনিয়া মানে আকুঁচিত। পায়ে সন্ধিস্থলে ব্যাথা হলে মানুষজনের শরীরের ভঙ্গি যেমন হয়ে যায় সেটিকেই কিমাকন্ডে ভাষাতে চিকুনগুনিয়া বলে। ১৯৫২ সালে প্রথম চিকুনগুনিয়ার রোগ দেখা দেয় দক্ষিণ তানজানিয়াতে। এখন এই রোগটি মোটামুটি ৬০ টি দেশে দেখা যায়।
চিকুনগুনিয়া আসলে একটি ভাইরাল রোগ। সাধারণত এডিস মশা কামরালে চিকুনগুনিয়া হয়। এডিস মশা সকালে বা বিকেলে কামড়ায়। গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে, রাত্রে এই মশা কামড়ায় না। চিকুনগুনিয়া নানা শরীর খারাপ নিয়ে আসে। যেমন তীব্র জ্বর,সন্ধিস্থলে ব্যাথা ইত্যাদি। এডিস মশা কামড়ানোর ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু হয়ে যায়। আমরা অনেক সময় চিকুনগুনিয়ার লক্ষন দেখেও বুঝতে পারিনা। তাহলে আজ আমরা চিকুনগুনিয়ার কিছু লক্ষণের ব্যাপারে জেনে নিই।
চিকুনগুনিয়ার প্রথম লক্ষন হল জ্বর হওয়া। চিকুনগুনিয়া রোগে সংক্রামিত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই জ্বর হয়ে থাকে। জ্বরের ফলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা খুবই বেড়ে যায় যা অনেক সময় ১০৪ ডিগ্রিতেও পৌঁছায়।
চিকুনগুনিয়া হওয়ার আরেকটি লক্ষন হলো চোখ লাল হয়ে যাওয়া। আমাদের চোখে নেত্রবর্ত্মকলাপ্রদাহ হয়ে থাকে যার ফলে অত্যন্ত অস্বস্তি অনুভব করি। আলোর দিকে তাকাতেও অসুবিধা হয়। তাই চোখ লাল হয়ে গেলে আর চিকুনগুনিয়ার আরো কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তার দেখানো খুবই জরুরি।
হাত-পা বা বলতে গেলে সারা শরীরেই ব্যাথা হয় চিকুনগুনিয়ার রোগে আক্রান্ত হলে। প্রথম কিছুদিন ব্যাথা কম থাকলেও কয়েকদিন যাওয়ার পর আমাদের শরীরে তীব্র ব্যাথার অনুভূতি হতে শুরু করে। তাই খেয়াল রাখতে হবে চিকুনগুনিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষনটি।
চিকুনগুনিয়ার আরেকটি লক্ষণ হল মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা হওয়া। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা অনেক দিন ধরে রয়ে যায় এবং চিকুনগুনিয়া পুরোপুরি সারা না অবধি মাথায় যন্ত্রনা করতে থাকে। এই রকম মাথা ব্যাথা হলে রক্ত পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত ।
চিকুনগুনিয়া হওয়ার পরে আমাদের পায়ে বা শরীরের নিচের দিকের অংশে র্যাশ হয়ে যায়। র্যাশগুলি মাঝে মাঝে সারা শরীরেও ছড়িয়ে পরে এবং লাল ছোপের মতো দেখায়। চিকুনগুনিয়া সেরে যাওয়ার কিছুদিন পর র্যাশও দূর হয়ে যায় তাই এটা নিয়ে খুব একটা ঘাবড়ানোর দরকার নেই।
চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ফলে আমাদের সর্বক্ষণ বমি বমি ভাব লাগে। কোনো কিছুই খেতে ইচ্ছা করেনা। খেলেও বমি হয়ে যায় বেশির ভাগ সময়। তাই সারাদিন বিনা কারণে বমি ভাব লাগলে আমাদের উচিত বিভিন্ন রক্তের পরীক্ষা করা।
চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে আমাদের শরীরের ক্লান্তি বেড়ে যায়। আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে ওঠে যার ফলে এই ক্লান্তির অনুভূতি আসে। অল্প কাজ করলেই আমাদের শরীরে পরিশ্রান্ত অনুভব হয়।
উপরে উল্লেখিত হল চিকুনগুনিয়ার প্রধান লক্ষণ। এর বাইরেও বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয় চিকুনগুনিয়াতে আক্রান্ত হলে। উল্লেখিত লক্ষনগুলির মধ্যে মাত্র কয়েকটি লক্ষণ ও আমাদের শরীরে দেখা দিলে আমাদের উচিত সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। ডাক্তারের মত নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করা।
চিকুনগুনিয়ার ভ্যাকসিন এখনো বের করা যায় নি। তাই শুধু মাত্র পেন কিলার বা ব্যাথা কমানোর ওষুধ খেলে কিছুক্ষণের জন্য আরাম পাওয়া সম্ভব। চিকুনগুনিয়া রোগটি বেশ কদিন ধরে আমাদের শরীরে রয়ে যায়। অনেক সময়ই দেখা গেছে ৩-৬ মাস ধরেও এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভুগেছেন। তাই আমাদের উচিত চিকুনগুনিয়া রোগের থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। যেখানে খুব বেশী মশা ওইসব স্থানে না যাওয়াই উচিত। আবারও বলছি উপরের উল্লেখিত লক্ষণের মধ্যে যদি কয়েকটাও মেলে তাহলে আমাদের উচিত খুব তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখানো।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…