সদ্য হইচই এ মুক্তি পেয়েছে ব্যোমকেশ সিজন ৬ ‘মগ্ন মৈনাক’। পরিচালনায় সৌমিক হালদার। চিত্রনাট্যে সৌগত বসু। অভিনয়ে ছিলেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য-ব্যোমকেশ, রিদ্ধিমা ঘোষ-সত্যবতী, সুপ্রভাত দাস-অজিত, দর্শনা বনিক-হেনা মল্লিক, উজান চট্টোপাধ্যায়-নেংটি এছাড়াও দেবশঙ্কর হালদার, কৃষ্ণেন্দু দেওয়ানজি সহ আরও অনেকে। গল্পটি দেখানো হয়েছে তিনটি পর্বে। কেমন হল এবারের সিজন?
রিভিউ দেবার আগে একটু গল্পটা জেনে নেওয়া যাক। এই গল্পটি হল স্বাধীনতার পরের সময়ের গল্প। যেখানে হেনা মল্লিক নামের এক অনাথকে আশ্রয় দেন সন্তোষ সমাদ্দার নামে এক ধনী ব্যবসায়ী তার বাড়িতে।
এই হেনা একদিন ওই বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে হঠাৎই মারা যায়। সবার এটা একটা দুর্ঘটনা মনে হলেও, ব্যোমকেশ কিন্তু এর মধ্যে রহস্যের গন্ধ পান। কারণ জানা যায়, হেনা খুব সুন্দর ছিল আর ওই বাড়ির ছেলেদের তার ওপর বেশ নজর ছিল। আবার হেনা মাঝে মাঝেই সকলের আড়ালে কোথায় যেন যেত। হেনা কোথায় যেত? আর এটা কি শুধুই দুর্ঘটনা নাকি খুন?
ব্যোমকেশের চরিত্রে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এই চরিত্রে তার সাফল্য মানে, এখন ব্যোমকেশ মানেই অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নাম মাথায় আসে। তাই প্রতিবারের মত এইবারও অসাধারণ লেগেছে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে।
এছাড়াও অজিতের ভূমিকায় সুপ্রভাত দাসও খারাপ নয়। তার কণ্ঠস্বর ভালো লেগেছে এই ভূমিকায়। সত্যবতীর চরিত্রে রিদ্ধিমা ঘোষকে মিষ্টি লাগলেও ব্যোমকেশ বক্সির স্ত্রী হিসাবে তেমন তীক্ষ্ণ লাগেনি। মনে হয়েছে একটু জড়তা থেকে গেছে। তবে ব্যোমকেশ সত্যবতীর রসায়ন ভালোই লেগেছে।
এই সিজনে নজর কেড়েছে নেংটি চরিত্রটি। এই চরিত্রে উজান চট্টোপাধ্যায় অসাধারণ। কিছু কিছু জায়গায় ব্যোমকেশকেও ছাপিয়ে গেছে নেংটির বুদ্ধি। আলাদা করে বলতেই হচ্ছে নেংটিকে নিয়ে। পড়াশোনা তেমন না জানলেও বুদ্ধি কিন্তু বেশ আছে। কার সাথে ঠিক কীভাবে কথা বলতে হবে সেটা সে ভালোই জানে।
সিরিজে এই চরিত্রটিকে বেশ স্বতঃস্ফূর্ত করে রেখেছিলেন উজান চট্টোপাধ্যায়। সন্তোষবাবুর ভূমিকায় দেবশঙ্কর হালদার মোটামুটি। হেনা মল্লিকের চরিত্রে দর্শনা বনিক তেমন বিশেষ কিছু না হলেও, ঠিক আছে। ছিমছাম ও সুন্দর।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এই ‘মগ্ন মৈনাক’ গল্পটি বেশ জনপ্রিয়। যদি পড়া থাকে তাহলে বুঝতে পারবেন মূল গল্পের মতই সবকিছু রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। চিত্রনাট্যে তেমন কোন চকম বা নতুনত্ব নেই। গল্প বলার ধরন খারাপ না হলেও বেশ ধীর লেগেছে। আরেকটু তাড়াতাড়ি হলে আরও ভালো লাগতো।
শেষে নেংটির ওপর ব্যোমকেশ ও অজিতের রেগে যাওয়াটা বেশ মজাদার লেগেছে। সবমিলিয়ে ট্রিজার যতটা আকর্ষণীয় লেগেছিল, সিরিজটি খুব ভালো না লাগলেও ভালো। কিছু কিছু কমতি রয়েছে তবে সেগুলি বাদ দিয়ে মোটের ওপর একবার দেখা যেতেই পারে। বিশেষত অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য। তাই কোনো এক ছুটির দিনে শীতের দুপুরে দেখে নিতেই পারেন ‘মগ্ন মৈনাক’।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…