আপনার সুন্দর মুখশ্রীতে ব্রণ যেন এক আতঙ্কেরই নাম!ব্রণকে ভয় পান না,এমন মানুষ খুব কমই আছেন।ব্রণ থেকে দূরে থাকতে ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে দূরে থাকা,প্রচুর পানি পান করা,নিয়মিত পার্লারে গিয়ে রূপচর্চা করা-এসব কতকিছুই না আমরা করে থাকি!
ব্রণের দাগ সারানোর জন্য কেমিক্যাল জাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার করা সমীচিন নয় মোটেও ।এতে বরং ত্বকের আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে!তাই আসুন আজ আমরা জেনে নেই একদম ঘরোয়া উপায়ে কেমন করে ব্রণের গর্ত নির্মূল করা যায়।
সাইট্রিক অ্যাসিডের অন্যতম উৎস লেবু থেকে রস বের করে আপনি নিয়মিত মুখে ব্যবহার করেই দেখুন!আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি তো পাবেই,সেই সাথে আপনার সুন্দর মুখশ্রীতে যদি কোনো ব্রণের কালো দাগ থেকে থাকে,তাও মিলিয়ে যাবে খুব অল্প ক’দিনের মধ্যেই!
রূপচর্চায় আজকাল অ্যালোভেরার ব্যবহার কে না জানে!অ্যালোভেরা জেলের গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না।আপনি বিভিন্ন সুপার শপগুলোতেই অ্যালোভেরা জেল কিনতে পাবেন,আবার বাজার থেকে নিয়ে আসতে পারেন কাঁচা অ্যালোভেরাও।সেই অ্যালোভেরা জেল মুখে মাখলে আপনার ব্রণের গর্ত ও দাগ মিলিয়ে যেতে পারে খুব সহজেই!
জেনে আশ্চর্য হবেন,টম্যাটোর বিশেষ সব গুণাগুণের কারণে একে প্রাকৃতিক ব্লিচ বলা হয়ে থাকে।টম্যাটোতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,যা আপনার ব্রণের গর্তকেও মিলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কালো দাগকেও নিমিষেই দূর করবে।
সাধারণত শসার রস যে কোনো ফেস প্যাকেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।এছাড়া শুধু শসার রস আপনি মুখে লাগিয়ে দেখতে পারেন।এটি ব্রণের কালো দাগকে হালকা করতে সাহায্য করে।
রূপচর্চায় কাঁচা হলুদ আর চন্দন কাঠের গুঁড়ো ব্যবহার চলে আসছে বহু যুগ আগে থেকে।গ্রামাঞ্চলে আমাদের নারীরা,যাদের কাছে তেমন কোনো প্রসাধনী সামগ্রী নেই বললেই চলে,তারা রূপচর্চার উপাদান হিসেবে কাঁচা হলুদ আর নিমপাতাকেই চেনে।সেই সাথে আপনি ব্যবহার করতে পারেন চন্দন কাঠের গুঁড়োও।নিয়মিতভাবে কাঁচা হলুদ,নিমপাতা আর চন্দন কাঠের গুঁড়ো আপনার ব্রণের কালো দাগকেই দূর করবে না,বরং ব্রণ হওয়ার হাত থেকেও আপনাকে বাঁচাবে চমৎকারভাবে।
মধু একটি অতি পরিচিত প্রাকৃতিক প্রসাধনী।প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চার জন্য মধুর ব্যবহার প্রচলিত।কিন্তু আপেল আর মধুর মিশ্রণ যে ব্রণের দাগ নিমেষেই দূর করতে পারে,তা বোধ হয় আমরা অনেকেই জানি না!বেশ,এবার আমরা আপনাকে বলে দিচ্ছি কী করে আপনি এগুলোর সাহায্যে ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন!প্রথমে আপেলের পেস্ট তৈরি করে তার মধ্যে ৫/৬ ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিন।এবার মিশ্রণটি ভালো করে মুখে ঘষে নিন।এই মিশ্রণটি ব্যবহার করে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে আপনি নিজেই লক্ষ্য করতে পারবেন আপনার ত্বকের পরিবর্তন।ব্রণের দাগ দূর তো হবেই,বরং আপনার ত্বকও হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
বরফ কুচির ব্যবহারেও আপনার ব্রণের গর্ত মিশে যেতে পারে অনেকটাই।পাতলা কাপড় বা তুলায় করে বরফ কুচি নিয়মিত ঘষুন।এতে আপনার ত্বকের কালো দাগ মিলিয়ে যাবার পাশাপাশি ত্বকেও দেবে এক আরামদায়ক অনুভূতি।
তুলসী পাতাকে সাধারণত সকল আয়ুর্বেদিক গুণের আধার বলা হয়ে থাকে।কেননা এটি শুধু রূপচর্চায় অনবদ্য ভূমিকা রাখে তাই নয়,বরং বহু অসুখবিসুখের হাত থেকে রক্ষা করে এই তুলসীরস।ত্বক পরিচর্যায় ফেস প্যাকের গুরুত্ব বরাবরই অপরিসীম।তুলসী পাতা রস করে সেটি শুধুমাত্র ব্রণের ওপর বা ব্রণের দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন।এতে করে ব্রণ থেকে বেশ কিছুদিনের জন্য মুক্তি আপনি পেতেই পারেন!
ব্রণের গর্ত সারাতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ঘরে তৈরি বিভিন্ন ধরণের ফেস প্যাকও।আপনার ফেস প্যাকে মেশান বেসন,টক দই ও শশার রস।কিংবা কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে তার সাথে মেশাতে পারেন মুসুরি ডাল বাটা এবং চালের গুঁড়োও।এ ধরণের ফেস প্যাক আপনার ত্বককে রাখবে দাগহীন,উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।এছাড়া রাতে শোবার আগে ডিমের সাদা অংশের সাথে লেবুর রস যোগ করে ব্রণের ওপর মেখে তা আধঘন্টা ধরে শুকোতে দিন।এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন।এই প্যাকটিও আপনার ব্রণের গর্ত ও কালো দাগকে সারিয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
ব্রণ ও ব্রণের গর্ত সারাতে সবার আগে খেয়াল রাখুন নিজের খাওয়া দাওয়া এবং ঘুমের প্রতি।বাইরে থেকে এসে ভালো করে হাত মুখ পরিষ্কার করুন।মুখে ধুলোবালি খুব একটা জমতে দেবেন না।আর বাইরের তৈলাক্ত খাবার বা ফাস্ট ফুড থেকে যত দূরে থাকা যায়,ব্রণ থেকে মুক্ত থাকার জন্য তা ততটাই ভালো!পরিমিত ঘুম না হলেও ব্রণের উৎপাত শুরু হয়ে থাকে।তাই নিজ দায়িত্বেই ঘুমিয়ে নিন পরিমিতভাবে।
দেখলেন তো,পার্লারে না দৌড়িয়েও কত সহজেই আপনার হাতের কাছের উপাদানগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি পেতে পারেন ব্রণমুক্ত সুন্দর আর উজ্জ্বল ত্বক!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…