সাজুগুজু মেয়েদের জন্মগত অধিকার| কর্মক্ষেত্র হোক বা কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠান হোক বা আপনার প্রিয় মানুষটির সাথে রোমান্টিক ডেট হোক- মুখের মেকআপ কিন্তু খুব জরুরি| তাই আপনার গালে যদি ব্রণ হয়ে থাকে, তাই বলে তো সাজগোজ থেমে থাকতে পারে না| জানি আপনি ভয় পাচ্ছেন, মুখে মেকআপের ফল যদি উল্টো হয়ে যায় মানে মুখের ব্রণ গুলো যদি ভয়ঙ্কর আকার নেয়| তাহলে আর ‘দাশবাস’ আপনার কেমন বন্ধু? মানে আপনার এই দুশ্চিন্তায় ‘দাশবাস’ কিন্তু আপনার সাথেই আছে| আপনার মেকআপ দিয়ে যাতে ব্রণ গুলোকে ভ্যানিশ করে দেওয়া যায় এবং সেটাও আবার আপনার ত্বকের ক্ষতি না করে, তার ব্যবস্থা করতেই আজকের আর্টিকেল| জেনে নিন ঠিক কিভাবে মেকআপ করবেন আপনি যাতে ব্রণ নামক বস্তুটি আপনার গালে উকি মারবে না।
আপনার মুখে যেহেতু ব্রণ হয়েছে তার মানে স্কিন এখন এক্স্ট্রা সেন্সেটিভ হয়ে আছে| তাই সবার প্রথমে মেকআপ শুরুর ৫ মিনিট আগে ভালো করে মুখ ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে মুখে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন| এতে আপনার মুখের ময়লা বা ধুলো বালি দূর হবে এবং ত্বকের ক্ষতি কম হবে|
ত্বক ভালো করে ময়েশ্চারাইজ হয়ে গেলে এবার পালা প্রাইমারের| প্রাইমার টি ঠিক মতো প্রয়োগ হলে তবেই কিন্তু মুখে ব্রণ থাকলে তার ওপর মেকআপ স্মুদ এবং বেশি সময়ের জন্য স্থায়ী হবে| আপনার ফিঙ্গারটিপের সাহায্যে আপনার মুখে খুব ভালো করে প্রাইমার মিশিয়ে নিন| আমার মতে ল্যাকমে বা মেবালীন প্রোডাক্ট এক্ষেত্রে ভালো|
এবার ব্রণ নামক বস্তুটির দিকে একটু বেশি করে নজর দেওয়ার পালা| আপনার গালে যেখানে যেখানে ব্রণ আছে সেখানে কনসিলার প্রয়োগ করুন তবে ক্রিস ক্রস ভাবে প্রয়োগ করুন| শুধু কনসিলার লাগানোই যথেষ্ট নয়, ত্বকের সাথে ভালোভাবে মেশানোর জন্য আঙ্গুলের ডগার নরম অংশ দিয়ে সময় নিয়ে ব্রণ গুলির ওপর চেপে চেপে কনসিলার মেশানোর চেষ্টা করুন| কোনো ভাবেই ঘষবেন না এতে হিতে বিপরীত হবে| আপনার যদি চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল থাকে তাহলে কনসিলার প্রয়োগ করে ডার্ক সার্কেল গুলো কভারআপ করুন|
কনসিলার লাগিয়ে ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করে একটি পরিষ্কার টিস্যু পেপার মুখে হালকা করে চেপে চেপে প্রয়োগ করুন| এতে আপনার মুখে যে এক্সেস মেকআপ থাকবে তা সহজেই উঠে আসবে| এতে আপনার ত্বক অনেক বেশি নরমাল দেখাবে|
আপনার বেস মেকআপ রেডি, এবার ফাউন্ডেশন লাগানোর সময়| ফাউন্ডেশন আঙ্গুলের সাহায্যে সার্কুলার মোশনে আপনার মুখে লাগিয়ে ভালো করে ত্বকের সাথে মিশিয়ে দিন | যে অংশে ব্রণ আছে সেই অংশ গুলি একটু সাবধানে চেপে চেপে ভালো করে মিশিয়ে নিন| কোনভাবেই মুখে ফাউন্ডেশন ঘষবেন না| আপনার মুখে ফাউন্ডেশন ভালো ভাবে মিশে যেতে দিন। এর জন্য ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করুন নেক্সট স্টেপের জন্য|
এতক্ষণে কিন্তু আপনার ব্রণ গুলি একেবারেই ঢেকে যাবে| ফাউন্ডেশন প্রয়োগের ২-৩ মিনিট পর আপনার মুখের মেকআপ সেট হয়ে যাবে| কিন্তু আপনি ঘেমে গেলে তা যাতে নষ্ট না হয় তাই মুখের মেকআপ দিনভর ধরে রাখার জন্য ফেস পাউডার লাগাতে হবে| একটি নরম ফ্লাফি ব্রাশ দিয়ে ভালো করে ফেস পাউডার হালকা ভাবে সার্কুলার মোশনে মুখের সাথে মিলিয়ে দিন| আপনি চাইলে ফিনিশিং স্প্রেও প্রয়োগ করতে পারেন। এতে আপনার মেকআপ খুব ভালো ভাবে আপনার মুখে স্থায়ী হবে|
মুখের মেকআপ হয়ে যাওয়ার পর আপনার পছন্দ মত বা আপনার ড্রেসের সাথে ম্যাচ করে নিজের চোখ ও ঠোঁট দুটি সাজিয়ে নিন| কারণ এই দুটি ছাড়া কিন্তু পুরো মেকআপ অসম্পূর্ণ থেকে যায়|
এবার ভালো করে নিজেকে আয়নায় দেখলে কিন্তু আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন নিজেকে দেখে কারণ আপনার মুখে এখন আর কোনো ব্রণ বা দাগ ছোপ কিছুই নেই| ব্রণ ও সাজগোজের লড়াইয়ে কিন্তু মেকআপ নামক হাতিয়ার আপনার জয়ী হওয়ার কারণ| এবার শুধু পালা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর|
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…