পূজোর সময় মুখে এক গাল ব্রণ একদমই ভালো লাগে না। আগের পর্বে ব্রণ থেকে মুক্তি পাবার কিছু ঘরোয়া টিপস দেখেছিলাম। এই পর্বে দেখে নেব কিছু উপকারি প্যাক। যা বাড়িতে খুব সহজেই তৈরি করা যাবে এবং কাজও হবে দারুন।
৮ থেকে ৯টা নিম ও তুলসী পাতার পেস্ট করে নাও। এরপর এতে যোগ কর একচামচ চন্দন পাউডার। ও এক চিমটে হলুদ গুড়ো। সবকটা উপাদান ভালো করে মিশিয়ে প্যাক বানাও। এটি লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও নিমের পেস্টের সঙ্গে লাল চন্দন মিশিয়ে পেস্ট বানান। ২০ মিনিট মত রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই দুটি প্যাকই দারুন কাজ করবে ব্রণর সমস্যায়।
মধু এবং দারুচিনি দুটোই খুব ভালো ব্রণর সমস্যায়। দারুচিনিতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ব্রণর জন্য দায়ী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে নির্মূল করে। একটু দারুচিনি গুড়োর সঙ্গে একচামচ মধু ভালো করে মেশান। এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
আমরা জানি রসুন বিভিন শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কারণ এর আছে অ্যান্টিবায়টিক গুণ। এটি একই সঙ্গে ব্রণর মত সমস্যা দূর করতেও কার্যকরী। তাই কয়েক টুকরো রসুন নিয়ে ভালো করে পেস্ট বানান। তাতে যোগ করুন একচামচ মধু। এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট মত। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
আমরা ব্রণর জন্য যেসব ক্রিম বা জেল ব্যবহার করি তাতে কিন্তু লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়। কারণ ব্রণর সমস্যায় এটি দারুন কাজ দেয়। এটি ব্রণর দাগ তুলতেও সাহায্য করে। এর জন্য জাস্ট কয়েকটা লবঙ্গের পেস্ট বানিয়ে ব্রণর জায়গায় লাগিয়ে রাখুন। খুব ভালো ফল পাবার জন্য সারারাত লাগিয়ে রাখতেও পারেন।
এটিও ব্রণর সমস্যায় খুবই উপকারি একটি প্যাক। একচামচ চন্দন পাউদার ও জাস্ট এক চিমটে হলুদ গুড়ো মিশিয়ে প্যাক বানান। বা কাঁচা হলুদও ব্যবহার করতে পারেন। ভালো করে পেস্ট বানিয়ে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটা খুব ভালো কাজ করে। ভালো ফল পাবার জন্য সপ্তাহে দুবার করুন।
৬ থেকে ৭টা পুদিনা পাতা ও দু থেকে তিনটি লবঙ্গ পেস্ট তৈরি করুন। তারপর তাতে দিন একচামচ মুলতানি মাটি। ভালো করে পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। পুদিনা ও লবঙ্গ ইনফেকশন কমায়। মুখের ব্রণর দাগ দূর করে। এবং মুলতানি মাটি অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। যেটার কারণে ব্রণ হয়।
৭ থেকে ৮টি পুদিনা ও তুলসী পাতার পেস্ট করে নিন। এরপর এতে যোগ করুন একচামচ বেসন। এই পেস্টে জলের বদলে গোলাপ জলও ব্যবহার করতে পারেন। ভালো করে পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এটি সপ্তাহে একবার করলেই কাজ হবে। কিন্তু দুবারও করা যেতে পারে। এটি দেবে একটি ব্রণ মুক্ত ত্বক। ও ব্রণর দাগও দূর করবে।
এই সব কটা প্যাকই কিন্তু খুব উপকার ব্রণর সমস্যায়। তাই আর মন খারাপ না করে শুরু করে দিন ব্রণ সরাও অভিযান। তাহলে পূজোর সময় আর মন খারাপ করতে হবে না। কারণ পূজোতো চলেই এল।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…