পূজোর আর বেশি দিন বাকি নেই। হেয়ার স্টাইল থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। কিন্তু পূজোর সময় যদি মুখের ব্রণ গুলো থেকেই যায় তাহলে কি আর ভালো লাগবে?
পুরো সাজটাই মাটি। অনেক চেষ্টা করছো যাতে পূজোর সময় মুখটা সুন্দর পরিষ্কার থাকে। কিন্তু তেমন কাজ হচ্ছে না। তাই মন খারাপ তাই তো? এবার মন খারাপের দিন শেষ। কারণ আজ শেয়ার করব এমন কিছু ঘরোয়া টিপস যা খুব সহজেই বাড়িতে করা যাবে। সমস্যাও দূর হবে।
বরফ সবার বাড়িতেই থাকে। তাই বরফ দিয়েই ব্রণর চিকিৎসা শুরু কর। আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নাও। তারপর কয়েক টুকরো বরফ একটা কাপড়ে বেঁধে নাও। সেটা ব্রণর ওপর চেপে ধরে থাকো কিছুক্ষণ। কিন্তু মনে রাখবে সরাসরি বরফ লাগাবে না। একবার লাগিয়ে তারপর আবার কিছুক্ষণ পর লাগাবে। এটা কিছু দিন কর। দেখবে ব্রণ কমে আসছে। এটা খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে।
ডিম খাবার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকে লাগিয়েও নাও একটু। তবে ডিমের সাদা অংশটাই লাগাবে। এক থেকে দুটো ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে নাও এবার এটা ব্রণর জায়গায় লাগিয়ে রাখ কিছুক্ষণ। আবার কিছুক্ষণ পর আবার লাগাও। এভাবে চার থেকে পাঁচ বার লাগাও। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখো। তারপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নাও। এবং মুখে ময়েশচারাইজার লাগিয়ে নাও।
আমরা অনেকেই জানি নিম কিন্তু এই সমস্যার ক্ষেত্রে খুব উপকারি একটি উপাদান। এর জন্য নিম তেল বা নিমের পাউডারও লাগাতে পারো। নিমের পাউডারের পেস্ট বানিয়ে লাগাতে পারো। বা নিমের তেল তুলোর বলে করে নিয়ে ওই জায়গায় দাও। সারারাত রাখো। পরের দিন ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলো। তবে এটা করার আগে হালকা একটু গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নাও।
ব্রণ দূর করার আরেকটি উপকারি উপাদান হল পেঁপে। পেঁপে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এর জন্য প্রথমে গরম জলে মুখ পরিষ্কার করে নাও। তারপর পেঁপের পেস্ট বানাও। এটা মুখে লাগিয়ে রাখো কিছুক্ষণ। হালকা শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলো গরম জলে।
মধু অ্যান্টিবায়টিক হিসাবে কাজ করে। তার ফলে ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তুলোর বল একটু মধুতে ভিজিয়ে ব্রণর ওপর লাগাও। ১৫ হেকে ২০ মিনিট রাখো। এবার গরম জল দিয়ে ধুয়ে নাও।
শসায় আছে পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি, ই এবং এটি ত্বককে ঠাণ্ডা করে। তার ফলে ব্রণ কমে। একটা শসা কেটে জলে ভিজিয়ে রাখো একঘণ্টা বা শসা দিয়ে জলে ফোটাতেও পারো। সেই জলটা খাও। বা এই জল দিয়ে মুখ ধুলেও উপকার হবে। এছাড়াও কয়েক টুকরো শসা নিয়ে পেস্ট বানাও। এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখো ১৫ মিনিট মত। তারপর গরম জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নাও।
এগুলো ব্যবহার করার সাথে আরও কিছু টিপস কিন্তু প্রতিদিন মাথায় রাখতে হবে। নাহলে ব্রণ বার বার ফিরে আসবে।
• প্রতিদিন বেশি করে জল খাও
• বেশি করে শাকসবজি খাও। খাবার পর যেকোনো একটা ফল খাও। ত্বক ভালো রাখবে। আর ভাজা খাবার, ফাস্টফুড যতটা সম্ভব বর্জন কর।
• রাস্তা থেকে আসা মাত্রই মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে ফেসওয়াশ দিয়ে। তবে সাবান ব্যবহার করা যাবে না। মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে।
• হাত দিয়ে একদমই ব্রণ খোঁটা উচিত নয়। এতে আরও সমস্যা বেড়ে যায়।
• বেশি ব্রণ থাকলে মেকআপ যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করাই ভালো এইসময়। কমে গেলে মেকআপ অনায়াসে করা যেতে পারে। আর বাইরে থেকে এসে অবশ্যই ভালো করে মেকআপ তুলতে হবে। মেকআপ তোলার জন্য যদি ক্লিনজার ব্যবহার কর, তাহলে তারপর অবশ্যই কোন টোনার ব্যবহার করতে হবে।
এই কয়েকটা টিপস মাথায় রাখবে। এবং এগুলো বাড়িতে ট্রাই কর কাজ হবে। এর পরের পর্বে দেখবো কিছু উপকারী ফেসপ্যাক।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…