এমনিতেই চুল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ আমাদের মেয়েদের মধ্যে একটা কমন ব্যাপার।পোশাক যাই পরি না কেন,চুলের স্টাইলটা ঠিকঠাক না হলে যেন মন ভরে না।তার ওপর যারা সামনেই বিয়ের পিড়িতে বসতে চলেছেন তাদের ব্যাপারই আলাদা।বিয়ের কনে বলে কথা।ওই দিনটায় সাজ হতে হবে সবার থেকে পারফেক্ট।পুরো মাথার চুল থেকে পায়ের নখ অবধি।আর চুল নিয়ে যারা একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে চান,অর্থাৎ অন্যান্য কনেদের মত নয়,একদম অন্যরকম কিছু স্টাইল ওইদিন করতে চান,তাদের জন্য আজ দিলাম কিছু অসাধারণ হেয়ার স্টাইলের সন্ধান।দেখে নিন।
এরম একটা সুন্দর ফুলের মত খোঁপা করতে চাইলে,প্রথমে চুলের বিনুনি করে নিন।চারটি বিনুনি হবে,ঠিক যেমন ছবিতে দেওয়া আছে।তারপর প্রথমে পেছনের দুটো বিনুনির মধ্যে ডানদিকের বিনুনিটা গোল করে গুটিয়ে ক্লিপ দিয়ে লাগিয়ে নিন।এরপর বাঁদিকের বিনুনিটা ওই খোঁপার নীচ দিয়ে ওই খোঁপাটার সঙ্গে জড়ান।এরপর পাশের দুটো বিনুনির পেলাম।প্রথমে ডানদিকের বিনুনিটা ওপর দিয়ে পেচিয়ে লাগান।তারপর বাঁদিকের বিনুনিটা লাগান।তারপর ক্লিপ লাগিয়ে দিন ভালো করে।আর বিনুনিগুলো করার সময় একটু আলগা মত করে দেবেন।বিনুনিগুলো ফোলা থাকলে ভালো লাগবে।
বিয়ের দিন সকালে চুলটা খোলা রাখলে কিন্তু মন্দ লাগবে না।জাস্ট চুলটা একটু কার্ল করে নিতে হবে।ব্যাস,তাতেই লাগবে গরজিয়াস।হালকা একটা খোলা চুলের স্টাইল,কিন্তু বেশ গরজিয়াস।
এটা দেখতে কঠিন লাগলেও করা কিন্তু খুব সহজ।প্রথমে পেছনের চুলকে লো পনিটেইল করে নিন।দুপাশে চুল ছেড়ে করবেন।পেছনে যে চুলটা ছেড়ে রেখেছেন,সেটা সক বান করে নিন।সক বান করার পদ্ধতি আমাদের অন্য আরেকটি লেখায় পেয়ে যাবেন।এরপর দুপাশের চুলে বিনুনি করুন।প্রথমে ডানদিকের বিনুনিটা খোঁপার সাথে জড়ান।তারপর বামদিকের বিনুনিটা জড়ান।এরপর নীচের বেঁচে যাওয়া চুল খোঁপার নীচের দিকে ক্লিপ দিয়ে লাগিয়ে নিন।ছবি দেখে করুন।
বিয়ের দিন সারাদিন বেশ হেভি সাজগোজের পর,বিয়ের পরের দিনটা কিন্তু অত সাজতে ভালো লাগে না।মন চায় একটু হালকা অথচ গরজিয়াস সাজ।বিয়ের কনে তাই গরজিয়াস তো তাকে লাগতেই হবে।তাই হালকা সাজের ক্ষেত্রে এরম একটা খোঁপা কিন্তু বেশ ভালো লাগবে।সিম্পল অথচ বেশ স্টাইলিশ লুক।এরজন্য প্রথমে চুল পনিটেইল করে নিন।পনিটেইল করার আগে চুলকে দুটো ভাগে ভাগ করে নিন।সেই দুটো ভাগ ভালো করে পেচিয়ে নিন।বেশ শক্ত করে পেচিয়ে,তারপর নীচে রবার ব্যান্ড লাগিয়ে পনিটেইল করুন।এবার পনিটেইলটাকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে,ওই পেচানো অংশের ভেতরে ঢোকান।এরপর বেঁচে যাওয়া অংশের চুল আবার একইভাবে ঢোকান।এইভাবে পুরো চুলটাই উল্টোদিকে মুড়ে ঢোকাতে থাকুন।আর যে জায়গায় ঢুকিয়েছেন সেখানে ক্লিপ লাগিয়ে দিন যাতে খুলে না যায়।
বিয়ের পরের দিনও থাকে কনেকে নিয়ে নানারকম অনুষ্ঠান।সেখানে হালকা অথচ গরজিয়াস সাজে,এরম একটা খোঁপা কিন্তু বেশ লাগবে।করাও খুব একটা শক্ত নয়।এর জন্য প্রথমে সামনের দিকের কিছু চুল নিয়ে পনিটেইল করুন।মাথার সামনের চুলটা হালকা পাফ করে ফুলিয়ে নিতে পারেন।ভালো লাগবে।এবার মাথার দুপাশ থেকে চুল নিয়ে আরেকটা পনিটেইল এমনভাবে করুন,যাতে আগের পনিটেইলটা চাপা পড়ে।ওই পনিটেইলটা উল্টোদিক দিকে ঘুরিয়ে,আবার ঝুলিয়ে দিন।আবার পাশের চুল নিয়ে আরেকটা পনিটেইল করুন।ওটাও উল্টোদিকে ঘোরান।তারপর আরেকটা পনিটেইল একইভাবে করুন।এবার বেঁচে যাওয়া চুলে সিম্পল বিনুনি করুন।বিনুনিটা নীচের দিকে গুটিয়ে চুলের ভেতর দিকে লাগিয়ে দিন,যাতে চুলের শেষ অংশ দেখা না যায়।
খোঁপার বিভিন্ন অপশন তো দিলাম।এবার একটা খোলা চুলের স্টাইল বলি।কারণ অনেকেই সবসময় চুল বেঁধে রাখতে পছন্দ করেন না।তাদের জন্যই থাকল এই স্টাইল।প্রথমে সামনের দিকে পনিটেইল করে নিন।সামনেটা একটু হালকা ফুলিয়ে পনিটেইল করতে পারেন,ভালো লাগবে।এবার দুপাশ থেকে চুল নিন।প্রথমে ডানদিকের চুল ভালো করে পেচিয়ে,বাঁদিকে লাগান।এটা কিন্তু বিনুনি নয়,জাস্ট হাত দিয়ে পেচাবে।এবার বাঁদিকের চুল পেচিয়ে ডানদিকে লাগান।লাগানো হয়ে গেলে,বাইরের পেচানো অংশগুলো একটু আলগা মত করে দিন।ফুলিয়ে দিলে ভালো লাগবে।
রিসেপশনে পরছেন লেহেঙ্গা?তাহলে এরম একটা ওপেন হেয়ার স্টাইল কিন্তু বেশ ভালো লাগবে।হোক না বিয়ের কনে।বিয়ের দিন তো খোঁপা করেইছেন,রিসেপশনে সেই একঘেয়ে খোঁপা না করে চুলটা খুলে রাখুন।আর একটু কার্ল করে নিন।তারপর প্রথমে সামনের দিকটা সিঁথি করে নিন।তারপর পেছনের কিছুটা চুল নিয়ে ফুলিয়ে ক্লিপ দিয়ে লাগিয়ে দিন।বাকি চুলটা ছেড়ে রাখুন।ব্যাস,একদম অন্য রকম লাগবে।
শাড়ি বা লেহেঙ্গার সঙ্গে বেশ ভালোই লাগবে এই হেয়ার স্টাইলটি।তিনটি বিনুনি করুন ছবি দেখে।পেছনের বিনুনিটা একটু মোটা করে করুন।এবার ওটা পেচিয়ে খোঁপা করে নিন।তারপর ডানদিকের বিনুনিটা জড়িয়ে লাগান।তারপর বাঁদিকেরটা জড়িয়ে লাগান।এবার খোঁপাটা হয়ে গেলে,খোঁপার চারিপাশটা ফুল দিয়ে জড়িয়ে দিন।বেশ ভালো লাগবে।
এই তো হয়ে গেল বিয়ের দিনের পারফেক্ট হেয়ার স্টাইল।তাহলে এই মরশুমে বিয়েতে আমাদের স্পেশাল এই স্টাইল ফলো করে শ্বশুরবাড়ির প্রশংসা আর বরের আদর দুটোই ফিক্সড ডিপোসিটের আওতায় নিয়ে চলেই আসুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…