স্কিন টোন হালকা করার জন্য সাধারণত মুখে ব্লিচ করা হয়ে থাকে। আমদের মুখে যে লোম থাকে তার রং হালকা হয়ে যায় ব্লিচ করার ফলে। ফলে আমাদের স্কিন কালার উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তবে অনেক সময় এই ব্লিচ করার জন্য যে উপাদানগুলি পার্লারে ব্যবহার করা হয় তার ফলে স্কিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাহলে উপায়? আপনার স্কিনকে এতটুকুও কষ্ট না দিয়ে কতগুলি সহজ উপায়ে বাড়িতেই কিন্তু সেরে ফেলতে পারেন ফেসিয়াল ব্লিচ। আর এর প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি আপনার ফ্রিজ বা রান্না ঘরেই পেয়ে যাবেন। সময় নষ্ট না করে দেখে নিন ঠিক কিভাবে ৮-১০ দিনের মধ্যেই আপনার ফেসিয়াল কমপ্লেকশন উজ্জ্বল করে তুলবেন।
মধু আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এর নিয়মিত ব্যবহারে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার মুখের লোমগুলির রং হালকা হয়ে যায় ফলে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
সবগুলি উপকরণ একসাথে ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট মত তৈরী করে মুখে মাখুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিমেষে পেয়ে যান ফ্রেস এবং উজ্জ্বল ত্বক। এই প্যাক আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এক সপ্তাহ জাস্ট ট্রাই করে দেখুন।
প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে লেবুর তুলনা নেই। এতে বর্তমান ভিটামিন সি নতুন কোষ গজাতে সাহায্য করে এবং স্কিন কমপ্লেকশন কে হালকা করে খুব তাড়াতাড়ি। তবে আপনার মুখে যদি কোনো এলার্জি বা ক্ষত থাকে তাহলে এই ব্লিচ প্যাক প্রয়োগ না করাই ভালো।
লেবুর রস ও হলুদ পাউডার মিশিয়ে ভালো করে মুখে মাখুন। ৩০ মিনিট পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দীর্ঘ মেয়াদী ফলের জন্য কিন্তু নিয়মিত প্রয়োগ জরুরী।
ওটমিল পুরনো, ডাল বা মৃত কোষ পরিষ্কার করে নতুন কোষ গজাতে সাহায্য করে আর এই নতুন কোষ আমাদের স্কিন কম্পপ্লেকশনকে হালকা করতে সাহায্য করে।
তাই ঘরোয়া ব্লিচ হিসেবে এই উপাদানটি ট্রাই করলে ভালো ফল পেয়ে যাবেন খুব তাড়াতাড়ি।
দুটি পদ্ধতিতে আপনি ব্লিচ করতে পারেন
টমেটো জুস ও ওটমিল একসাথে মিশিয়ে মুখে মাখুন। ২০ মিনিট পর হালকা হাতে মুখ ঘষে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এতে আপনার মৃত কোষগুলি পরিষ্কার হয়। এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার স্কিন কমপ্লেকশন হালকা হয়ে যাবে।
ওটমিল ও পাউডার, হলুদের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট মত বানিয়ে নিন। এবার মুখে মেখে পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করুন এবং ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ব্লিচপ্যাক টিও আপনাকে প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে ভালো ফলের জন্য।
ইনস্ট্যান্ট ব্লিচ হিসেবে শসা কিন্তু অত্যন্ত কার্যকরী। কোথাও বেরোনোর আগে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে এই ব্লিচপ্যাক বেশ ভালো ফল দেবে।
আর আগের পদ্ধতিগুলো ফলো করে যদি উপকার না পান, তাহলে শসা আপনার বেস্ট অপশন হতেই পারে!
শসার জুস ও লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মুখে মাখুন। ৫ মিনিট ধরে হালকা হাতে ভালো করে ঘষে নিন। পরে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন।
আমরা যে সব সবজি খাই তার অনেকগুলিই প্রাকৃতিক ও ইনস্ট্যান্ট ব্লিচ প্যাক হিসেবে আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
প্রতিটি উপাদান সঠিক পরিমাণে মিশিয়ে মুখে মাখিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এবার হালকা হাতে মুখ ঘষে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
আপনার স্কিন টোন হালকা করার জন্য অপর একটি উপকারী উপাদানটি হলো বেসন। এতে বর্তমান উপাদানগুলি খুব সহজেই এবং খুব তাড়াতাড়ি আমাদের কমপ্লেকশনকে উজ্জ্বল করে তোলে।
২ চামচ বেসন ও পরিমাণ মত গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট মত বানিয়ে নিন। প্যাকটি মুখে মেখে পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ দিন যথেষ্ট উজ্জল ত্বক পাওয়ার জন্য।
বাড়িতে সহজেই এবং কোনো রকম ত্বকের ক্ষতি না করে আপনার হাতের কাছের জিনিস গুলো দিয়েই যখন উপকার পেতে পারেন তখন পকেটমানি পার্লারে না দিয়ে অন্য কাজে লাগিয়ে ফেলুন।
নিজের পছন্দ মত এবং কার্যকরী ব্লিচ প্যাক বেছে নিন। নিয়মিত ও সঠিক প্রয়োগ আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য্য দুইই বাড়িয়ে তুলবে কথা দিচ্ছি।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…