গ্রীষ্মকালে আমের মত আরেকটি জনপ্রিয় ফল হল কালোজাম। কালচে বেগুনি রঙের এই ফলটি খেতেও যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিগুণে ভরা। ছোটদেরও এই ফল বেশ পছন্দের। যেকোনো বেরি জাতীয় ফলই খুব উপকারী। আর তার মধ্যে একটি হল কালো জাম বা ব্ল্যাকবেরি। এটি ত্বক ও চুলের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারি।
কালো জামে প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন উপকারি উপাদান যেমন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, এছাড়াও ভিটামিন এ, সি, বি-৬, ও আরও আনেক উপকারী উপাদান থাকে। যা শরীরকে ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন দরকার। শুধু ফলই নয়, এর পাতা ও বীজ বিভিন্ন চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হয়। কালো জাম বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। এটি খাওয়াও সহজ খোসা ছাড়াবার দরকার পড়ে না।
কালো জাম অনেকদিন ধরেই ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটা হয়তো আমরা জানিনা। কালো জামের মধ্যে আছে এমন কিছু উপাদান যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। বিশেষ করে এর বীজ রক্তের সুগার লেবেল কমাতে একটি প্রমাণিত সমাধান। কালো জামকে ডায়াবেটিস বিরোধী বলা হয়।
কালো জাম হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। অন্যান্য যেকোনো ফল বা সব্জি যেগুলি সাধারণত আমরা রোজ খেয়ে থাকি সেগুলির থেকে কালো জামে সবথেকে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আর আমাদের রোজকার জীবনে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই প্রয়োজনীয়। কারন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে ফিট রাখে। এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
কালো জাম হজম করতে সাহায্য করে। হজমের কারণে হওয়া অ্যালসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও দাঁত ভালো রাখে। স্পাইরিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বককেও ভালো রাখতে এটি উপকারী। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এটি ব্যবহার করা হয়।
আমাদের অনিয়মিত লাইফস্টাইলের ফলে আজ ক্যান্সারের ঝুঁকি ভীষণভাবে বেড়ে গাছে। আর কালো জাম ক্যান্সার প্রতিরোধে ভীষণভাবে সাহায্য করে। এতে থাকা প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে কান্সারে আক্রান্ত হবার হাত থেকে রক্ষা করে। কালো জাম শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে পরতে দেয় না। এছাড়া এটি প্রস্টেট ক্যান্সার সারিয়ে তুলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
কালো জাম শরীরকে ভালো রাখার সাথে সাথে মনকে ভালো রাখতেও সাহায্য করে। এতে থাকা গ্লুকোজ কাজ করার শক্তি বাড়ায়। ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। তার ফলে মস্তিষ্ক দ্রুত চলতে থাকে। স্ট্রেসকে কমাতে সাহায্য করে।
কালো জাম হার্টকে ভালো রাখতেও সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি, বি-৬, ফাইবার, রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমান কমায়। তার ফলে হার্ট সুস্থ থাকে ও হার্টের অসুখে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা থাকে না। এছাড়াও এটি শরীরে দুষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমান কমায়। এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে জাম গুরুত্বপূর্ণ। জাম রক্ত পরিষ্কার রাখে। তার ফলে ত্বক ভালো থাকে। এবং ত্বকের নানান সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এবং ওজন কমাতেও কিন্তু কালোজাম সাহায্য করে।
এগুলি ছাড়াও কালো জাম সর্দি কাশি কমাতে সাহায্য করে। যদি খুব সর্দিকাশিতে ভোগেন তাহলে রোজ কালোজাম খান। এতে থাকা ভিটামিন এ, সি, বি-৬ শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়।
জামের বীজ বহুমুত্র রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। নিয়মিত খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেটে পারেন সহজে।
তাহলে জানলেন তো কালো জামের উপকারিতা। তাই এবার গরমকালে আম খাবার সাথে সাথে কালোজাম কেও রোজ যোগ করে নিন খাবার তালিকায়।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…