সামনেই একটা জমকালো বিয়েবাড়ি।আর আপনি ঠিক করলেন সুন্দর করে শাড়ি পরবেন।শাড়ি পরে তাক লাগিয়ে দেবেন সকলকে।কিন্তু সেই একঘেয়ে স্টাইলে শাড়ি পরলে কি সবাইকে তাক লাগাতে পারবেন?সেই তো একঘেয়ে হয়ে গেল ব্যাপারটা তাই না?শাড়ি যদি পরতেই হয়,তবে পরতে হবে একদম অন্যরকম স্টাইলে।তবেই না সবার চোখে পড়বে।তাই তো আজ শেয়ার করছি শাড়ি পরার একদম ইউনিক কিছু স্টাইল।চটপট চোখ বুলিয়ে নিন।
শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে আগে এরম একটা হাতকাটা জ্যাকেট ব্লাউজ বানিয়ে রাখুন।কোন রঙ বুঝতে না পারলে,এরম ব্ল্যাক কালার ব্লাউজও বানিয়ে রাখতে পারেন।এই রঙটা সব শাড়ির সাথেই ভালো লাগে।এবার যেমন ভাবে শাড়ি পরেন ওই ভাবেই পরে নিন।প্রথমে কুঁচি করে নিন।তারপর আঁচল করুন।আঁচলের কুঁচি সরু করেও করতে পারেন,আবার কুঁচি একটু বড়ো করেও করতে পারেন,ছবির মতো।দুটোই ভালো লাগবে।আঁচলটা খালি একটু নিচের দিকে ঝুলিয়ে পরবেন।লম্বা করে বেশ খানিকটা ঝুলিয়ে দিন আঁচলটা।ব্যাস শুধু এই আঁচলের স্টাইলটার জন্যই অসাধারণ লাগবে দেখতে।
এই শাড়ির লুকটা দেখতে যতটা স্টাইলিশ,পরা কিন্তু ততটাই সহজ।যেকোনো ব্লাউজের সাথে এই স্টাইলের শাড়ি ভালো লাগবে।এর জন্য প্রথমে কুঁচি করে নিন।তারপর আঁচল।এই স্টাইলেও আঁচলটা একটু বড়ো হবে।তাই আঁচলটা একটু বেশী করে রাখবেন।এবার আঁচলটা সামনে দিকে না এনে,ঘুরিয়ে পেছন দিকে থেকে বাঁ হাতের ওপর রাখুন।অর্থাৎ আঁচল পেছন দিক দিয়ে ঘুরিয়ে বাঁ কাঁধের সামনে আনুন।বাঁ কাঁধের সামনে দিয়ে ঝুলিয়ে দিন।বাঁ হাতের ওপর আঁচল ঝুলিয়ে দিন।অনেকটা লম্বা করে ঝোলাবেন একদম পা পর্যন্ত।তবেই ভালো লাগবে।ব্যাস কুঁচি করার দরকার নেই।আঁচলটা গোটা হাতে ছড়িয়ে দিন।অর্থাৎ বাঁ হাতের পুরো কব্জি পর্যন্ত আঁচলটা থাকবে।আঁচলে সুন্দর কাজ থাকলে ভালো লাগবে।ব্যাস দুর্দান্ত স্টাইলে আপনি রেডি।
অসাধারণ,অনবদ্য-বিয়েবাড়িতে এই কথাগুলো থাকবে শুধু আপনার জন্য।শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে একটা বেল্ট কিনে রাখুন।এটা কিন্তু প্যান্টের সাথে পরার বেল্ট নয়।তাই বেল্ট অবশ্যই একটু চকচকে হবে বা চকচকে কোনো কাপড় দিয়ে বেল্ট বানিয়েও নিতে পারেন।ব্যাস শাড়ি পরে বেল্টটা কোমরে লাগিয়ে নিন।ব্যাস আর কিছু লাগবে না।শাড়ি যেমনই হোক,বেল্টের এই স্টাইলটাই সবার নজর কাড়বে।সাধারণত শিফন,জর্জেট বা ওই ধরণের শাড়ির সাথে এই স্টাইলটা ভালো লাগবে।
একদম অন্য রকম একটা স্টাইল।যদি একদম অন্য রকম স্টাইলের সন্ধানে থাকেন,তাহলে এটা আপনার জন্য বেস্ট স্টাইল।এর জন্য প্রথমে কুঁচি করে নিন।তারপর হবে আঁচল।আঁচল যেভাবে করেন ওই ভাবেই করে নিন।খুব বেশী সরু করে কুঁচি করার দরকার নেই।কুঁচি করে সামনের দিকে এনে,বাঁ কাঁধের ওপর দেওয়ার দরকার নেই।ডান কাঁধের ওপরই পিনআপ করুন।ডান কাঁধের ওপর পিনআপ করে,পেছন দিকে ঝুলিয়ে দিন।ব্যাস একদম অন্যরকম অনবদ্য লুকে আপনি রেডি।
কি দুর্দান্ত স্টাইল না?স্টাইলটা দেখে যতটা কঠিন লাগছে,আসলে কিন্তু পরাটা অতটা কঠিন নয়।প্রথমে শাড়ির কুঁচি করে নিন।তারপর আঁচলটা যেমন বাঁদিকে হয় ওরমই হবে।খালি আঁচলের জন্য বেশী করে কাপড় রাখবেন।তাই এই স্টাইলটার জন্য শাড়ি একটু বড়ো হলে ভালো।আঁচলটা পুরো পা পর্যন্ত হবে।আঁচল কুঁচি করে নিন।কুঁচি থেকে জাস্ট একটা কুঁচি বাদ দিন।বাদ দিয়ে এটা সামনে দিকে টেনে দিন।মানে ডান কাঁধের দিকে।বাকি কুঁচিগুলো পিনআপ করুন।
আপনি কি খুব স্টাইলিশ লুকে থাকতে পছন্দ করেন?বা সবসময় লেটেস্ট স্টাইল ফলো করেন?তাহলে এটা আপনার জন্য পারফেক্ট।অসম্ভব স্টাইলিশ একটা লুক।কিছুই না।জাস্ট শাড়ি যেভাবে পরেন ওই ভাবেই পরে নিন।আঁচল যেভাবে করে ওই ভাবেই করে নিন।তারপর আঁচলের বেঁচে যাওয়া অংশ পেছনের দিকে ঝুলিয়ে না রেখে,গলায় মুড়ে নিন।এর খুব ভারী গয়না কিন্তু লাগবে না।কারণ শাড়ি পরার স্টাইলটাই পুরো লুকটাকে ধরে রেখেছে।আর গলায় হার তো লাগবেই না।জাস্ট একটা জমকালো কানের হলেই চলবে।
বিয়েবাড়িতে পছন্দ একটু ট্র্যাডিশনাল লুক?তাহলে ঠাকুরবাড়ি স্টাইলে পরে নিন শাড়ি।প্রথমে শাড়ির কুঁচি করে নিন।এবার শাড়ির আঁচল পেছন দিক দিয়ে ঘোরাবেন না।সামনেই রাখুন।সামনে রেখে প্রথমে,ডানদিকের কোমরে আঁচলের একটু অংশ গুঁজুন।তারপর আঁচল নিয়ে যান বাঁদিকে।বাঁদিকের কাঁধে আঁচল পিনআপ করুন।কুঁচি করবেন না।যদি ছোট কালো বেল্ট বা কাপড়ের টুকরো থাকে তা দিয়ে আঁচল র্যাপ করে নিন।ওটাই হয়ে গেল পিনআপ।ছবিতে দেখুন।ব্যাস ওটাই বাঁ কাঁধের ওপর রাখুন।
শাড়ি কি দুদিকে জমকালো পাড় দেওয়া?তাহলে পরে নিন এরম স্টাইলে।খুব ভালো লাগবে।প্রথমে কুঁচি করে নিন।তারপর আঁচল যেভাবে বাঁদিকে করে,ওইভাবেই করে নিন।এবার আঁচলের বেঁচে যাওয়া অংশ সামনে আনুন।এনে ডানদিক থেকে বাঁদিকে নিয়ে যান।বাদিকের কোমরে গুঁজে দিন ঠিক ছবিতে যেভাবে করা আছে।ছবি দেখে করুন।ব্যাস বিয়েবাড়িতে স্টাইল ডিভা কথাটা আপনার জন্যই থাকবে।
প্রতিটা স্টাইলই কিন্তু দুর্দান্ত লুক দেবে।এবার পছন্দ করে নিন কোন স্টাইলটা পরবেন বিয়েবাড়িতে।যেকোনো একটা পরে নিন।কনের পর সবার নজর কিন্তু আপনার দিকেই থাকবে!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…