আশা করি এতদিনে বিটকয়েন (Bitcoin) কথাটা আপনারা শুনে ফেলেছেন। নতুন বিষয় শুনছেন বলে আগ্রহও খানিক হয়েছে। আমাদের পৃথিবী খুব দ্রুত উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তির দিক থেকে। আর এই এগিয়ে যাওয়া পৃথিবীর সঙ্গে তাল রাখতে হবে আপনাকেও। নিশ্চয়ই তাই বিটকয়েন সম্বন্ধে আপনাদের জানার ইচ্ছে তৈরি হয়েছে। তাই আপনার আগ্রহ মেটানোর জন্যই আজ আমরা বিটকয়েন সম্বন্ধে আপনাদের জানাতে এলাম। শুধু বিটকয়েন সম্বন্ধেই নয়, আমরা জানাবো কিভাবে এতে আপনি ইনভেস্ট করতে পারেন। তাই আজকের আর্টিকেল পড়া কিন্তু অত্যন্ত জরুরী।
বিটকয়েন হল এক ধরণের সাংকেতিক মুদ্রা যা ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটকলের মাধ্যমে কাজ করে। এবার আপনারা জিজ্ঞাসা করবেন এই ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটকল(cryptography protocols) বিষয়টা কী! সেটা হল একটা সংরক্ষিত যোগাযোগ মাধ্যম যা ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে চলে। এতে যে কোনো তথ্য খুব সুরক্ষিত থাকে। তাই বিটকয়েনকে ক্রিপ্টোকারেন্সি (cryptocurrency) বলা হয়। যেহেতু ব্যাপারটা ডিজিটালই চলে, তাই এখানে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাঙ্ক লাগে না।
তার জন্য কিন্তু পুরো বিষয়টা জাল বলে ভাববেন না। এটা আরও উন্নত ভাবে কাজ করে। কাজ করে সার্ভারের মাধ্যমে পিয়ার টু পিয়ার মাধ্যমে। সার্ভারটার নাম হল বিটকয়েন মাইনার সার্ভার। কোনো সংস্থা না থাকায় কেন্দ্রে কোনো ভাবেই এর গতিবিধি অর্থাৎ কিভাবে টাকা লেনদেন হচ্ছে তা জানা যায় না। সম্প্রতি কানাডার ভ্যানকুভারে বিটকয়েন এর প্রথম এ.টি.এম মেশিন চালু করা হয়েছে। এক কথায় বিটকয়েন হল একটি বিশ্বব্যাপী লেনদেন মাধ্যম। সংখ্যায় বললে এক বিটকয়েন হল মোটামুটি ৬৪৭.৭ ডলার। আর ইন্ডিয়ান রুপিতে হল ১০৪৮২৮৬.৮৬ রুপি।
পুরো ব্যাপারটাই চলে অনলাইনে। কোনো সংস্থা থাকে না মাঝে। পিয়ার টু পিয়ার মানে গ্রাহকদের কম্পিউটারের মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্কই এটাকে চালায়। বিটকয়েন মাইনারের মাধ্যমে যে কোনো গ্রাহক বিটকয়েন তৈরি করতে পারেন। বিটকয়েন তৈরি হলেই তা গ্রাহকের ডিজিটাল ওয়ালেটে চলে যায়। সেই বিটকয়েন দিয়ে পণ্য কিনলে সেই সমপরিমাণ বিটকয়েন কমিয়ে নেওয়া হয়। ব্যাপারটা আসলে খুবই সরল আর আমাদের জানা সিস্টেমের মতোই। শুধু আমাদের জানতে হবে অনলাইনে এটা চালানোর পদ্ধতিটা। বিটকয়েন ব্যবহারকারীকে দুটি ‘কি’ ব্যবহার করতে হয়। একটি ‘পাবলিক কি’, যা সবার জন্যই ব্যবহারের উপযোগী। আর অন্যটি হল ‘প্রাইভেট কি’ যা গোপন থাকে। আর ট্রানজেকশনের সব খতিয়ান যেখানে রেকর্ড করা হয় সেটাকে বলে ‘ ব্লক চেইন’।
১. প্রথমে অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড হবে
ভারতে বিটকয়েন ব্যবহার করার জন্য Zebpay অ্যাপ নামাতে হবে। নামিয়ে প্রথমে ‘set up account PIN’ অপশনে যেতে হবে। তারপর ‘verification’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর সব শর্ত পড়ে ‘continue verification’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এবার ই.মেইল আই.ডি দিতে হবে আর তখন ভেরিফিকেশন মেইল যাবে। সেটা পড়ে ‘next’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
এবার প্যান কার্ড ডিটেইল দিতে হবে আর আবার ‘next’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর সমস্ত ব্যাঙ্ক ডিটেইল দিতে হবে আর আবার ‘next’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এবার আধার কার্ড ডিটেইল দিতে হবে। স্ক্যান করে সামনের আর পিছনের অংশ দিতে হবে। তারপর ‘submit’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। সব তথ্য দিয়ে ভেরিফাই হলে দেখবেন ‘pending’ দেখাচ্ছে। চিন্তা করবেন না। তিন দিন সময় লাগে। তারপর দেখবেন ‘Approved’ দেখাচ্ছে।
২. পেমেন্ট করতে হবে
এবার অ্যাকাউন্ট তৈরির পর পেমেন্ট করা পালা। বিটকয়েন কেনার জন্য আপনি প্রথমে Zebpay র অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করুন। সকল নিয়ম মেনে দেখে দেখে করবেন। করা হলে দু’ঘন্টার মধ্যে আপনি একটা ক্রেডিট কার্ড পাবেন।
৩. এবার বিটকয়েন কেনার পালা
বিটকয়েন কিনতে প্রথমে ‘buy’ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার টাকাটা রুপিতে (Rs.) লিখুন আর আবারও ‘buy’ অপশনে ক্লিক করুন। ৪ ডিজিটের পিন দিন। এবার ‘transactions’ অপশনে গিয়ে ‘rupee’ সিম্বল দিয়ে ক্লিক করুন। তাহলেই আপনি ডিটেইল দেখতে পাবেন। আর সঙ্গে সঙ্গেই আপনি বিটকয়েনের মালিক হয়ে গেলেন।
তাহলে দেখলেন তো কিভাবে করতে পারেন বিটকয়েন ব্যবহার। একটু কি কঠিন লাগছে? লাগবে না আর। আমরা তো রইলামই। সমস্যা হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কিন্তু এই নতুন ব্যবস্থা আপনাকে ট্রাই করে দেখতেই হবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…