আমরা সবাই ফিল্মস্টারদের নিয়ে খুবই মাতামাতি করি। সিনেমার নায়িকাদের ‘ডিভা’ বলতে আমরা তো অজ্ঞান। তাদের গ্ল্যামার, চাকচিক্য দেখে আমরা তো তাদের থেকে চোখই সরাতে পারি না। মিস. ওয়ার্ল্ড, মিস. ইউনিভার্স কনটেস্টের দিকেও তো আমাদের আগ্রহের সীমা নেই। কিন্তু একটা দিক নিয়ে আমাদের আগ্রহ সবসময়ই কূটকচালি কেন্দ্রিক হয়ে থাকে। সেখানেও যে কোনো সুন্দরী ডিভা থাকতে পারেন সেটা আমরা ভেবেই দেখি না।
আসলে রাজনীতির অঙ্গনে সুপরামর্শ, রাজনৈতিক কূটচাল, কঠিন সিদ্ধান্ত এইসবের সঙ্গে কোথাও গিয়ে আমরা ‘সৌন্দর্য’কে আলাদা করে দেখেই অভ্যস্থ। ভাবি সেই ক্ষেত্রের নারীরা এই নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, নিজেদের যত্ন করতে পারেন না বা তেমন ফ্যাশন নিয়ে মাথা ঘামান না। কিন্তু আজ আমি আপনাদের এমন দশ জন সুন্দরী রাজনীতিবিদের সঙ্গে পরিচয় করাবো যাদের দেখলে আপনি আচ্ছা আচ্ছা হিরোইনদেরও ভুলে যাবেন।
এনাকে দেখলে তো আপনারা পাগল হয়েই যাবেন। ইনি ইটালীর মন্ত্রী, ইক্যুয়াল অপারচুনিটির। প্রথম জীবনে ইনি মডেল আর শো-গার্ল ছিলেন। ইনি নিজেকে অ্যান্টি-ফেমিনিস্ট বলতেই বেশী পছন্দ করেন। ৪২ বছরের এই সুন্দরীকে ‘Mara la Bella’ বলা হয় যার মানে হল সুন্দরী মারা বা মারিয়া। এনার রূপে সবাই তো মুগ্ধই, জানেন কি, ইটালীর প্রধানমন্ত্রী নাকি একসময় বলেছিলেন উনি বিবাহিত না হলে মারিয়াকে বিয়ে করতে পারতেন। ওনাকেই বিশ্বের সেরা সুন্দরী রাজনীতিবিদ ধরা হয়।
ইনি রাশিয়ার রাজনীতিবিদ। জিমন্যাস্টিকে ইনি অনবদ্য অবদান রেখেছেন। ইনি অলিম্পিকে মেডেল পেয়েছেন। ২০০৭ সালে রাশিয়ার পার্লামেন্টের সদস্য হন। একটা গুজব উঠেছিল যে তাঁকে বিয়ে করার জন্য নাকি রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দুজনেই নিজেদের স্ত্রীকে ছেড়ে আসতে চান। যদিও সেটা গুজব। ৩৪ বছরের আলিনাকে নিয়ে কিন্তু ভাবুন কি ক্রেজ। যাই হোক তিনি রাজনীতির অঙ্গনে যথেষ্ট সফল।
৩৫ বছরের এই সুন্দরী এস্টোনিয়ার রাজনীতিবিদ। সাধারণ মানুষের ভোটে তিনি ওখানকার অন্যতম শক্তিশালী নারী হিসাবে স্বীকৃতি পান। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের আর সেই টাকা বিউটি প্রোডাক্ট কিনতে খরচ করেন বলে অভিযুক্ত হন। এর প্রতিবাদে তিনি একটি ম্যাগাজিনের জন্য প্রায় নগ্ন হয়ে পোজ দিয়ে ছবি তোলেন।
ইনি সার্বিয়ার বিদেশ দপ্তরের পরামর্শ দাতা। ২৭ বছরের এই সার্বিয়ান রাজনীতিবিদ সবসময়ই নিজের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য খবরের সিদ্ধান্তে থাকেন।
জর্ডনের কুইন রানিয়া বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী মহিলাদের মধ্যে পরিগণিত হন। শিক্ষা আর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি তাঁর মতামত যথাযথভাবে রাখেন। ৪৭ বছর বয়সী এই সুন্দরী নিজ মতামত প্রচারের জন্য নিজস্ব ইউ.টিউব চ্যানেলও চালু করেন।
ইনি জার্মানীর সবচেয়ে তরুণ রাজনীতিবিদ। দেখতে অসাধারণ সুন্দরী। ৩১ বছর বয়সেই উনি নিজের বুদ্ধি ও শক্তির পরিচয় রেখেছেন।
ইনি পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ। ইনি একজন অর্থনীতিবিদ আর ২৬ তম পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই উনি ওনার বুদ্ধিমত্তা আর সৌন্দর্য দিয়ে নজির স্থাপন করেছেন। উনি প্রথম মহিলা মন্ত্রী যিনি ২০০৯ সালে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বাজেট পেশ করেন।
ইনি গ্রীসের রাজনীতিবিদ। গ্রীসের সৌন্দর্য নিয়ে আর নতুন করে কি বলার আছে! গ্রীসে তো সুন্দরের পূজা হয়। ইভা কাইলি হেলেনিক পার্লামেন্টের তরুণ সদস্য। মাত্র ৩৯ বছর বয়সেই তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স আর ফরেইন অ্যাফেয়ার কমিটিরও সদস্য।
ইনি ভারতীয় মানে পাঞ্জাবী জন্মসূত্রে, কিন্তু কানাডায় এখন থাকেন। কানাডিয়ান হাউস অফ কমন্সের সদস্য। উনি একজন বায়োকেমিস্টও বটে। সৌন্দর্য আর জ্ঞানের মিশ্রণই ওনার রূপের রহস্য। অল্প বয়সেই তিনি পাঞ্জাবে দাঙ্গা হওয়ার সময় ইন্দিরা গান্ধীকে চিঠি লেখেন দাঙ্গার বিরুদ্ধে। ৪৩ বছর বয়সেও তিনি সমান সুন্দরী।
পেরুর এই ৩৯ বছরের সুন্দরী রাজনীতিবিদ ট্রান্সপোর্ট বিভাগের মন্ত্রী হিসাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। পেরুর আইন সংক্রান্ত নানা সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাঁর গুরুত্ব ছিল। উনি নিজে একজন আইনের ছাত্রী।
তাহলে দেখুন, একমাত্র অভিনয়ের মঞ্চে নয়, রাজনীতির ক্ষেত্রেও সুন্দরী রমণীরা আছেন স্বমহিমায়। তাহলে এবার থেকে আর রাজনীতিকে শুধু বোরিং বলার কোনো মানে হয় না। জটিলতার মাঝেও এই সুন্দরীরা তাঁদের ক্যারিশ্মা দেখিয়েই যান।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…