আচ্ছা, গণেশের দুধ খাওয়ার ঘটনা তো আপনারা সবাই শুনেছেন। তার বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যাও নাকি সবাই পেয়ে গেছে। কিন্তু, আপনি কী শুনেছেন নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর হাতে ক্ষত হয়ে গিয়ে তা আবার শুকিয়ে যাচ্ছে , বা মেরীর মূর্তির চোখ থেকে জল পড়ছে? শোনেন নি তো? জানতাম। সবচেয়ে আশ্চর্যের কী জানেন! আজ অব্দি এই ঘটনাগুলোর কোনো বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়নি। তাহলে শুনতে চান নাকি এইসব আশ্চর্য ও অলৌকিক ঘটনা! চলুন তাহলে শুনে নি।
যীশুর ক্রুশবিদ্ধ হবার সময়ে তার শরীরে যেরকম আঘাত ছিল সেরকম আঘাতের চিহ্নকে বলা হয় স্টিগমাটা। Padre Pio of Pietrelcina হলেন সেই ব্যক্তি যার শরীরে এমন চিহ্ন দেখা যায়।
খ্রিস্টান ধর্মের ইতিহাসে প্রথম এরকম বিষয় রেকর্ড করা হয় যার তিনি সন্ত Francis of Assisi। Padre’র দু’হাতের মাঝে এই ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। শুধু তাই নয়, এই চিহ্ন দেখা যায়, তার থেকে রক্ত পড়ে, দাগ শুকিয়ে যায়। আবার ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। সবচেয়ে অবাক কান্ড চিকিৎসকেরা এর কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাননি। এই ক্ষত থেকে কোন ইনফেকশনও হয় না। ২০০২ সালে ১৬ জুন পোপ দ্বিতীয় জন পল তাকে সন্ত আখ্যা দেন।
সালটা ১৯৭৩। জাপানের একিটাতে এক চার্চে একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটে। সিস্টার Agnes Sasagawa সেখানে মাতা মেরীর সাক্ষাৎ দর্শন পান। মাতা মেরীর মূর্তি আছে সেখানে। সেই মূর্তির চোখ থেকে জল পড়তে থাকে ও Sasagawa সেটা দেখেন। Sasagawa বধির ছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার পর তিনি আবার শুনতে পান প্রায় ১০ বছর পর। ১৯৮১ সালে কোরিয়ার এক মহিলা Theresa Chun Son Ho, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্রেন টিউমারে ভুগছিলেন, তার বাড়ির লোকরা যখন এখানে এসে প্রার্থনা করেন তার পর সেই মহিলা সুস্থ হয়ে যান। তিনি এর পর নাকি মাতা মেরীর দর্শনও পান।
পোর্তুগালের প্রায় এক লক্ষের বেশি মানুষ ১৯১৭ সালে সূর্যের এক অদ্ভূত বিষয় দেখার জন্য এক জায়গায় হন। আসলে তিনটে কৃষক ছেলে তাদের বলে যে ওই বছর ১৩ অক্টোবর কিছু একটা হতে পারে যেটা নাকি তারা মাতা মেরীর থেকে জানতে পেরেছে। মাতা মেরী তাদের দর্শন দিয়েছেন। তারা এক জায়গায় একত্রিত হয়ে দেখেন যে সূর্য পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বলে মনে হচ্ছে ও সূর্যের আকার অনেকটা সেলাই মেসিনের চাকার মতো লাগছে। শুধু তাই নয়, ক্ষণে ক্ষণে তার রঙ বদলে যাচ্ছে। এই ঘটনা মানুষদের খুব ভীত করেছিল। পৃথিবী ধ্বংস হতে চলেছে কিনা সেই বিষয়ে তাদের মধ্যে সংশয় দেখা দেয়। তবে যাই হোক ১৯৩০ সালে ১৩ অক্টোবর দিনটিকে রোমান ক্যাথোলিক চার্চ অলৌকিক দিন হিসাবে মেনে নেন।
১৯৯৬ সালে ফ্লোরিডাতে এক ঘটনা হয়। সেখানে ফিনান্স বিল্ডিঙের কাঁচের প্যানেলে মেরীর ছায়া পড়তে দেখা যায় যে ছায়া ধীরে ধীরে হাল্কা ও তার পর দ্বিগুন জোড়ালোভাবে বড় হতে থাকে। এই ঘটনা কয়েক মাস ধরে হতে থাকে। এরপর এই বিল্ডিং কিনে নেয় Shepherds of Christ Ministries। তারা এর বাইরে একটি মূর্তিও নির্মান করেন মাতা মেরীর। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত, কেউ মেরীর মূর্তি দিয়ে সেই প্যানেলে আঘাত করে।
১৯৬৮ সালের ২এপ্রিল কায়রোতে এক ঘটনা ঘটে। সেদিন ওখানকার মানুষজন বলতে থাকেন যে তারা নাকি Coptic Orthodox church’র ছাদে এক নারীর ছায়ামূর্তি দেখতে পান। সবাই বলতে থাকেন সেটা নাকি মাতা মেরীর। একটা হাল্কা আলো ছিল নাকি সেই ছায়ার চারদিকে ও ছায়াটা খুব দ্রুত চলে যাচ্ছিল। যারা সেই ছায়া দেখেছেন তাদের বক্তব্য তাদের অনেক রোগ নাকি সেরে যায়। এমনকি সেই বছর অনেক অবিশ্বাসী মানুষও খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন। এই দৃশ্য কোনোভাবে ক্যামেরায় ধরা পরে। পরে গবেষণা করে দেখা গেছে এর মধ্যে মেকী কিছু বা প্রযুক্তিগত কোন কারুকার্য নেই। তাই চার্চ কতৃপক্ষ এই ঘটনাকে অলৌকিক আখ্যা দেন।
কী! গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে গেছে তো! তাহলে কী ভাবছেন! একবার দেখে আসতে ইচ্ছা হচ্ছে তো? তা পকেটের জোড় থাকলে আপনি যেতেই পারেন। কিন্তু আপাতত একটাই অনুরোধ, যদি আপনাদেরও এইরকম কোনো অলৌকিক অভিজ্ঞতার কথা জানা থাকে তাহলে আমাদের সঙ্গে এক্ষুনি শেয়ার করুন। আর আমাদের এই পেজ লাইক করতে থাকুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…