ভারতে মেয়েদের কাছে সিঁদুরের গুরুত্ব কি তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। আজকের আধুনিক যুগে, যেখানে মেয়েরা সমান ভাবে কর্পোরেট জগতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সেখানেও কিন্তু সিঁদুর তাদের সঙ্গ ছাড়েনি। সিঁদুর কখনও তাঁরা পরছেন প্রচলিত চিন্তায় যে সিঁদুর পরলে স্বামীর মঙ্গল হবে। আবার অনেকে বিশেষ অনুষ্ঠানে বা পুজোয় একটু স্টাইল করার জন্য সিঁদুর পরেন। কিন্তু যাই কারণ হোক না কেন, যে সিঁদুর আপনি পরেন, তা অনেক সময়েই কিন্তু হার্বাল হয় না। আর তার ফলেই হয় সমস্যা। আপনার চুল শুধু নয়, অন্য অনেক সমস্যাও শুরু হয় সিঁদুরের রাসায়নিক প্রভাব থেকে।
আমেরিকায় একটি গবেষণা হয়েছিল। তাতে ১১৮ ধরণের সিঁদুরের স্যাম্পেল ব্যবহার করা হয়। আর সেই সিঁদুর সংগ্রহ করা হয় যেমন আমেরিকার কিছু দোকান থেকে, তেমনই দিল্লি, মুম্বই বা কলকাতা থেকে সংগ্রহ করা সিঁদুরও ছিল।
দেখা গেছে, আমেরিকা থেকে সংগ্রহ করা সিদুরে ৮০% আর ভারত থেকে সংগ্রহ করা সিঁদুরে ৭৮% লেদ রয়েছে। এই লেদের সঙ্গে মিশে আছে অধিক মাত্রায় পারদ। আর এই সব উপকরণ শরীরে গেলে ক্ষতির আশঙ্কা প্রবল।
এর সামান্য পরিমাণ রক্তে মিশলেও নার্ভের কার্যক্ষমতা কমতে শুরু করে। আর চুল পড়া, অ্যালার্জি এই সব তো হয়ই।
দেখা গেছে, যারা নিয়ম করেন সিঁদুর পরেন, তাদের সিঁথির কাছটা আগে ফাঁকা হয়ে যায়।
আর নিয়ম অনুযায়ী যেখানে ২০ মাইক্রোগ্রামের বেশি লেদ সিঁদুরে থাকার কথা নয়, বাস্তবে সেই মাত্রা কিন্তু অনেক বেশি।
দেখুন, আমরা আপনাকে বলতে পারি না যে সিঁদুর পরা বন্ধ করে দিন। সেটা নিজস্ব সচেতনতার ব্যাপার। কিন্তু আমরা বলতে পারি, যদি সিঁদুর পরতেই হয়, তাহলে রাসায়নিক সিঁদুর নয়, হার্বাল সিঁদুর পরুন। কোথা থেকে পাবেন? আসুন আজ আপনাদের সেই সন্ধানই দিই।
আপনার চুলের যত্নের দায়িত্ব অনেক দিন আগেই কেয়া শেঠের হাতে দিয়ে দিয়েছেন জানি। এবার তাহলে অন্য প্রোডাক্টের সঙ্গে কেয়া শেঠের সিঁদুর ব্যবহার করে দেখুন।
এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি। মূলত এতে আছে ফুলের পাপড়ি আর হার্বাল উপাদান। এতে কোনও রাসায়নিক উপাদান বা পারদ নেই। তাই চুল পড়ে না, অ্যালার্জিও হয় না। আর কেয়া শেঠের প্রোডাক্টে বাড়তি পাওনা সুগন্ধ যা এতেও পাবেন।
এটি আপনি লাল আর মেরুন, এই দুই রঙে পাবেন। শুধু তাই নয়, এটি আপনি লিকুইড আকারেও পাবেন।
সৌন্দর্যের জগতে আরেক বিখ্যাত নাম লোটাস হার্বাল। আপনার ত্বক আর চুলের যত্নে একেও নিশ্চয়ই আপনি সঙ্গী করেছেন। তাহলে এর সিঁদুর নয় কেন? এটিও একেবারে হার্বাল পদ্ধতিতে তৈরি, কোনও রাসায়নিক উপাদান নেই।
আর এটি শুধু লিকুইড ভাবেই পাওয়া যায়। কোনও পারদ বা লেদ নেই এতে। তাই ব্যবহার করে দেখতেই পারেন। আপনার স্কিন টাইপ যাই হোক না কেন, এটি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন।
বিউটি প্রোডাক্টের জগতে এই লেজেন্ডকে কে না জানেন! কত দিন ধরে কত সেলেবকে রূপকথার মতো করে তৈরি করেছেন তিনি। এবার আপনিও আপনার চুলের জন্য ওনার হাত ধরুন না। শুধু একটু সিঁদুর ব্যবহার করে দেখুন।
এতেও শুধু হার্বাল উপাদান রয়েছে। আর প্রাচীন কালে সিঁদুর তৈরির পদ্ধতি এতে ব্যবহার করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কোথা, অনেক বার পরীক্ষা করার পর আপনার কাছে আসছে এই সিঁদুর। তাই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন।
আরেক অনবদ্য ব্র্যান্ড, ল্যাকমে। এর প্রোডাক্ট আপনি ব্যবহার করেছেন জানি। কিন্তু নিশ্চয়ই করেননি? তাহলে আর দেরি করবেন না। এই লিকুইড সিঁদুরে এক ফোঁটাও রাসায়নিক উপাদান নেই। ব্যবহার করতেও খুব সোজা, কপাল গড়িয়ে পড়ার ভয় নেই। অনেক ক্ষণ থাকে আর সহজে ঘামে ঘেঁটেও যায় না। পার্টিতে স্টাইল করে ব্যবহার করতে পারেন।
জোভিসও কিন্তু বেশ ভালো আর নামী ব্র্যান্ড। আপনি যদি এর আগে জোভিসের কোনও প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে থাকেন, তাহলে শুধু সিঁদুর দিয়েই শুরু করুন। কোথা দিচ্ছি, ঠকবেন না। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানেই তৈরি, তাই ক্ষতির চিন্তা নেই। আর এটিও লিকুইড। চুলের সমস্যার সম্ভাবনা দূরে থাকবে এটি ব্যবহার করলে।
এখন থেকে আর তাহলে স্বামীর ভালো চাইতে গিয়ে নিজের ক্ষতি করা নয়। স্বামীর আয়ু আর আপনার চুল, দুটোই অনেক দিন ভালো থাকুক এটাই তো আমরা চাই।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…