যেকোনও উৎসব-অনুষ্ঠান হোক কিংবা ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন হোক লাড্ডু কিন্তু সবেতেই সেরা। নামি-দামি দোকান থেকে কেনা বেসনের লাড্ডুর স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো। কিন্তু আর দোকানের অপেক্ষায় থাকা নয়। বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন সুস্বাদু ঘি আর বেসনের লাড্ডু। তাহলে আর দেরি না করে দেখে নিন রেসিপি।
বেসনের লাড্ডু বানানোর জন্য সবার প্রথমে কড়াই গরম করে তাতে সাত থেকে আট চামচ ঘি গরম করে নিতে হবে। ঘি গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে অল্প অল্প করে বেসন ঢালতে থাকুন আর মিক্স করতে থাকুন। একসঙ্গে সবটা বেসন দিয়ে দেবেন না।
গ্যাসের আঁচ মিডিয়াম ফ্লেমে রেখে বেসনটা লাগাতার নাড়াচাড়া করতে থাকুন। বেসনের লাড্ডু বানানোর জন্য আপনারা ছোলার ডাল রোস্ট করে বাড়িতেই গ্রাইন্ডারে ঘুরিয়ে নিতে পারেন এতে করে লাড্ডুর স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
দোকান থেকে কেনা বেসনের চেয়ে ঘরে তৈরি বেসনের স্বাদে কিন্তু আকাশ-পাতাল তফাত হয়। যার প্রভাব লাড্ডুর স্বাদে পড়ে। এইভাবে টানা ২০ মিনিট পর্যন্ত নাড়তে নাড়তে দেখবেন বেসনের রঙটা একটু বদলে গিয়েছে। এই রান্নায় আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। লাগাতার নাড়িয়ে যেতে হবে কারণ বেসন প্যানে লেগে যেতে পারে। ২০ মিনিট পর তাতে আরও একটু ঘি যোগ করুন।
আপনাদের মনে হতে পারে এত ঘি কেন দেওয়া হচ্ছে। এতে করে আপনার লাড্ডুর স্বাদ একেবারে দোকানের মতো হবে। এরপর আরও ১০ মিনিট মতো নাড়াচাড়া করে নিন। এবার দেখবেন বেসন ঘি ছাড়তে শুরু করেছে, তখন আরও ভালো করে টানা নাড়তে থাকুন।
এবার এই বেসনের মিশ্রণে জলের ছিটে দিন, এতে করে বেসনের লাড্ডু দানাদার তৈরি হবে এবং লাড্ডুর টেক্সচার এবং স্বাদও খুব ভাল আসবে। জল দেওয়ার পর বেসনের টেক্সচার যে বদলে গিয়েছে সেটা আপনারা স্পষ্ট দেখতে পারবেন। এরপর এর মধ্যে কুচনো কাজু এবং আমন্ড দিয়ে দিন। এবার গ্যাসের ফ্লেম বন্ধ করে বেসনের মিশ্রণটাকে একটি বড় পাত্রে ঢেলে নিয়ে ঠান্ডা করে নিন।
মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে এটা আপনা থেকেই শক্ত হয়ে যাবে। এবার এর মধ্যে এলাচের গুঁড়ো এবং চিনির গুঁড়ো দিয়ে দিন। যদি গরম মিশ্রণের মধ্যে চিনির গুঁড়ো দেন তাহলে চিনি গলে যাবে এবং বেসন আরও নরম হয়ে যাবে, তাহলে আর লাড্ডু তৈরি করা যাবে না।
হাতের সাহায্যে বেসনের সঙ্গে চিনির গুঁড়োটা ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে আরও ২ চামচ ঘি দিয়ে সবটা ভালো করে মিক্স করে নিন।
ভালোভাবে মিক্স করা হয়ে গেলে গাতের সাহায্যে গোল গোল করে লাড্ডুর আকার দিয়ে দিন। এর মাথায় একটি পেস্তার কুচি দিয়ে আবারও ভালোভাবে গোল পাকিয়ে নিন। এরপর লাড্ডুগুলিকে ঘরের তামপাত্রাতেই ৪-৫ ঘণ্টা রেখে দিন, তা না হলে এতে ময়েশ্চার চলে আসতে পারে। তাহলে তৈরি হয়ে গেল দোকানের মতো সুস্বাদু বেসনের লাড্ডু।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…