নরম সুন্দর হাত কে না চায়! আর সেই সুন্দর হাতে যদি সুন্দর নখ হয়, তাহলে তো আর কথাই নেই। আর আপনি নিশ্চয়ই জানেন,সুন্দর হাত পাওয়ার জন্য ম্যানিকিওর করা কিন্তু মাস্ট।
তা পার্লারে গিয়ে একগাদা টাকা খরচা করে ম্যানিকিওর কেনই বা করবেন, যখন বাড়িতেই আপনি নিঃখরচায় ম্যানিকিওর করে ফেলতে পারেন! আজ রইলো বাড়িতে সহজে ম্যানিকিওর করার স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি।
ম্যানিকিওর করতে শুরু করার আগে কিন্তু এতে যেসমস্ত জিনিস লাগবে, সেগুলোকে এক জায়গায় আগে এনে রাখুন। সব যেন আপনার হাতের কাছে থাকে। ম্যানিকিওর শুরু করার পর জিনিসপত্তরের খোঁজে ছুটোছুটি করতে হলে সেটা কিন্তু খুবই বাজে। তাই জেনে নিন ম্যানিকিওর করতে আপনার কী কী লাগবে আর সেগুলোকে হাতের কাছে এনে রাখুন।
ম্যানিকিওর শুরু করার এটা কিন্তু প্রথম স্টেপ। রিমুভার দিয়ে পুরনো নেল পালিশকে তুলুন। তারপর নখকে শেপ করুন। যদি আপনার খুব বড় নখ থাকে, তাহলে কিন্তু নখ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনার নখকে খানিকক্ষণ হালকা গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে নখ খানিক নরম হয়, আর ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
আর মেটালের নেল ফাইল দিয়ে কিন্তু নখ শেপ করবেন না। ওতে নখ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ক্রিস্টাল নেল ফাইল ব্যবহার করুন। নখ শেপ করার পর কিন্তু নখকে স্মুদ করতে ভুলবেন না।
আপনার ঘরোয়া ম্যানিকিওরের এটা কিন্তু বেস্ট পার্ট। বালতিতে গরম জল নিন। তবে জল যেন বেশী গরম না হয়। জলের মধ্যে যেকোনো ক্লিঞ্জার দিন। এমনকি ফেস ওয়াশও দিতে পারেন। কারণ সাবান দিলে আপনার হাত কিন্তু বেশী ড্রাই হয়ে যেতে পারে। মিনিট ৩-৫ মতো হাত ওতে ডুবিয়ে বসে থাকুন। বেশীক্ষণ আবার হাত ভেজাবেন না। ওতে কিন্তু আপনার নখের হাল খারাপ হয়ে যেতে পারে।
এরপর হালকা কোনো একটা স্ক্রাব দিয়ে হাতকে এক্সফোলিয়েট করে নিন। আপনার ফেস এক্সফোলিয়েটরও ব্যবহার করতে পারেন এক্ষেত্রে। নখকে পরিষ্কার করার জন্য ব্রাশ ব্যবহার করুন। এতে আপনার হাতের মরা চামড়াও দূর হবে সহজে। এরপর পরিষ্কার জলে হাত ধুয়ে মুছে নিন ভালো করে।
এবার কিউটিকল রিমুভার দিয়ে খানিকক্ষণ রাখুন। পরে কিউটিকল পুশার দিয়ে কিউটিকলকে পুশ করুন। তবে এটা অতিরিক্ত করবেন না। এতে আপনার নখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর তাছাড়া কিউটিকল কিন্তু আপনার নখকে ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে বাঁচায়ও। তাই এর ক্ষতি মানে কিন্তু আপনার নখেরও ক্ষতি।
এবার কোনো একটা ক্রিমি ময়েশ্চারাইজার দিয়ে আপনার হাত ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এটা আপনার হাতকে আর্দ্র রাখবে। আর যদি ময়েশ্চারাইজার না দিতে চান, তাহলে কিন্তু যেকোনো তেল ব্যবহার করতে পারেন।
এরপর এটা আপনার ম্যানিকিওরের শেষ স্টেপ। ইচ্ছে যদি হয়,তাহলে আপনার পছন্দের রঙে নখকে রাঙিয়ে নিন। তবে দেখবেন আপনার নখে যেন কোনো ময়েশ্চারাইজার না থাকে। কারণ ওতে কিন্তু আপনার নেল পালিশ স্টিক করবে না।সহজেই উঠে যাবে। আর আপনার নখ যদি নরম বা দুর্বল হয়, তাহলে প্রথমে একটা বেস কোট লাগিয়ে পরে নেল পালিশ লাগান। আশেপাশে লেগে গেলে তুলো দিয়ে মুছে নখকে শুকিয়ে নিন। ব্যাস!আপনার ম্যানিকিওর কমপ্লিট।
তাহলে এবার আপনার নখকে মাখনের ছোঁয়া দিন বাড়িতে বসেই। আর সপ্তাহে একদিন টাইম করে তো ম্যানিকিওর করে ফেলতেই পারেন। আফটার অল, মাখনের মতো ছোঁয়া দিতে কে না চায়, বলুন?
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…