বাঙালী তো আমরা দুই বাঙলার মানুষই। ভাষা আমাদের একটাই-বাংলা। সংস্কৃতিও সেই বাঙালী সংস্কৃতি। কিন্তু, তবুও কি দুই বাঙালী সব দিক দিয়ে সমান? বোধহয় না। বাংলাদেশের বাঙালী বাঙালী হিসাবে অনেক গর্বিত। আমরা কী সেই একই গর্ব আমাদের মধ্যে অনুভব করি? উত্তরটা না বলেই মনে হয়।
বাংলাদেশ এমন এক দেশ যে দেশটা জন্মই নিয়েছে বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছে যে ভাষার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতায় যাওয়া যায়। ১৯৫২ সাল না আসলে ১৯৭১ সালটাও আসত না। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদের মৃত্যু, এতো অত্যাচার এই সবের মাধ্যমে, রক্তের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে পায় বাংলাদেশ। বাংলা ভাষা তাদের কাছে শুধুমাত্র একটা ভাষা নয়, তা তাদের জীবন যাপনের অঙ্গ, অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালী এই ভাষাকে কোন লড়াইয়ের মাধ্যমে পায়নি। রক্তের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বটে এই ভাষা, কিন্তু, রক্ত দিয়ে পাওয়া হয় নি। তাই এই ভাষার গুরুত্ব আমরা বুঝি না। আমরা কোন ১৯৫২ সালের শরিক নই।
বাঙালীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব নববর্ষ। এই দিনটা আমরা কীভাবে পালন করি? ব্যাবসায়ীরা হালখাতা করেন, মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। আমরা নতুন জামা পড়ে সন্ধ্যেবেলা দোকানে দোকানে গিয়ে মিষ্টির প্যাকেট নেই। এই তো আমাদের পালন। সর্বত্র তেমন কোন উন্মাদনা কিন্তু থাকে না যে উন্মাদনা থাকে ১লা জানুয়ারিকে নিয়ে। আর বাংলাদেশে কীভাবে পালিত হয় এই ১লা বৈশাখ। রমনার বটমূলে হয় অনুষ্ঠান। সানাই বাজতে থাকে। রবীন্দ্রনাথ, অতুলপ্রসাদ প্রমুখের গান হয়। শোভাযাত্রা হয়। আগের দিন রাত থেকেই রাস্তায় আলপনা দেওয়া হয়। প্রত্যেকের একে অন্যকে শুভ নববর্ষ বলার পর শুরু হয় পান্তা ভাত খাওয়া। এটা ওখানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এইভাবে পালিত হয় বাংলাদেশের ১লা বৈশাখ।
বাংলাদেশের দোকানের নাম পর্যন্ত হয় বাংলায়। বাংলাদেশই বাংলায় টাইপ করার জন্য আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে অভ্র সফটওয়্যার। আগে তারাই তৈরি করেছিল বিজয়, বাংলায় টাইপের জন্য।
বাংলাকে যে এভাবে আনা যায় সামনে সেটা তো আমরা ভাবিনি। আমরা ইংরেজিতে টাইপ করাটাকেই যথেষ্ট মনে করেছিলাম।
আসলে বাংলাদেশ একটা রাষ্ট্র যার প্রধান ভাষা বাংলা। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মধ্যে একটা রাজ্য। এই ভারত বহু ভাষিক দেশ। সেইজন্য আমাদের মধ্যে শুধু বাঙলাকে নিয়ে থাকার ইচ্ছেটাই চলে গেছে। আমরা দেখি আমাদের এখানকার বেশিরভাগ বাবা মায়েরা ছেলে মেয়েদের ইংরেজি মাধ্যমে পড়াতে চান।
কারন তাদের ছেলেমেয়েদের সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে লড়াই করতে হবে। এই বহু ভাষার সঙ্গে লড়াইটা বাংলাদেশে করতে হয় না। আমরা যখনই বাংলা মাধ্যমে পড়ে দেখি ইংরেজি মাধ্যমে পড়া ছেলেমেয়েরা বেশি তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠা পেল তখনি আমাদের মধ্যে আসে হীনমন্যতা, যেটা বাংলাদেশের বাঙালীর আসাটা কম সম্ভব। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে বাংলা নিয়ে পড়তেই চান না প্রায় কেউ। তাই উচ্চতর গবেষণা হবে কোথা থেকে? কিন্তু, বাংলাদেশে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে কাজ অসামান্য দক্ষতার সঙ্গে করা হয়।
আসলে বাংলাদেশের বাঙালী বাঙালী হয়েই থাকতে চায় কারণ এই বাঙালীত্ব তাকে অর্জন করতে হয়েছে লড়াইয়ের মাধ্যমে। আর আমরা হতে চাই সর্বভারতীয়। সমস্যাটা এখানেই। আমরা যদি বাঙালী হয়েই সর্বভারতীয় হয়ে উঠতে পারি তবেই হয়তো খানিক ওই বাংলার সামনে দাঁড়াতে পারবো।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…