আপনারা সবাই জি.ও.টি দেখেছেন নিশ্চয়ই। জি.ও.টি মানে গেম অফ থ্রোন্স! সিংহাসন নিয়ে লড়াই, প্রেম, রাজনীতি সব মিলিয়ে এই কল্পনার জগত কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং, কি বলেন! আর তার মাঝে এক একটা ক্যারেক্টারের ওপর হাল্কা থেকে প্রবল চাপ খাওয়া, সে তো আছেই। তা একদিন দেখতে দেখতে হঠাৎ একটা অদ্ভূত খেয়াল মাথায় এল। আপনাদের অনেকের মতো আমারও একটু-আধটু সিরিয়াল দেখার নেশা আছে। তা ভাবলাম যদি এই জি.ও.টি’র ক্যারেক্টারগুলোতে আমাদের বাংলা সিরিয়ালের কলাকুশলীদের একটু ইমেজিন করা যায়। ভাবতে যে খুব একটা মন্দ লাগলো তা নয় কিন্তু। তাই ভাবলাম আমার এই পাগলামো আপনাদের সঙ্গেও যদি শেয়ার করা যায়।
গেম অফ থ্রোন্সের এই ক্যারেক্টারটা আমার কাছে সবচেয়ে আকর্ষনীয়। দক্ষ রাজা শুধু নয়, যে পার্সোনালিটি ক্যারি করেন উনি সেইটা আমাদের মুগ্ধ করে দেয়। তা এই জায়গায় বাংলা সিরিয়ালের কাকে বসাই ভাবতে গিয়ে বেশ হাতড়াতে হয়েছে। প্রধান সমস্যা হল বয়স। ওই বয়সের এমন পার্সোনালিটি পাচ্ছিলামই না। তা শেষ অব্দি মনে হল কৌশিক চক্রবর্তীকে রাখা যাক। চিনতে পারলেন না? ‘বেহুলা’ সিরিয়ালে চাঁদ সদাগর হয়েছিলেন যিনি। আমার কিন্তু ওনার অভিনয় বেশ লেগেছিল। চাঁদের যে আভিজাত্য ও পার্সোনালিটি ছিল, সেটা বেশ ভালভাবেই উনি সামলাতে পেরেছিলেন বলে আমার মনে হয়। তাই নেডস্টার্কের জায়গায় ওনাকেই ভাবা যাক।
নেডস্টার্কের স্ত্রী কেটলিন যাকে অনেকবারই লেডিস্টার্ক নামেও ডাকা হয়েছে সিরিজে। রাণী হিসাবে যেমন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হওয়া উচিৎ ঠিক সেইরকমই। আবার সন্তানদের প্রতি যত্নশীল মাও বটে। এই চরিত্রে কে হতে পারেন সেটা আমায় বেশি ভাবতে হয়নি। রাণীর চরিত্রে আমার সবসময় প্রিয় অদিতি চ্যাটার্জী। ‘কিরণমালা’ সিরিয়ালে কিরণমালার মা রাণী রূপমতী হয়েছিলেন উনি। বুদ্ধিদীপ্ত সৌন্দর্য আর ব্যক্তিত্বে রাণী তথা লেডিস্টার্ক হবার যোগ্য তিনি। তবে ঘোড়ায় চড়তে পারবেন কিনা জানি না অবশ্য।
নেডস্টার্কের বাস্টার্ড মানে অবৈধ সন্তান। আসলে অবশ্য সে যে তা নয় সেটা যারা জি.ও.টি দেখেন তারা জানেন। তা এই চরিত্রের বা এখানে যিনি এই ক্যারেক্টারটায় অভিনয় করছেন তার ওপর অনেক মেয়েই চাপ খায়, এক্কেবারে গুণমুগ্ধ। বাংলা সিরিয়ালে এইরকম একজনকে খুঁজতে খুব একটা সমস্যা হয়নি। আমার এক্ষেত্রে এক নম্বর পছন্দ অর্জুন চক্রবর্তী। কি! একটু ভুরু কুঁচকালেন কী? না না সেইরকম ব্যাপার নয় কিন্তু। আসলে জন স্নো’র বয়সটাই আমায় একটু সমস্যায় ফেলেছিল আর কী! ওই বয়সের কাছাকাছি বয়সটা আর ওই পার্সোনালিটির কাছাকাছি অর্জুনই হতে পারে, অন্য সিরিয়ালের ‘নায়ক’রা নয়। চুলটা বড় রেখে আর আরেকটু জিম করে ‘মাচো’ লুকটা আনলে কিন্তু আপনারা, মানে যারা অর্জুনের ফ্যান, তারা কিন্তু পাগল হয়ে যাবেন।
এই ক্যারেক্টারটা আমার বেশ লাগে, নেডস্টার্কের মেয়ে। মেয়েরা তো নাইট হতে পারে না। কিন্তু, আরিয়ার ইচ্ছে ও নাইট হবে। তাই জন্য ও সবসময় সেইভাবেই কাজ করে। তীর চালানো, তলোয়ার চালানো এইগুলোই ওর প্রিয় কাজ। জন স্নো তো একটা ছোট তলোয়ারও উপহার দিয়েছিল ওকে। বেশ স্মার্ট লুকের মেয়ে, চটপটে। তা এক্ষেত্রে আমার কিন্তু আর্শিয়া মুখার্জীকেই বেশ লাগবে বলে মনে হয়। আর্শিয়া চিনলেন না? ওইযে ‘ভুতু’ সিরিয়ালে ‘ভুতু’ হয়েছিল যে। এখন কিন্তু সে আর ওই বাচ্ছাটি নেই। একটু বড় হয়েছে। ভুতু সিরিয়ালে ওর পাকা পাকা কথা আর আচরণ তো মুগ্ধ করত।
নেডস্টার্কের মেয়ে ও আরিয়ার বড়দিদি। এই মেয়েটা আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতোই। সেলাই করে, ঘরের কাজ করে আর ওর স্বপ্ন রানী হয়ে কোনো রাজার পাশে বসার। মানে একদমই ভালো ধরণের মেয়েরা হয় না, ওইরকম আর কি! একদমই আরিয়ার উল্টো। বাংলা সিরিয়ালে ভালোমানুষ ধরণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কারা সেটা ভাবছিলাম। সঙ্গে বয়সটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে মধুরিমা পাল কেই বেছে নিলাম। চিনতে পারলেন না?
একটা অন্যতম চরিত্র গেম অফ থ্রোন্স সিরিজের। এই চরিত্রটার ব্যাপক পরিবর্তন সিজন সেভেন’এ দেখে তো আমরা পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমে যে মেয়েটা কথাই বলতো না প্রায়, শান্ত ছিল, সে কীভাবে ওমন ‘অ্যাটিটিউট’ ওয়ালা আর নিজেই একটা ‘অথোরিটি’ হয়ে উঠতে পারে। তা এই চরিত্রে আমি অদ্রিজা রায়’কে রাখতে চাই। আপনারা ভাববেন ডেনেরিসের বয়স তো কম। সেখানে কী অদ্রিজা’কে মানাবে?
এই সিরিজে যদি কাউকে ঘেন্না করতে হয়, অপছন্দ করতে হয়, এই চরিত্রটাকে করা উচিৎ। এতটা নেগেটিভ একটা মেয়ে আর এত ক্ষমতালোভী ভাবাই যায় না। নেডস্টার্কের বন্ধু রবার্ট বেরিথনের স্ত্রী। বাংলা সিরিয়ালের ‘খলনায়িকা’ যারা হন, তাদের মধ্যে ওই বয়সের কাছাকাছি ভাবছিলাম কে হবে। ভাবতে ভাবতে চান্দ্রেয়ী ঘোষের কথা মনে এল। ‘কিরণমালা’ সিরিয়ালের রাণী কটকটির থেকেও ‘বেহুলা’ সিরিয়ালে মনসার চরিত্রে ওনাকে বেশ লেগেছিল। আর বয়সের দিক থেকেও মানিয়ে যাবে। তাই এই চরিত্রে আমার মতে উনি পারফেক্ট।
সার্সেই’এর ভাই আবার লাভারও বটে। এই ক্যারেক্টারের জন্য একটু ডিপ্লোম্যাটিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন এইরকম কাউকে চাইছিলাম। আর ব্যস চোখের সামনে ভেসে উঠলো সর্বকালের সেরা ডিপ্লোম্যাটিক পার্সনের ছবি, মানে ঋষি কৌশিক।
এই হল মূল অ্যাসেসমেন্ট। আমি জানি আপনারা আমার থেকেও ঢের ভালো কাস্টিং করতে পারবেন। তাই এই লেখাটা পড়ে জলদি জলদি আমাদের জানান আপনাদের কোনো বিশেষ পছন্দ আছে কিনা! বা আমাদের এই বিশেষ কাস্টিং’এর সাথে আপনাদের মিল হল কিনা। আমরা কিন্তু অপেক্ষায় রইলাম। আর ভবিষ্যতে যদি এইধরণের কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়, কে বলতে পারে আপনার পছন্দের মানুষটিই হয়তো সেই চরিত্রে স্থান পেল।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…