গয়নার প্রতি মেয়েদের দুর্বলতা নিয়ে নতুন কিছু আর বলার নেই বিশেষ করে। আর তা যদি বিয়ের গয়না হয়, তাহলে তো তার পরিকল্পনা সেই ছোট্টবেলার থেকেই মনের কোণে ঘর করা শুরু করে!
কানপাশা, মান্তাসা, চুড়ি, বালা, কন্ঠহার আরও কত রকম গয়নার যে বাঙালী কনে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পছন্দ করে, তা গুনে শেষ করা যাবে না। তাই সামনেই যে সব বঙ্গকন্যারা বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন তাঁদের স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করার জন্য বিয়ের গয়না ও তার বিবরণ থাকছে আজকের পাতায়। পছন্দ হলে বানিয়ে বা কিনে ফেলতে পারেন কিন্তু।
সোনার মুকুট বা রূপোর জল করা সোনার মুকুট কিন্তু বাঙালী বধূদের প্রিয় একটি অলংকার| ট্র্যাডিশনাল বঙ্গবধূর সাজ মুকুট ছাড়া কিন্তু অসম্পূর্ণ|
বিয়ের কনের হেয়ার স্টাইলের ক্ষেত্রে সবথেকে কমন এবং সুন্দর স্টাইলটি হলো খোঁপা। আর এই খোঁপাকে আরো আকর্ষনীয় করে খোঁপার জালি বা খোঁপার কাটা। তাই আপনিও যদি খোঁপাকে সুন্দর ভাবে সাজাতে চান তাহলে এই রকম খোঁপার জালি কিন্তু বানিয়ে ফেলতেই পারেন।
আপনার বিয়ের সাজে আপনার হাতের পাতা দুটি ফাঁকা থাকবে কেন বলুন তো? বিশেষ করে হাতের পাতা সাজাতে বাঙালীর গয়নার সম্ভারে হাতপদ্ম যখন আছে!
আজকাল কোমরবন্ধনী অলংকারটি কিন্তু বাঙালী বধূরাও বিয়ের একটি গয়না রূপে বেশ পছন্দ করছেন। প্রাচীন কালে কিন্তু এই অলংকার খুব বেশী জনপ্রিয় ছিল। আজকাল কিন্তু দারুণ সব ডিজাইনের কোমরবন্ধনী আপনি পেয়ে যাবেন গয়নার দোকানে।
বাঙালী বধূর সাজে হাতে চুড়ি ছাড়া কিন্তু হাত দুটি একেবারেই মানায় না। তাই বালা, চূড়, মান্তাসার সাথে সাথে কয়েক গাছা সোনার চুড়ি বেশ মানাবে ট্র্যাডিশনাল বঙ্গবধূর সাজে।
এই গহনাটি আজকাল সাংঘাতিক ভাবে প্রচলিত হয়ে পড়েছে। এই নথও কিন্তু আগেকার দিনে শুধু বিয়েতেই নয়, বাঙালী বধূরা নিয়মিত বাড়িতেও পরতেন| এই গহনাটি কিন্তু আপনার সৌন্দর্য্যকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে।প্রাচীনকালে নথের মাপ অনুযায়ী বঙ্গবধূর স্ট্যাটাস মাপা হত! মানে বনেদী এবং সম্ভ্রান্ত বংশের বধুরা বেশ বড় নথ পরিধান করতেন।
শুধু চুড়ি দিয়ে তো আর হাত দুটি ভর্তি করা যায় না। তার জন্য বাঙালীর সম্ভারে যে আরেকটি গয়না আছে, যা প্রায় সব বাঙালী বধূদের সাজের একটি পছন্দের গয়না তা হলো চূড়।
সোনার চুড়ি ও চূড়ের মতোই হাতের অপর একটি গয়না যা অনেকেই পছন্দ করে থাকেন তা হল কঙ্কণ।
বাঙালীর গয়নার ভান্ডারে আপনার হাতের জন্য যে আরেকটি গয়না আছে তা হলো মান্তাসা। এটি একটিই যথেষ্ট আপনার হাতের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তুলতে।
গলার হারের অনেক রকম ডিজাইনের মধ্যে পাতিহার কিন্তু খুব জনপ্রিয় বিয়ের গয়না। এটি ট্র্যাডিশনাল এবং একই সাথে খুব স্টাইলিশ।
বাঙালীর গয়নার বাক্সে কিন্তু গলার, হাতের কানের সব রকমেরই গহনা আছে বিয়ের সাজে কনের জন্য। কানের গয়না রূপে কান পাশা গয়নাটি কিন্তু বেশ সুন্দর।
বিয়ে মানে তো শুধু বিয়ের রাতটাই নয়, হাজার রকমের অনুষ্ঠান। তাই সেসব অনুষ্ঠানে কিন্তু কানের বলা বেশ সুন্দর আপনার সাজের সাথে।
ঝুমকো ছাড়া বাঙালী বধূটির সাজ কল্পনাও করা যায় না। এই ট্র্যাডিশন কিন্তু এখনো বাঙালীর বিয়েতে মেন্টেন করা হয়েছে। মানে এখনো বাঙালী মেয়েরা তাদের বিয়ের সময় কানে ঝুমকো পরতে বেশ পছন্দ করে।
টায়রা ও টিকলি কিন্তু বাঙালীর ট্র্যাডিশনাল গয়না যা বহু যুগ ধরেই বিয়ের সাজের একটি মূল গয়না। আজকাল কিন্তু টায়রা না পরলেও বিয়েতে টিকলি বা মাঙ্গ টিকা পরা কিন্তু সকলেই পছন্দ করছেন।
সবই যখন হলো তখন পা দুটিই বা বাদ যায় কেন! তাই পায়ের জন্য মল বা বিছে আপনার বিয়ের সাজ কিন্তু একেবারে কমপ্লিট করবে।
বাঙালী গয়নার ভান্ডার কিন্তু বলে বা গুনে শেষ করা যায় না। তবে এই ১৫ টি গয়না কিন্তু মোটামুটি কমবেশী সকলেই বিয়েতে পরে থাকেন। সামনেই তো বিয়ের মরশুম। তাই আপনার বাড়িতেই যদি বিয়ের গয়না বানানোর থাকে তাহলে এই গয়নার আইডিয়া কিন্তু আপনার কাজে লাগতেই পারে!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…