পুজো কেটে গেলেই আসবে বিয়ের মরসুম। আর বিয়ে মানেই বেনারসি শাড়ি। কিন্তু বিয়ের পর তো সেই শাড়ি তোলাই থাকবে। সবও সময়ে তো আর এই শাড়ি পরা যায় না। তাই দরকার এই শাড়ি যত্ন করে তুলে রাখার। কিন্তু এতো সুন্দর, কাজ করা শাড়ি যত্ন করে তুলে রাখার তো বিশেষ পদ্ধতি আছে! অন্য শাড়ির মতো তো রাখলে হবে না।
এই শাড়ি পরিষ্কার করার বা ধোয়ার প্রসঙ্গ আসলে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে জলে দিয়ে এই শাড়ি ধোয়া মানেই এই বেনারসি শাড়ি শেষ হয়ে যাওয়া। মূলত ড্রাই ওয়াশ করলেই সবচেয়ে ভাল। লন্ড্রিতে দিয়ে পরিষ্কার করাই নিরাপদ। জলে দিলে শাড়ির কাজ, সুতো সব একে অন্যের সঙ্গে জড়িয়ে নষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া জলে আপনি যে ডিটারজেন্ট দিচ্ছেন সেটাও এই শাড়ির জন্য খুব একটা ভাল নয়। তাই জল ছাড়াই ড্রাই ওয়াশ করুন।
হয়তো কোনও ভাবে বেনারসি শাড়িতে দাগ লেগে গেল। আর আপনি সঙ্গে সঙ্গে ওই জায়গায় জল দিয়ে ভাল করে ঘষে নিলেন। এতে দাগ বা তেল তো উঠবেই না, উলটে শাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। তাহলে কী করবেন! আগে ওই জায়গায় অল্প পেট্রোলিয়াম জেলি দিতে পারেন।
চাইলে নেলপালিশ রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন। যে কোনও একটা জিনিস ওই জায়গায় দিয়ে অল্প সময় অপেক্ষা করুন। তারপর একটা টিস্যু পেপার দিয়ে জায়গাটা মুছে নিন। এছাড়াও আপনি চাইলে বেকিং সোডা আগে ওই দাগের জায়গায় দিয়ে একটা ব্রাশ দিয়ে অল্প করে ঘষে তারপর অল্প জল শুধু ওই জায়গায় দিতে পারেন। কিন্তু কখনই পুরো শাড়ি জলে দেবেন না। গরম জলে তো নয়ই।
এই যে আপনি দাগ তুলে অল্প জল দিয়ে ধুলেন, এর পর নিশ্চয়ই চাইবেন রোদে দিয়ে শাড়ি শুকিয়ে নিতে। আর এই কাজ করলেই আপনার বেনারসি গেল। এই শাড়ির সব উজ্জ্বলতা হারিয়ে ম্যাড়ম্যাড় করবে। তাই সরাসরি রোদে এই শাড়ি একদম দেবেন না। রোদে জড়ির বা সুতোর কাজ কুঁচকে যায়। প্রচন্ড কড়া রোদ এই শাড়ি নিতে পারে না। তাই ঘরে পাখার তলায় শুকিয়ে নিন।
আয়রন করাও দরকার শাড়ি মাঝেমাঝে। আর সবও সময়ে লন্ড্রিতে দেওয়ার ইচ্ছেও হয় না। নিজে আয়রন করুন, কিন্তু সাবধানে। আগেই বলেছি, এই শাড়ি বা এর কাজ কিন্তু অতিরিক্ত তাপ নিতে পারে না।
তাই আগে দেখুন হিট কম কড়া আছে তো! আর সব সময়ে শাড়ির ওপরে একটা অন্য কাপড় দিয়ে নেবেন। তার ওপর দিয়ে আয়রন মেশিন বোলাবেন। সরাসরি তাও দেওয়া এই শাড়ির জন্য ভাল হবে না।
আলমারিতে রাখার সময় অবশ্যই কিছু নিয়ম মানতে হবে। সবার আগে তো এই শাড়ি এমনিই রেখে দেওয়া যাবে না। খবরের কাগজ হোক, পাতলা কাপড় হোক, সুতির কাপড় হোক, কিছু না কিছুর মধ্যে ঢুকিয়ে রাখতে হবে। সুতির কাপড় হলে সবচেয়ে ভাল। আর এই শাড়ি কোনও মতেই অন্য শাড়ির সঙ্গে রাখা যাবে না।
অন্য শাড়ির সঙ্গে ঘষা লেগে সুতো উঠে আসতে পারে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখবেন না এই শাড়ি। কারণ হ্যাঙ্গার শাড়ির যে অংশে থাকছে, সেই অংশে একটা দাগ ফেলে দিচ্ছে। যেহেতু বেনারসি ভারী ধরণের শাড়ি, তাই একটা কুঁচকে যাওয়া ভাব হয়ে যাচ্ছে। তাই আলমারিতে তাকের মধ্যেই রাখুন, একটু ফাঁকা ফাঁকা করে।
এই পাঁচটি নিয়ম মেনে চললে আপনার বেনারসি শাড়ি খুব ভাল থাকবে অনেক দিন ধরে। অবশ্যই ন্যাপথলিন দিয়ে রাখবেন পোকার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য। রঙ আর জেল্লা তাহলে দুইই দারুণ থাকবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…